চট্টগ্রাম আদালতের গায়েব হওয়া ৯ বস্তা নথি মিলল ভাঙ্গারির দোকানে
চট্টগ্রাম আদালত থেকে গায়েব হওয়া ১৯১১টি (৯ বস্তা) মামলার নথি ভাঙ্গারির দোকান থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মো. রাসেল নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে কোতোয়ালি থানার একটি ভাঙ্গারি দোকান থেকে এসব নথি উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম।
তিনি বলেন, মামলার নথি গায়েবের ঘটনায় একটি জিডি হয়েছিল। সেই ডিজির সূত্র ধরে আমরা তদন্ত শুরু করি। পরে গোয়েন্দা তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে রাসেল নামের একজনকে খুঁজে পাই। বুধবার বাকলিথা থানার বউবাজার এলাকায় অভিযান করে ওই ছেলেটিকে আটক করা হয়। সে পুলিশকে জানিয়েছে, বস্তায় রাথা নথিগুলো আদালত থেকে নিয়ে একটি পাথরঘাটা এলাকায় একটি ভাঙারির দোকানে বিক্রি করেছিল। তার দেয়া তথ্যে সকালে ওই দোকান থেকে ৯ বস্তা নথি আমরা উদ্ধার করেছি।
ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় আমরা পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এর আগে, চট্টগ্রাম আদালতের হত্যা, মাদক, চোরাচালান, বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন মামলার ১ হাজার ৯১১টি নথির খোঁজ না পাওয়ায় গত ৫ জানুয়ারি নগরীর কোতোয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মফিজুল হক ভূঁইয়া। চট্টগ্রাম আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় মহানগর পিপির কার্যালয় অবস্থিত। এটির পাশে মহানগর দায়রা জজ আদালতের এজলাস ও খাসকামরা। দিনভর আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের পদচারণে মুখর থাকে আদালত ভবন। কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে আদালত ভবনে নিরাপত্তা জোরদার থাকার কথা। পিপির কার্যালয়ের সামনে আদালতের বারান্দা থেকে ১ হাজার ৯১১ মামলার নথি হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বিস্মিত আইনজীবীরা। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করছেন তারা।
অন্যদিকে জিডিতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম মহানগর পিপি কার্যালয়ে ২৮ থেকে ৩০টি আদালতের কেস ডকেট রক্ষিত ছিল। পিপি কার্যালয়ে জায়গা-স্বল্পতার কারণে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে পিপি কার্যালয়ের সামনের বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় ১ হাজার ৯১১টি মামলার কেস ডকেট পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় রাখা ছিল।
আদালতের অবকাশকালীন ছুটির সময় অফিস বন্ধ থাকায় গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নথিগুলো হারিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। বিষয়টি থানায় ডায়েরিভুক্ত করে রাখার জন্য আবেদন করা হলো।