ডি কক-ক্লাসেন ঝড়ে সাকিবদের বিশাল লক্ষ্য দিল প্রোটিয়ারা

  • স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

একজনই বদলে দিল পুরো ইনিংসের চিত্র। আসরে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি। আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। চাপে পড়া অবস্থানে থেকে শেষ পর্যন্ত ১৪০ বলে কুইন্টন ডি ককের ১৭৪ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস। শেষের দিকে প্রোটিয়া তাণ্ডবে যোগ দিল আরও এক নাম, হেনরিখ ক্লাসেন। তাতেই নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৮২ রানের বিশাল সংগ্রহ পেল দক্ষিণ আফ্রিকা।

মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে শুরুটা বেশ ভালোই করেছিল সাকিবরা। টসে হেরে ব্যাট করতে নামা প্রোটিয়াদের শুরুতেই চাপে ফেলে তার দল। দলীয় ৩৩ রানের মাথায় ওপেনার রিজা হেন্ডরিক্সকে (১২) বোল্ড করে ফেরান পেসার শরিফুল ইসলাম। পরের ওভারেই রাসসি ফন ডার ডুসেনকে (১) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ।

বিজ্ঞাপন

সময় গড়ালে শুরুর নিষ্প্রভ প্রোটিয়ারা ক্রমেই হয়ে উঠল ভয়ংকর। দলীয় ১৬৭ রানের মাথায় সাকিব আল হাসানের বলে মার্করাম (৬০) ফিরলে ভাঙে তৃতীয় উইকেটে ১২১ রানের দুর্দান্ত এক জুটি।

তবে থামানো যায়নি ডি কককে। ১০১ বলে তুলে নেন আসরের নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ১৭৪ রানে থামেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তার দুর্দান্ত এই ইনিংসে ছিল ১৫টি চার ও ৭টি ছক্কার মার। ব্যাট হাতে মাঠে নামার সময় ছিলেন আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার ৮ নম্বরে। সাজঘরের ফেরার সময় বিরাট কোহলিকে ছাড়িয়ে ৪০৭ রান নিয়ে আপাতত শীর্ষে আছেন ডি কক।

স্কোরবোর্ডে তখন ৪ উইকেট হারিয়ে ৩০৯ রান। ডি কককে ফেরালেও কমেনি রানের গতি। নিজেদের আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান হেনরিখ ক্লাসেন এদিনও ব্যাট হাতে ছিলেন আগ্রাসী। শেষে দিকে দারুণভাবে এগোলেও সেঞ্চুরিতে আক্ষেপ থাকল ১০ রানের। ৪৯ বলে ২ চার ও ৮ ছক্কায় ৯০ রান করে হাসান মাহমুদের বলে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তাতেই গড়ে যায় বিশাল লক্ষ্য। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৮২ তোলে মার্করামের দল।

হাসান মাহমুদ নেন দুটি উইকেট। সাকিব, মিরাজ ও শরিফুল নেন একটি করে উইকেট।