সাকিবকে ছাড়াই ভারতের বিপক্ষে নামছে বাংলাদেশ?

  • এম. এম. কায়সার, পুনে থেকে
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সাকিব ফিট নাকি আনফিট - ভারত ম্যাচের আগের দিন সে প্রশ্নের নিয়েই সংবাদমাধ্যমের কৌতূহল ছিল তুঙ্গে। তাই সংবাদ সম্মেলনে প্রথম প্রশ্নটাই ছিল সাকিব আল হাসানকে নিয়ে। সাকিব কি খেলছেন পুনে ম্যাচে?

কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের সোজাসাপ্টা জবাব, 'ম্যাচের দিন সকালে সিদ্ধান্ত হবে। সাকিবের চোটের স্ক্যান হয়েছে আজ। রিপোর্ট এখনো পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার অনুশীলনে সাকিব লম্বা সময় ব্যাটিং করেছে। দৌড়াদৌড়ি করেছে। তখন তার কোনো সমস্যা চোখে পড়েনি।'

বিজ্ঞাপন

তবে সাকিব প্রসঙ্গে সেখানেই কথা শেষ করেননি হাথুরুসিংহে। ভারতের বিপক্ষে সাকিব খেলবেন কিনা তা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তার গন্ধও পাওয়া তার কথায়, 'রিপোর্ট যদি ঠিক না আসে, তাহলে ভারতের বিপক্ষে তাকে ছাড়াই খেলতে হবে।'

সাকিবের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে কোচ বলেন, ‘মঙ্গলবার ব্যাটিং নেটে ভালো সময় কেটেছে তার। রানিং বিটুইন উইকেটও করেছে কিছুটা। আজকে তার যে স্ক্যান হয়েছে আমরা তার সেই স্ক্যান রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি। নেটে ব্যাটিং করলেও সাকিব বোলিং করেনি। আমরা ম্যাচের দিন সকালে তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করব, তারপর সিদ্ধান্ত নেব।’

সেই সিদ্ধান্ত হবে সাকিব এই ম্যাচে খেলছেন কী খেলছেন না। তা কিসের ভিত্তিতে নেয়া হবে সিদ্ধান্ত?

কোচের উত্তরটা ছিল এমন- ‘সে যদি খেলার জন্য তৈরি না থাকে তাহলে আমরা কোনো ঝুঁকি নেবো না। আর যদি খেলার জন্য প্রস্তুত থাকে তাহলে খেলার সুযোগ আছে তার।’

সকালে সাকিব তার চোটের স্ক্যান করিয়েছেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত সেই স্ক্যান রিপোর্ট মেডিকেল টিমের কাছে জমা হয়নি, এই তথ্য বিশ্বাস করা বেশ কঠিন। স্ক্যান রিপোর্ট অবশ্যই পেয়েছে মেডিকেল টিম এবং সেই রিপোর্ট যে সাকিবের খেলার পক্ষে না- সেটাও প্রায় নিশ্চিত। কিন্তু এই ম্যাচে সাকিবের না খেলার কথা এখনই জানাতে চাইছে না দল। ম্যাচের দিন টস করতে সাকিবের জায়গায় নাজমুল হোসেন শান্ত নামলেই তো সবাই এমনিতেই জানবে।

সার্বিক পরিস্থিতি জানাচ্ছে এই ম্যাচে সাকিবকে ছাড়াই খেলতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।

তাহলে এই ম্যাচে খেলা না খেলার বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্তটা আসছে কার কাছ থেকে। ফাইনাল কলটা কি সাকিবের?

কোচ এই প্রক্রিয়ার বিস্তারিত ব্যাখায় বললেন-‘ এসব ক্ষেত্রে মেডিকেল বিভাগ তাদের মতামত জানায়। তারা সংশ্লিষ্ঠ খেলোয়াড়ের ব্যাপারে সবুজ অথবা লাল সংকেত দেয়। তারা টিম ম্যানেজমেন্টকে জানায় চোটে থাকা খেলোয়াড়ের সার্বিক অবস্থা বা পরিস্থিতি এখন কেমন। তারা যদি মনে করেন খেলতে নামলে খেলোয়াড়ের কোনো ঝুঁকি নেই। তখন ওই খেলোয়াড়কে বলা হয় তোমার মতামত কী। তুমি কি খেলতে চাও নাকি বিশ্রাম নিবে। ঠিক তখন কোচ এবং অধিনায়কও পরিকল্পনা করেন এই খেলোয়াড়কে তারা দলে চান কিনা। তারা ওই খেলোয়াড়ের কাছ থেকে ব্যাটিং- বোলিং দুটোই চান, নাকি শুধু যে কোনো একটা হলে চলবে।’

সংবাদ সম্মেলন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বাংলাদেশ কোচ এই প্রতিবেদককে বললেন, ‘আমি সকালে কোনো শুভ সংবাদের আশায় আছি। তবে তার খেলার সম্ভাবনা বেশ কঠিন।’

যদিও আগের দিন মহারাষ্ট্র ক্রিকেট এসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে দুপুরে বাংলাদেশ দলের অনুশীলন করেন অধিনায়ক সাকিব।সেদিন উপস্থিত দেশি বিদেশি পুরো মিডিয়ার আকর্ষণের কেন্দ্রতে থাকলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ফুটবল খেলাতে ঘাম ঝরিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করেন সাকিব। মাঠের অনুশীলনে বাম পায়ে বেশ কয়েকটি শট নিয়ে জানিয়ে দেন চোট মুক্তি হয়েছে। অনুশীলনের সেশনের ফাঁকে আইসিসির একটি টেলিভিশনকে সাক্ষাৎকারও দেন সাকিব।