করোনা আক্রান্ত ৮০ বছরের এক বৃদ্ধ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
সোমবার (৩০ মার্চ) দুপুরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতি নিয়ে আইইডিসিআরের অনলাইন লাইভ ব্রিফিং-এ তিনি একথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, নতুন করে দেশে ১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ জন সুস্থ হয়েছেন। ৮০ বছরের এক বৃদ্ধ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এখন পর্যন্ত মোট ১৯ জন সুস্থ হয়েছেন। সুস্থদের মধ্যে একজন চিকিৎসা কর্মী ও নার্স রয়েছেন। এছাড়া আর একজনের বয়স ৬০ বছরের বেশি যিনি সুস্থ হয়েছেন।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে পরামর্শ তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, কাশি শিষ্টাচার মেনে চলুন। ঘরের বাইরে যাবেন না। বার বার সাবান পানি দিয়ে হাত ধুবেন, আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকুন, বিদেশ থেকে আসতে না করুন, আপনারাও যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
আইইডিসিআর'র পরিচালক ফ্লোরা বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে এখন ডেঙ্গু শুরু হওয়ার পূর্ব সময়। বাড়ির আশপাশের এলাকা যেন আমরা পরিষ্কার করি। এডিস মশা যেন বংশবৃদ্ধি না করতে পারে। আমরা করোনার কথা চিন্তা করে ডেঙ্গু বা অন্যসব সমস্যার কথা যেন ভুলে না যায়। আমাদের সব সমস্যার দিকে নজর রাখতে হবে।
গেল ডিসেম্বর মাসে দেশের পুঁজিবাজারে শ্রীলঙ্কার থেকেও কম লেনদেন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর শাহবাগস্থ ঢাকা ক্লাবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি আয়োজিত পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি ও করণীয় বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানানো হয়।
মমিনুল ইসলাম বলেন, গেল ডিসেম্বর মাসে দেশের পুঁজিবাজারে শ্রীলঙ্কার থেকেও কম লেনদেন হয়েছে। পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বড় পরিমাপক যেটা সেটা হচ্ছে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাজারে কেমন আসছে। ভালো কোম্পানি গত ১০ বছরে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ছিল একেবারেই কম। গত ১০ বছরে ৬০০ কোটি টাকার আইপিও হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা যদি কোন মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সুচককে উপরে নিয়ে যায় তাহলে আবার মার্কেটটা ধসে পরবে। বর্তমানে আমরা পুঁজিবাজারে এমন একটা পরিবেশ পেয়েছি যেখানে আমরা সকল স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে একসাথে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি।
প্রধান পুঁজিবাজার হিসেবে ডিএসইতে যে ধরণের গবেষণা হওয়া দরকার, তা হচ্ছে না বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে গবেষণাধর্মী কাজে মনোযোগী হতে হবে ।
এসময় বিদেশি বিনিয়োগ কমার জন্য ফ্লোর প্রাইসকে দায়ী করে ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, দীর্ঘ দুই বছর শেয়ারদরের সর্বনিম্ন সীমা বেঁধে দেয়ায় আগ্রহ হারিয়েছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগ।
চট্টগ্রাম আদালত থেকে গায়েব হওয়া ১৯১১টি (৯ বস্তা) মামলার নথি ভাঙ্গারির দোকান থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মো. রাসেল নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে কোতোয়ালি থানার একটি ভাঙ্গারি দোকান থেকে এসব নথি উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, মামলার নথি গায়েবের ঘটনায় একটি জিডি হয়েছিল। সেই ডিজির সূত্র ধরে আমরা তদন্ত শুরু করি। পরে গোয়েন্দা তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে রাসেল নামের একজনকে খুঁজে পাই। বুধবার বাকলিথা থানার বউবাজার এলাকায় অভিযান করে ওই ছেলেটিকে আটক করা হয়। সে পুলিশকে জানিয়েছে, বস্তায় রাথা নথিগুলো আদালত থেকে নিয়ে একটি পাথরঘাটা এলাকায় একটি ভাঙারির দোকানে বিক্রি করেছিল। তার দেয়া তথ্যে সকালে ওই দোকান থেকে ৯ বস্তা নথি আমরা উদ্ধার করেছি।
ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় আমরা পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এর আগে, চট্টগ্রাম আদালতের হত্যা, মাদক, চোরাচালান, বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন মামলার ১ হাজার ৯১১টি নথির খোঁজ না পাওয়ায় গত ৫ জানুয়ারি নগরীর কোতোয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মফিজুল হক ভূঁইয়া। চট্টগ্রাম আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় মহানগর পিপির কার্যালয় অবস্থিত। এটির পাশে মহানগর দায়রা জজ আদালতের এজলাস ও খাসকামরা। দিনভর আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের পদচারণে মুখর থাকে আদালত ভবন। কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে আদালত ভবনে নিরাপত্তা জোরদার থাকার কথা। পিপির কার্যালয়ের সামনে আদালতের বারান্দা থেকে ১ হাজার ৯১১ মামলার নথি হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বিস্মিত আইনজীবীরা। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করছেন তারা।
অন্যদিকে জিডিতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম মহানগর পিপি কার্যালয়ে ২৮ থেকে ৩০টি আদালতের কেস ডকেট রক্ষিত ছিল। পিপি কার্যালয়ে জায়গা-স্বল্পতার কারণে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে পিপি কার্যালয়ের সামনের বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় ১ হাজার ৯১১টি মামলার কেস ডকেট পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় রাখা ছিল।
আদালতের অবকাশকালীন ছুটির সময় অফিস বন্ধ থাকায় গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নথিগুলো হারিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। বিষয়টি থানায় ডায়েরিভুক্ত করে রাখার জন্য আবেদন করা হলো।
১০ বিঘা কৃষি জমির মালিক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। গ্রামে রয়েছে টিনশেড বাড়ি। একসময় তিনি নিজেই গ্রামের বিভিন্ন ঘটনার বিচার করতেন। স্ত্রী এবং চার ছেলে নিয়ে তার সংসার। আড়াই বছর আগে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। ছেলেরা বগুড়া এবং ঢাকায় চিকিৎসা করান। কিন্তু স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাননি তিনি। কর্মব্যস্ততার কারণে তিন ছেলে বাড়িতে থাকেন না। এক ছেলে বাড়িতে থাকলেও সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকেন কর্মস্থলে। আর এসব কারণেই মানসিক ভারসাম্যহীন বাবাকে বাড়ির সামনে ফাঁকা জায়গায় বাঁশের তৈরি খাঁচায় বন্দি করে রাখেন। ছেলেরা জানান, বাবাকে ছেড়ে দিয়ে রাখলে বাড়ির জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন অথবা বাড়ি থেকে বের হয়ে হারিয়ে যান।
মোহাম্মদ আলির বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের দক্ষিণ কৃষ্ণপুর গ্রামে।
গ্রামবাসী জানান,একসময় কৃষি কাজের পাশাপাশি সার ও খৈল এর দোকান করতেন মহাস্থান বন্দরে। চার ছেলেকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন। বড় ছেলে মাসুম বিল্লাহ মেডিকেল সহকারী পাশ করে শিবগঞ্জ পৌর শহরে নিজস্ব ক্লিনিক পরিচালনা করেন। স্ত্রী সন্তান নিয়ে সেখানেই বসবাস করেন তিনি। দ্বিতীয় ছেলে মাসুদ রানা একটি বেসরকারি চাকরির সুবাদে বসবাস করেন শিবগঞ্জ পৌর শহরে। তৃতীয় ছেলে মামুন বাড়িতে থাকলেও সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চাকরি করেন বড় ভাই এর ক্লিনিকে।ছোট ছেলে চাকরির সুবাদে ঢাকায় বসবাস করে। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ'র বৃদ্ধা স্ত্রী নুরজাহান বেগম এক ছেলের বউকে নিয়ে বাড়িতে বসবাস করেন।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে দক্ষিণ কৃষ্ণপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায় মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ' দ্বিতীয় ছেলে মাসুদ রানা তার বাবাকে বাঁশের খাঁচায় থেকে বাহিরে বের করছেন। তিনি বলেন, বাবাকে খাঁচায় বন্দী করে রাখা ছাড়া আমাদের কোন উপায় নাই। কর্মব্যস্ততার কারণে বাড়িতে নিয়মিত আসতে পারি না। মাঝে মধ্যে বিকেলে এসে বাবাকে খাঁচা থেকে বের করে বাহিরে হাঁটতে নিয়ে যাই। তিনি আরও বলেন, আমাদের সাধ্যমতো বগুড়া এবং ঢাকায় চিকিৎসা করানোর পরেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেনি বাবা। চিকিৎসক বলেছেন মস্তিষ্কে সমস্যা। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সম্ভাবনা কম। বাড়িতে ছেড়ে দিয়ে রাখা যায় না। চার ভাই কেউ না থাকায় গত ৮ মাস আগে এভাবে বাঁশের তৈরি খাঁচায় আটকে রাখা হয়।
