অবসর নিয়ে মুখ খুললেন মাহমুদউল্লাহ

  • স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপের আগেও স্কোয়াডে অনিশ্চিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। সেই তিনিই এখন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা পারফর্মার। এই বয়সেও টানছেন দলকে। স্বপ্ন দেখাচ্ছেন বাংলাদেশি সমর্থকদের। এরপরও মাহমুদউল্লাহ ৩৭-এ পা দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন থাকে কতদিনই বা আর টানবেন বাংলাদেশ দলকে। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে আইসিসিকে সে সব কথায় জানিয়েছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।

বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পান কিনা যেখানে এটি নিয়েই সন্দেহ ছিল, সেখানে এখন পর্যন্ত দলের হয়ে সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স দেখানো খেলোয়াড় সম্ভবত তিনিই। দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে ভরাডুবির সময়েও ব্যাট হাতে দলকে শেষ পর্যন্ত একাই টেনে নিয়ে গিয়েছেন, সেই সাথে বিশ্বকাপে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরিটিও আদায় করেছেন। তাঁর ক্যারিয়ারে ৪টি শতক করেছেন, যার সব কটিই আবার আইসিসির প্রতিযোগিতায়।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বকাপে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘২০০৭ সালে বাংলাদেশের হয়ে আমার অভিষেক হয়েছে। এরপর থেকে অনেক বছর ধরেই খেলছি। আমি সৌভাগ্যবান যে আইসিসি ইভেন্টে শতকগুলো করতে পেরেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ক্রিকেট এমন একটি খেলা, যেখানে আপনি বিস্মিত হওয়ার মতো অনেক কিছু দেখবেন। আমি অনেক পরিশ্রম করেছি, যেন বিশ্বকাপে আমি দলের হয়ে খেলার সুযোগ পাই। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ আমাকে সে সুযোগ দিয়েছেন। আমি যতটা সম্ভব দলের জন্য কিছু করার চেষ্টা করছি।’

দলের তরুণদের উদ্দেশ্যেও তিনি বলেন, ‘আমি দলের সিনিয়র একজন খেলোয়াড়। অনেক দিন ধরেই খেলছি তাই দায়িত্বও চলে আসে। তরুণদের দিকনির্দেশনা দেওয়া, তাদের সঙ্গে কথা বলা। আমরা চেষ্টা করি বন্ধু-ভাই হিসেবে থাকতে, চেষ্টা করি তাদের সাহায্য করতে। এটাও বের করার চেষ্টায় থাকি যে তাদের জন্য কোনটা ভালো এবং দলের জন্য কী ভালো।’

সাকিব-মুশফিক-তামিমের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে স্মৃতিচারণ করে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘সাকিব-মুশফিকের ২০০৫ সালে অভিষেক হয়েছে। তামিমের অভিষেক হয়েছে ২০০৬-০৭ সালে। আমরা একসঙ্গেই ছিলাম, একসঙ্গে অনেক আনন্দ-বেদনা ভাগাভাগি করেছি। আমরা জানি এই অনুভূতিগুলো কেমন।’

সবশেষে মাহমুদউল্লাহ নিজের অবসর নিয়ে মুখ খুলেছেন, ‘সত্যি কথা হচ্ছে, আমি আমার শেষ বিশ্বকাপ খেলছি। আমি কত দিন খেলব, সেটা আমার শরীর এবং পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করছে। তবে যেকোনো মুহূর্তে আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিতে পারি। কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেট এগিয়ে যাবে। যেসব প্রতিভা আমাদের ড্রেসিংরুমে আছে; যেমন মোস্তাফিজ, তাসকিন, (নাজমুল হোসেন) শান্ত, লিটন এবং মিরাজরাই এরপর সিনিয়র হবে। তারাই দলকে এগিয়ে নেবে। একদিন তারাই বাংলাদেশের কিংবদন্তি হবে।’