হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়কের অপসারণের দাবিতে নওগাঁয় মানববন্ধন
পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে দরপত্রে বিশেষ শর্ত যুক্ত করাসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের অপসারণ দাবিতে মানবববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে দরপত্রে বিশেষ শর্ত যুক্ত করাসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের অপসারণ দাবিতে মানবববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবে নির্বাচন নিয়ে জটিলতা ও নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব এখন চরমে। এই দ্বন্দ্বের জেরে প্রেস ক্লাব তালাবদ্ধ করে চাবি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ট্রেজারিতে জমা দিয়েছে নবগঠিত আহবায়ক কমিটি।
এ পরিস্থিতিতে গত চার দিন ধরে প্রেস ক্লাবের সদস্যরা কার্যালয়ে ঢুকতে পারছেন না। এ ঘটনায় গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক অন্তোষ বিরাজ করছে।
এদিকে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবে বর্তমানে তিনটি কমিটি বিরাজ করছে। জেলা প্রেস ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরিচালিত হয়।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাধারণ সদস্যদের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে সদ্য বিলুপ্ত কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক গত মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন। পাঁচ সদস্যের ওই আহ্বায়ক কমিটিতে প্রেস ক্লাবের সদস্য নাছিমুল হক বুলবুলকে আহ্বায়ক ও আসাদুর রহমান জয়কে সদস্য সচিব করা হয়। প্রেস ক্লাবের সদস্যদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে ও বৈষম্যের শিকার প্রকৃত সাংবাদিকদের ক্লাবের সদস্য করার লক্ষ্যে এই আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
অন্যদিকে প্রেস ক্লাবের ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে পেশিশক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বহিরাগতদের নিয়ে একটি অবৈধভাবে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার ঘোষণা দেয়। ৯ সদস্যবিশিষ্ট এই আহ্বায়ক কমিটতে জেলা প্রেস ক্লাবের সদস্য এস এম রায়হান আলমকে আহ্বায়ক ও জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আজাদ হোসেনকে মুরাদকে সদস্য সচিব করা হয়। এছাড়া ইনডেপেডেন্ট টেলিভিশনের প্রতিনিধি সাদেকুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও সকালের সময় পত্রিকার প্রতিনিধি মাহমুদুননবী বেলালকে সদস্য সচিব করে ১০ সদস্যবিশিষ্ট নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার এই কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সদ্য বিলুপ্ত কার্যনির্বাহী কমিটির সভপতি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘প্রেস ক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযাযী নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় কমিটি বিলুপ্ত করে গঠনতন্ত্র অনুযাযী এই আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক কোনো নিয়মের তোয়াক্কা না করে বহিরাগতদের নিয় আলাদা আহবায়ক কমিটি গঠন করেন। এদে সদস্যদের মাঝে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। দ্বন্দ্ব এরাতে প্রেস ক্লাব তালাবদ্ধ করে চাবি জেলা প্রেস ক্লাবের কার্যালয়ে ট্রেজারিতে জমা দেওয়া হয়েছে।’
নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সদ্য বিলুপ্ত কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক এ কে সাজু বলেন, প্রেস ক্লাব ঘিরে তিনটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার করা হয়েছে যা সদস্যদের জন্য বিব্রতকর। এই পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের উচিত যত দ্রুত সম্ভব ক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এই সমস্যার সমাধান করা।
এ ব্যাপারে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি খুবই বিব্রত। বিষয়টি সমাধানের একটা চেষ্টা করছি। আপনারা (সাংবাদিকরা) নিজেরা সমস্যার সৃষ্টি করেছেন। এটার সমাধান আপনারা নিজেরাও বসতে পারেন। আমাকে সমাধান দিতে বললে একটু ধর্য ধারণ করতে হবে।
চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানে নতুন কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করেছে সরকার। সব সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে আগামী মার্চের মধ্যে নির্ধারিত লক্ষ্য বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ কাজে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে বহদ্দারহাটের বারইপাড়া খাল ও আশপাশের খাল-নালার পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা জানান। পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে এবারের উদ্যোগে কোনো ব্যর্থতার জায়গা নেই। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে স্পষ্টভাবে জানানো হবে তাদের করণীয়। যেসব কাজ দীর্ঘদিন ধরে আটকে আছে, সেগুলোর সমাধান করা হবে। প্রয়োজনে মার্চের মধ্যে কিছু নির্দিষ্ট কাজ বাস্তবায়নের লক্ষ্য দেওয়া হবে। ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে দায়ভার নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আগের প্রকল্পগুলোর কার্যকারিতা বিশ্লেষণ করে দেখা হবে। কাজের অগ্রগতি এবং ফলাফল দেখে আগামী বর্ষার জন্য নতুন পরিকল্পনা করা হবে। যে সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতা আছে, তাদের সুষ্ঠুভাবে কাজ করার জন্য সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হবে।
জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রকল্পগুলোর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের এই সমস্যার সমাধানে সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা বোঝার চেষ্টা করছি প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন কতটা কার্যকর। প্রয়োজন হলে সরকার নতুনভাবে চিন্তা করবে।
অন্যদিকে, উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, খালগুলোতে পানির প্রবাহের প্রতিবন্ধকতা সরেজমিনে দেখেছি। এ বিষয়ে নগরের পরিকল্পনাবিদ, অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। পাশাপাশি নগরবাসীকেও তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। যত্রতত্র ময়লা ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে।
বারইপাড়া খাল খননের কাজ ১১ বছর ধরে আটকে আছে। জমি অধিগ্রহণ, মামলা-মোকদ্দমার কারণে প্রকল্পটি থমকে আছে বলে জানান উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, মামলাগুলো সমাধানের জন্য জেলা প্রশাসন এবং বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। জমি অধিগ্রহণ দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সব সংস্থার সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। এ শহর আমাদের সবার। আমরা সবাই মিলে কাজ করলে এই শহরকে বাসযোগ্য করে তোলা সম্ভব।
চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে গঠিত উপদেষ্টা টিম ইতোমধ্যে মেগাপ্রকল্পসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পর্যালোচনা শুরু করেছে। রোববার (১৯ জানুয়ারি) তারা সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। বর্ষার আগে দৃশ্যমান অগ্রগতি আনতে এই টিম নিরলসভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে।
লক্ষ্মীপুরের ভাঙ্গাখা এলাকায় যুবদল নেতা জাকির হোসেনের (৩৫) ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সদর উপজেলা (পূর্ব) স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার হোসেন ও তার লোকজন এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ আহত যুবদল নেতার। তবে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হামলা চালানো হয় বলে জানায় স্থানীয়রা।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার মিরিকপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত জাকির হোসেন ভাঙ্গাখা ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি ও একই গ্রামের আলী আহম্মদ সওদাগরের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে নিয়ে যুবদলের জাকির হোসেন ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আনোয়ার হোসেন, কবির হোসেন, কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক মিঠুর বিরোধ দীর্ঘদিনের। শনিবার রাতে স্থানীয় মিরিকপুর বাজারের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়িতে রওয়ানা হয় জাকির। এসময় পথিমধ্যে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আনোয়ার হোসেন সহ বেশ কয়েকজন গতিরোধ করে হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। হামলাকারীরা তার (জাকির) শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে। পরে তাকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি অ্যাড. মহসিন কবীর স্বপন। তিনি বলেন, হামলার ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক হারুনুর রশিদ হারুন বলেন,জড়িত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রশিদুল হাসান লিংকন বলেন,এ ঘটনা আমার জানা নেই। ঘটনাটির বিষয়ে খবর নিচ্ছি।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি আব্দুল মোন্নাফ বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কুষ্টিয়ায় মিরপুরে সড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের নিকট থেকে রামদা ও ছুরা উদ্ধার ও একটি ইঞ্জিন চালিত নসিমন জব্দ করা হয়।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার কাকিলাদহ ফাড়ি পুলিশ রাধানগর-দর্গাপাড়া গামী রোডের মধ্যবর্তী গলাকাটা নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে।
আটককৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন মেহেরপুর সদর থানার বামনপাড়া এলাকার কিবরিয়া মুন্সী (২৭), রাধাকান্তপুর এলাকার জয়নাল আবেদীন (২৩), চকশ্যামনগর এলাকার আশিক (২১), সুজন মিয়া (২০) ও রাজাপুর এলাকার গোলাম সারোয়ার (২৪)।
এছাড়াও উক্ত ঘটনায় স্থানীয় দুজন ডাকাত পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। এ ঘটনায় মিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
মামলার বাদী কাকিলাদহ ফাড়ির ইনচার্জ তাহমুদুল ইসলাম বলেন, ওইদিন রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন একদল ডাকাত অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সড়কে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন খবর পেয়ে তিনিসহ পুলিশ ফোর্স রাধানগর-দর্গাপাড়া গামী রোডের মধ্যবর্তী গলাকাটা নামক স্থানে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের দুই জন সদস্য পালিয়ে গেলে ৫ জন ডাকাতকে হাতে নাতে ধরে ফেলে।
তাদের নিকট থেকে একটি বড় রামদা, একটি ছোট রামদা, একটি ছুরি ও দড়ি উদ্ধারসহ একটি ইঞ্জিন চালিত গরু টানা গাড়ি উদ্ধার করা হয়। আটককৃতদের রাতেই থানাতে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় ৭ জনের নামে থানাতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মিরপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মমিনুল ইসলাম জানান, পুলিশের অভিযানে ৫ জন ডাকাতকে আটক করা হয়েছে। তাদের বাকীদেরও আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।