লঙ্কানদের উড়িয়ে সেমির দাবি পোক্ত করলো কিউইরা

  • স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

টানা চার জয়। সেঝান থেকে টানা চার হার। আসরে শুরুতে সেমির সেই সহজ সমীকরণ বেশ দুর্বোধ্য বানিয়ে ফেলে কিউইরা। সেমিতে পৌঁছাতে নিজের শেষ ম্যাচে জয় তো অবশ্যই দরকার, সঙ্গে দরকার রান-রেটের ভালো অবস্থান। কিউইদের লক্ষ্য ঠিক এটিই ছিল। ১৬০ বল হাতে লঙ্কানদের অল্পে থামিয়ে ৫ উইকেটের সহজ জয় তুলে নিয়ে সেমির দৌড়ে নিজেদের অবস্থান বেশ শক্তপোক্ত করলো কেন উইলিয়ামসনের দল।

এই জয়ে সেমিতে নিজেদের জায়গা অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেছে নিউজিল্যান্ড। তবে কাগজে-কলমে তালিকার তাদের ঠিক নিচে থাকা পাকিস্তানও আছে সেই দৌড়ে। যদিও পাকিস্তানকে নিজেদের শেষ ম্যাচে জিততে হবে বিশাল ব্যবধানে।

বিজ্ঞাপন

বেঙ্গালুরুতে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ছন্দহীন ব্যাটিংয়ে ৪৬ ওভার ৪ বলে ১৭১ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।

সহজ সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথমে কিছুটা সাবধানী থেকে খেলতে থাকেন ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্র। তবে সমইয় গড়ালে থিতু হয়ে চড়াও হতে থাকেন বোলারদের ওপর। প্রথম পাওয়ারপ্লেতেই তুলে নেন ৭৩ রান। তবে সেই রানের গতিতে কিছুটা ভাটা পড়ে ইনিংসের ১৩ ও ১৪তম ওভারে এসে। দুই রানের ব্যবধানে দুই ওপেনারের উইকেট হারায় কিউইরা। ৪২ বলে ৪৫ রান করে ফেরেন কনওয়ে। ঠিক ওভারে রাচিনও (৪২) একই রাস্তা মাপেন।

অধিনায়ক উইলিয়ামসনকে নিয়ে শুরুর সেই ধাক্কা সামলে এগোতে থাকেন ড্যারিল মিচেল। তবে এদিন বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না কিউই অধিনায়ক। দলীয় ১৩০ রানের মাথায় ম্যাথিউসের বলে ইনসাইড এজে ফেরেন তিনি (১৪)। ম্যাথিউসের পরের ওভারেই আরেকটি উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। মিচেলের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটে কাটা পড়ে ফেরেন মার্ক চ্যাপম্যান (৭)।

তবে রানের চাকা সচল রাখেন মিচেল। তবে ফিরলেন জয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে। এর আগে ৩১ বলে ৪৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। টম ল্যাথামকে স্বল্প দূরত্বের বাকি পথ পাড়ি দেন গ্লেন ফিলিপস। পাঁচ উইকেট ও ১৬০ বল হাতে রেখে আসরের নিজেদের পঞ্চম জয় তুলে নেয় কিউইরা। ম্যাথিউস নেন দুটি উইকেট। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নড়বড়ে লঙ্কান ব্যাটাররা। দ্বিতীয় ওভারে আসরে দারুণ ছন্দে থাকা পাতুম নিশাঙ্কাকে (২) ফেরান টিম সাউদি। এরপরই শুরু হয় বোল্টের তাণ্ডব। পঞ্চম ওভারে অধিনায়ক কুশল (৬) ও সাদিরা সামারাবিক্রমাকে (১) ফেরান তিনি।

এরপর চারিত আসালাঙ্কাকে নিয়ে এগোতে থাকেন আরেক ওপেনার কুশল পেরেরা। অন্য প্রান্তে একের পর এক উইকেট পড়তে থাকলেও ঝোড়ো গতিতে রান তুলতে থাকেন পেরেরা।

অষ্টম ওভারে আবারও আঘাত হানেন বোল্ট। লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে ফেরান আসালাঙ্কাকে (৮)। তবে ব্যাট হাতে আগ্রাসন জারি রাখেন পেরেরা। ২২ বলে তুলে নেন ফিফটি। সেখান থেকে আর ইনিংস লম্বা করতে পারলেন না তিনি (৫১)। দলীয় ৭০ রানের মাথায় ফেরেন ফার্গুসনের বলে। তবে তখনও পাওয়াপ্লেতে বাকি তিন বল, এর আগে সাজঘরে অর্ধেক লঙ্কান ব্যাটিং।

শেষ দিকে মাহিশ থিকশানা কিছুটা দঢ়টা দেখালেও বাকি ব্যাটারও ছিলেন নিষ্প্রভ। একসময় মনে হচ্ছিল ১৫০ ছোঁয়ার আগেই থেমে যাবে তারা। তবে সেখানে দিলশান মাদুশাঙ্কাকে নিয়ে লড়াই চালান থিকশানা। দশম উইকেটে তাদের ৪২ রানের জুটিতে শেষ পর্যন্ত ১৭১ রানের সংগ্রহ পায় লঙ্কানরা। ৯১ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন থিকশানা।

কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন বোল্ট। লকি ফার্গুসন, রাচিন রবীন্দ্র ও মিচেল সান্টনার নেন দুটি করে উইকেট।