হঠাৎ করেই নাজমুল হোসেন শান্ত নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তাতেই রীতিমতো উত্তাল বাংলাদেশ ক্রিকেটাঙ্গন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কর্তারাও দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন। সিরিজের মাঝ পথে শান্তর এমন ঘোষণা দলেও প্রভাব পড়ছে কীনা এনিয়েও হচ্ছে। অবশ্য বাংলাদেশ ক্রিকেটে এমনটা নতুন নয়। সিরিজ কিংবা বিশ্বকাপ চলার সময় মাঠের বাইরের নানা ঘটনায় পরিবেশটা ক্রিকেটাররাই অন্যরকম করে দেন।
এই ব্যাপারটি নিয়েই এবার প্রশ্ন তুললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। বাংলাদেশের প্রাক্তন এই অধিনায়ক মনে করেন, জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব এখন অনেকটা খেলায় পরিণত হয়ে গেছে। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান মনে করেন এটা দুঃখজনক একটা ব্যাপার।
এনিয়ে আমিনুল ইসলাম বুলবুল তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে সোমবার লিখলেন, ‘খুবই দুঃখজনক যে সিরিজের সময় ক্রিকেটের বাইরে অন্য বিষয়গুলোতে সবার মনোযোগ চলে যায়, বিশেষ করে দলের অধিনায়ককে ঘিরে। জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব এখন অনেকটা খেলায় পরিণত হয়ে গেছে। এর যথাযথ মূল্য আমরা দিচ্ছি না।’
সঙ্গে আমিনুল ইসলাম বুলবুল আরও যোগ করলেন, ‘একটা সিরিজের আগে আমাদের কত কিছু বিশ্লেষণ করতে হয়, যেমন - Opponent analysis • Team composition • Tactical requirements • Strategic priorities • Individual and team performance। এত কিছু মাথায় রেখে বাইরের বিষয় নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়া কি করে সম্ভব? বোর্ডের দায়িত্ব অধিনায়ককে ফোকাসে রাখতে এবং দলকে খেলায় মনোযোগী হতে সহায়তা করা। এই বিষয়গুলিতে সঠিক মনোযোগ না দিলে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স সম্ভব নয়।’
সঙ্গে একটা আক্ষেপও থাকল কিংবদন্তি এই ক্রিকেটারের। যিনি এখন আইসিসির সঙ্গে কাজ করছেন। বুলবুল তার স্ট্যাটাসে আরও লিখলেন, ‘ইদানীং ক্রিকেট নিয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণও চোখে পড়ে না-যেমন একটি ইনিংস তৈরি, দুর্দান্ত বোলিং স্পেল, ফরওয়ার্ড শর্টলেগে চমৎকার ক্যাচ, কিংবা সময়মতো বোলিং পরিবর্তন। এ ধরনের আলোচনা যেন হারিয়েই গেছে।’
ঢাকা টেস্টের স্কোরকার্ড দেখলে বাংলাদেশ দল প্রথম ইনিংসের চেহারা দেখে দুঃখ পাবে। মুলত এই টেস্টে হারের হিসেব যে ওখানেই লেখা হয়ে যায় বাংলাদেশের। টেস্ট ম্যাচের প্রথমদিনে মাত্র অর্ধেক বেলায় ১০৬ রানে দল গুটিয়ে যাওয়ার পরের অধ্যায় যে হারের জন্য কেবল পথ চেয়ে বসে থাকা! আর তাই দ্বিতীয় ইনিংসে তিনশ প্লাস স্কোর গড়েও ম্যাচে বড় হার বাঁচাতে পারেনি বাংলাদেশ। ঢাকা টেস্ট হারে স্বাগতিকরা চতুর্থদিনের সকালের সেশনেই ৭ উইকেটে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০৭ রান তুললেও বাংলাদেশের শুরুর ছয় ব্যাটার যখন ফিরে যান তখন দলের স্কোর মাত্র ১১২ রান! সপ্তম উইকেট জুটিতে মেহেদি হাসান মিরাজ ও জাকের আলীর অনিকের হাফসেঞ্চুরির কল্যাণে ৩০৭ রান করে বাংলাদেশ দল। মেহেদি হাসান মিরাজ শেষ ব্যাটার হিসেবে যখন আউট হন তখন তার রান ৯৭। জীবনের প্রথম টেস্ট খেলতে নামা জাকের আলী অনিকের ব্যাট হাসে ৫৮ রানে। কিন্তু ম্যাচে বাংলাদেশ যে হাসতে পারলো না।
