হংকং বিক্ষোভ: জলকামান ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

হংকংয়ে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ,  ছবি: সংগৃহীত

হংকংয়ে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ, ছবি: সংগৃহীত

হংকংয়ে প্রত্যর্পণ বিলের প্রতিবাদে শুরু হওয়া বিক্ষোভের ১৩তম সপ্তাহে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। শান্তিপূর্ণ এ বিক্ষোভ এখন সরকার বিরোধী আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। বিক্ষোভকারীরা জানান, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তারা বিক্ষোভ চালিয়ে যাবে এবং তাদের দাবি আদায় হওয়া পর্যন্ত এ বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে।

শনিবার (৩১ আগস্ট) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিক্ষোভকারীরা শহর জুড়ে বিক্ষোভ মিছিল করায় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস ও জলকামান নিক্ষেপ করে।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/31/1567253852370.jpg

শহরজুড়ে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী এ বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেয় এবং সরকারি আইন পরিষদ ভবনে হামলা চালায়। বিক্ষোভকারীরা সরকারি দফতরে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে বলে জানায় দেশটির পুলিশ। 

আরও পড়ুন: গণবিক্ষোভের মুখে হংকংয়ে সরকারি দফতর বন্ধ ঘোষণা

এরিক (ছাত্র, ২২) নামে এক বিক্ষোভকারী বলেন, আমাদেরকে বিক্ষোভ করতে মানা করা নিঃশ্বাস নিতে নিষেধ করার শামিল। আমি মনে করি আমাদের গণতন্ত্র রক্ষায় যুদ্ধ করে যেতে হবে। হয়ত আমরা জিতব নাহ হয় হেরে যাব কিন্তু লড়াইটা লড়ে যাব।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করা বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী ও দেশটির সংসদ সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন: হংকংয়ে পার্লামেন্ট ভবন ভাঙচুর

এদিকে শুক্রবার (৩০ আগস্ট) হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যাম চীনের কেন্দ্রীয় সরকারের নিকট বিক্ষোভকারীদের পাঁচটা দাবি মূল্যায়ন করে একটি প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।

সেখানে ক্যারি ল্যাম হংকংয়ের চলমান অস্থিতিশীল অবস্থা শিথিলের লক্ষে প্রত্যর্পণ বিল প্রত্যাহারের আবেদন জানায়। কিন্তু ক্যারি ল্যামের এ প্রতিবেদন প্রত্যাহার করে চীনের কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু তাই নয় চীন সরকার বিক্ষোভকারীদের কোন দাবি মেনে না নেওয়ার জন্যও নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন: হংকংয়ে বিক্ষোভ: ক্যারি ল্যামের পদত্যাগ দাবি

উল্লেখ্য, চীন সরকারের নিকট প্রতিবেদনে প্রত্যর্পণ বিল প্রত্যাহারের পাশাপাশি অন্যান্য দাবিগুলো ছিল- বিক্ষোভের একটি স্বাধীন তদন্ত করা, সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক নির্বাচন, প্রতিবাদকে 'দাঙ্গা' বলা থেকে বিরত, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বাতিল করা।

আরও পড়ুন: গণবিক্ষোভের মুখে হংকংয়ে সরকারি দফতর বন্ধ ঘোষণা

চীনের প্রত্যর্পণ বিলের প্রতিবাদে নতুন ‘আমব্রেলা মুভমেন্ট’