বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়াল
বিষয়টা অনুমিতই ছিল। তার ব্যতিক্রম হলে বিষয়টা বিস্ময়কর কিছু হতো। তা হয়নি, তাবিথ আউয়ালই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নতুন সভাপতি হলেন। তিনি এই পদে নির্বাচিত হলেন ১২৩ ভোট পেয়ে।
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে সকাল থেকে শুরু হয় বার্ষিক সাধারণ সভা। তা শেষে দুপুর ২টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। যা শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টায়।
আজ এই নির্বাচনে বাফুফের ১৩৩ জন কাউন্সিলরের মধ্যে পাঁচ জন ভোট দেননি। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন তরফদার রুহুল আমিন, যিনি সভাপতি পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে মনোনয়ন নেন সিনিয়র সহ-সভাপতি পদের। শেষমেশ এই পদ থেকে নিজে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। যার ফলে এ পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেন ইমরুল হাসান।
বাফুফে সহ-সভাপতি পদে হারলেন সাবেক দুই তারকা ফুটবলার সৈয়দ রুম্মন বিন ওয়ালী সাব্বির ও শফিকুল ইসলাম মানিক। সহ-সভাপতি পদে অন্য চার প্রার্থী শাহরিয়ার জাহেদী, ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, সাব্বির আহমেদ আরিফ ও ফাহাদ করিম জয়লাভ করেছেন।
১১৫ ভোট পেয়ে প্রথম সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন শাহরিয়ার জাহেদী। জাহেদী যশোরের শামসুল হুদা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা। লক্ষীপুর জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের কাউন্সিলর ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি ১০৮ ভোট পেয়েছেন।
ব্রাদার্স ইউনিয়নের সদস্য সচিব সাব্বির আরেফ ৯০ ভোট পেয়ে তৃতীয় ও ফাহাদ করিম ৮৬ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন। দেশের কিংবদন্তি ফুটবলার সৈয়দ রুম্মন বিন ওয়ালী সাব্বির ৬৬ ও আরেক সাবেক ফুটবলার শফিকুল ইসলাম মানিক পেয়েছেন ৪২ ভোট।
১২৮ ভোটারের মধ্যে ৫ জন ভোট দেননি তাবিথ আউয়ালকে। এ পাঁচটি ভোট গেছে তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মিজানুর রহমানের ব্যালটে। বাকি ১২৩টি ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হলেন তাবিথ, যিনি গেল বাফুফে নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন করে টাইব্রেকারে হেরেছিলেন।
এ নির্বাচন বাফুফেতে কাজী সালাউদ্দিন যুগের ইতি টেনে দিল। ১৬ বছর সভাপতির মসনদে ছিলেন তিনি। তবে এবার তিনি নির্বাচনে লড়াই না করার ঘোষণা দেন।