প্লে-অফের সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখল চিটাগং
প্লে-অফে খেলার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে জয়ের বিকল্প ছিল না চিটাগং কিংসের। সেই বাঁচা-মরার লড়াইয়ের ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে ৫ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে প্লে-অফে এক পা দিয়ে রাখল কিংস। এবারের আসরে উড়তে থাকা রংপুর রাইডার্সের প্লে অফ নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় পর পথ হারাচ্ছে প্রায় নিয়মিত।
আজ বুধবার মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রানে থামে রংপুর রাইডার্স। জবাব দিতে নেমে ১৭.৪ বলে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পা রাখে চিটাগং কিংস।
এদিন ওপেনিংয়ে নামা রংপুরের স্টিভেন টেলর রানের খাতা খোলার আগে মাঠ ছাড়লে দলের হাল ধরেন লম্বা সময়ের চোট কাটিয়ে ওঠা সৌম্য সরকার। ছক্কা আর চারের মিতালিতে দলের সংগ্রহ বাড়াতে থাকেন তিনি। তবে ৩ ওভারের শুরুতে খালেদ আহমেদের বলে মিথুনের হাতে তালুবন্ধী হয়ে ৮ রান করে মাঠে ছাড়েন সাইফ হাসান। সৌম্যকে সঙ্গ দিতে মাঠে নামেন ইফতেখার আহমেদ।
তাতে সৌম্য-ইফতেখার দেখে-শুনে এগোতে থাকেন। কিন্তু ৫ ওভারের মাঝোমাঝিতে শরীফুল ইসলামের বলে ১৭ বলের ২৩ রানের দারুণ ইনিংসের ইতি টানতে হয় সৌম্যকে। তিনি ফিরলে সাজঘরে ফেরার তাড়া শুরু হয় রংপুরের শিবিরে। শেষ পর্যন্ত মেহেদী হাসান ২২ গজে কিছু সময় থিতু হতে পারেন। ৪৭ বলে ৬৫ রানের জড়ো ইনিংস উপহার দেন ইফতেখার আহমেদ। ৭টি চার ও ৩টি ছক্কার চোখজুড়ানো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। মেহেদী ২০ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাতে শেষপর্যন্ত ১৪৪ রানের মাঝারি পুজি নিয়ে মাঠ ছাড়ে রংপুর।
কিংসের হয়ে খালেদ আহমেদ নেন ২টি উইকেট, শরীফুল ইসলাম ও শামীম হোসেন নেন ১টি করে উইকেট।
জবাবে ১৪৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বেশ ভালোভাবেই শুরু করে চিটাগাং কিংস। ৩য় ওভারে ওপেনার লাহিরু মিলান্থা ফিরলেও দলের রানের খাতা চালু রাখেন পারভেজ হোসেন ইমন। ৪৩ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলে সাইফদ্দিনের বলে আউট হন তিনি। ৫ম ওভারের শেষে আবারো উইকেট হানা দেয় কিংস শিবিরে । তাতে ১২ বলে ১৫ রান করে ফেরেন গ্রাহাম ক্লার্ক। ক্লার্ক ফিরলে মাঠে নামা হায়দার আলীর জ্বলকে জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে চিটাগাং কিংস। ১৮ বলে ৪৮ রানের অপরাজিত ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৬টি বাউন্ডারি ও ১ টি চার দিয়ে। শেষপর্যন্ত টেবিল টপার রংপুর রাইডার্সকে ৫ উইকেটে হারায় বন্দরনগরীর দলটি।
রাইডার্সের হয়ে আকিফ জাভেদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন নেন ২ টি করে উইকেট।
১০ ম্যাচ খেলে ৪ হারের বিপরীতে ৬ জয় চিটাগাংয়ের। ১২ পয়েন্ট নিয়ে তারা টেবিলের তিনে। তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে রাজশাহী। রাজশাহীর আর কোনো ম্যাচ বাকি নেই। পাঁচে থাকা খুলনা বাকি দুই ম্যাচ জিতলে ১২ পয়েন্ট হবে দলটির। তখন নেট রানরেটে নির্ধারিত হবে সেরা চার।