নানকের গণসংযোগে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগের ৬ নেতা বহিষ্কার

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

গণসংযোগে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগের ৬ নেতা বহিষ্কার

গণসংযোগে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগের ৬ নেতা বহিষ্কার

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির নানকের গণসংযোগে সংঘর্ষ ও ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ৬ ছাত্রলীগ নেতাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে ৷

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ইনানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের বহিষ্কার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বহিষ্কৃতরা হলেন- মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. সাজ্জাদ, সদস্য আসলাম, ছোটন, ভান্ডারী ইমন, ঢাকা মহানগর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাগর ও সানভির।

এর আগে, রোববার (২৪ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে সাজ্জাদকে মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুল ইসলাম রাসেল ও সাধারণ সম্পাদক আইমান ওয়াসেফ অমিক স্বাক্ষরিত এক আদেশে স্থায়ী বহিস্কার করা হয়। যদিও ছাত্রলীগের গঠনগন্ত্র অনুযায়ী কোনো নেতাকে থানা কমিটির স্থায়ী বহিষ্কার করার ক্ষমতা নেই।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠন বিরোধী, শৃঙ্খলা-পরিপন্থী, অপরাধ এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদেরকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হলো।

জানা গেছে, রোববার মোহাম্মদপুর টাউন হল এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগ করেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছাত্রলীগেরই আরেক অংশের ওপর হামলা করেন সাজ্জাদ অনুসারীরা। এতে চারজন আহত হন।

এছাড়াও, সাজ্জাদ মোহাম্মদপুর কাটাসুর এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের নিয়ন্ত্রক। তার নেতৃত্বে ছিনতাই, হামলা ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি দুটি ছিনতাইয়ের ঘটনায়ও নাম আসে এই ছাত্রলীগ নেতার। তিনি মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুল ইসলাম রাসেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তার মদদে এসব অপকর্ম করতেন বলে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের অভিযোগ। তবে, ছাত্রলীগের এসব নেতাদের পাশাপাশি তাদের মদদদাতা মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগ সভাপতি নাইমুল ইসলাম রাসেলের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।