ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ফাতেমা বেগম (১৮) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে মানিকদহ ইউনিয়নের মানিকদহ আদর্শ গুচ্ছগ্রামে গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ফাতেমা ওই গ্রামের পারভেজ মাতুব্বরের স্ত্রী এবং পার্শ্ববর্তী সদরপুর উপজেলার শৈলডুবি গ্রামের নুরুদ্দীন খানের মেয়ে। মাত্র তিনমাস আগে ফাতেমা ও পারভেজের বিয়ে হয়েছিল।
ফাতেমার স্বামী পারভেজ মাতুব্বর বলেন, তিন মাস আগে ফাতেমার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই ফতেমার আচরণ কিছুটা অস্বাভাবিক ছিল। সকালে একসাথে খাবার খেয়ে কাজের জন্য বাইরে যান। তিনি ভুলে বাড়িতে মোবাইল ফেলে যান। কিছু সময় পরে মোবাইল নেওয়ার জন্য বাড়িতে ফিরে দেখি ঘরের দরজা বন্ধ পায়। তখন সন্দেহ হলে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখি আমার স্ত্রী গলায় ওড়ানা পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। তখন আমি চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। তাদের সহযোগিতায় ফাতেমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ফাতেমার বড় বোন রিক্তা বেগম জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফাতেমার সঙ্গে মোবাইলে কথা হয় আমার। তখন সে হাঁসি খুশি ছিল। তার শ্বশুর বাড়ি ভাঙ্গা বেড়াতে যেতেও অনুরোধ করে। কিন্তু বেলা সাড়ে ১১টার সময় হঠাৎ ফোনে জানতে পারি আমার ছোট বোন আত্মাহত্যা করেছে।
তিনি আরও বলেন, ওর মাথায় একটু সমস্যা ছিল। জ্বীনের সমস্যা দেখা দিতো। আমরা ফকির কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা করাতাম। তবে এর এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছি না।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকছেদুর রহমান জানান, মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ফাতেমার পরিবারও কোন অভিযোগ তুলেনি। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।