দক্ষিণ কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা ইনছার আলী বলেন, সকালে এই বৃদ্ধ মানুষটিকে বাড়ি থেকে বের করে এনে বাঁশের তৈরি খাঁচায় বন্দী করে রাখেন পরিবারের লোকজন। এখানেই থাকেন সন্ধ্যার পর পর্যন্ত। বাড়ি থেকে খাবার দিয়ে যায় খাঁচার মধ্যেই। রাতে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এভাবেই গত ৮-৯ মাস যাবৎ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে দেখছেন গ্রামের লোকজন। লোকজন দেখলে বিড়বিড় করে অস্পষ্ট ভাষায় কথা বলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। হাত দিয়ে ইশারা করে কাছে ডাকেন। কাছে গেলে তাকে বন্দী দশা থেকে বের করতে বলেন ইশারা ইঙ্গিতে। কিন্তু গ্রামের লোকজন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ'র ইশারা ইঙ্গিতে গুরুত্ব দেন না। তাদের মতে পাগল মানুষকে খাঁচা থেকে মুক্ত করে কে দায়িত্ব নিবে।
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ'র বড় ছেলে মাসুম বিল্লাহ বলেন, আমি ক্লিনিক পরিচালনা করি। সেকারণে বাড়িতে থাকতে পারি না। বাবাকে সুস্থ করতে চিকিৎসা করিয়েছি সাধ্যমতো। তিনি বলেন আমি নিজেই চিকিৎসা সহকারী। আমি বাবার ভাল মন্দ বুঝি।
শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনি। তিনি গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের একজন। তার ছেলেরাও শিক্ষিত। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে বাঁশের খাঁচায় আটকে রাখার বিষয়টি আমার জানা নাই। ঘটনাটি দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি খোঁজখবর নিয়ে তাকে মুক্ত করার উদ্যোগ নিব।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার বলেন,ঘটনা আমার জানা নাই। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়া ২৬৭ জনের মধ্যে বেশিরভাগই পুনরায় চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেসুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে ৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়াদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই কথা জানান তিনি।
সিনিয়র সচিব বলেন, বাদ পড়াদের পুনর্বিবেচনার আবেদন যাচাই-বাছাই চলছে। তদন্ত শেষ। দ্রুত সময়ে এটা করা হবে।
সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে সরকার মহার্ঘ ভাতা দেয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা শিগগিরই বাস্তবায়ন হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেসুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘মহার্ঘ ভাতা ইস্যুটা অর্থ মন্ত্রণালয়ের। তবে আমিও একজন মেম্বার। এরইমধ্যে দুটি মিটিং হয়েছে। মহার্ঘ ভাতা খুব শিগগিরিই হবে। তবে এবার ব্যতিক্রম হবে। আগে পেনশনভোগীরা মহার্ঘ ভাতা পেতেন না, এবার পাবেন। একটা রিজেনেবল পাবে। পরের বছর ইনক্রিমেন্টের সময় এই মহার্ঘ ভাতাটা তার বেসিকের সঙ্গে যোগ হবে।
আসন্ন বাজেটেই মহার্ঘ ভাতা কার্যকর হবে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এ বাজেটে মানে ৩০ জুনের মধ্যে, আমি বলব অবশ্যই এর মধ্যে হবে। তার আগে হবে ইনশাআল্লাহ।’
পার্সেন্টের বিষয়ে মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বা অর্থসচিবকে জিজ্ঞেস করেন। তারা বলতে পারবে।’
কোন মাস থেকে মহার্ঘ ভাতা ধরা হবে সে বিষয়ে সচিব বলেন, ‘অনুমান করে বলা ঠিক হবে না। এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা ও অর্থসচিব পরিষ্কার করে বলতে পারবেন।’