জয়ের হাসি নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা এখন চট্টগ্রামে। ২৯ অক্টোবর (বুধবার) থেকে শুরু হতে যাওয়া চট্টগ্রাম টেস্টে সেই হাসিটা আরো চওড়া করতে চায় তারা। সিরিজটা ২-০ তে জিতলে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেরর ফাইনালে খেলার সম্ভাবনার পথটা আরেকটু সবুজ হবে। আর বাংলাদেশের সামনে একটাই লক্ষ্য সিরিজ বাঁচাতে হলে চট্টগ্রামে টেস্টে জিততেই হবে।
টেস্টে বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত বিষয় হলো দলের ব্যাটিং। এক থেকে ছয় নম্বর-এই পজিশনের ব্যাটারা হঠাৎ যেন নেতিয়ে গেছেন। ভারতে দুই টেস্টের সিরিজের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও প্রথম টেস্টে দলের শীর্ষ ছয় ব্যাটারের একই বেহাল অবস্থা। বড় রান নেই তাদের ব্যাটে। অথচ টেস্ট ম্যাচে ভালো করার প্রাথমিক শর্তই হলো শুরুর ছয় ব্যাটারের মধ্য অন্তত দুই তিনজনকে বড় রান করতে হবে। তবেই না দলের ইনিংস বড় হবে। কিন্তু শুরুর এবং মিডলঅর্ডারের এই ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বাংলাদেশের ইনিংস আটকে যাচ্ছে দুশো বা এর আশে পাশে। এত কম স্কোর নিয়ে টেস্টে প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানানো তো দুরের কথা, ম্যাচ বাঁচানোও যায় না।
চট্টগ্রাম টেস্টে কি সেই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারবে বাংলাদেশ? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই বুধবার থেকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে সিরিজের দ্বিতীয় এবং শেষ টেস্ট। এই টেস্ট দিয়েই সম্ভবত শেষ হচ্ছে নাজমুল হোসেন শান্তর অধিনায়ক অধ্যায়। অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন শান্ত। বিসিবি এখনো তার এই সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোনো উত্তর দেয়নি। তবে যিনি অধিনায়কত্ব করতে রাজি নন, এমন কাউকে থেকে যাওয়ার অনুরোধ করাও যৌক্তিক কিছু নয়। এই টেস্ট ম্যাচে শান্ত যদি বড় রান না পান তাহলে টেস্ট একাদশেই তার অর্ন্তভুক্তি নিয়ে পরে প্রশ্ন উঠবে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র (ডিআরইউ) আয়োজনে এবং ওয়ালটন হাইটেক ইন্ড্রাস্টিজ পিএলসির সহযোগিতায় চলমান ‘ওয়ালটন-ডিআরইউ’ ক্রীড়া উৎসব-২০২৪ এর পুরুষদের অকশন ব্রিজ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন সময়ের কাগজ টোয়েন্টি ফোর ডটকমের শহীদুল ইসলাম-দৈনিক প্রভাতের এস এম আবুল হোসেন জুটি।
ফাইনালে এই জুটির কাছে হেরে রানার আপ হয়েছেন জাগো নিউজ টোয়েন্টি ফোর ডটকমের সাঈদ শিপন-দৈনিক কালবেলার এনায়েত শাওন জুটি। আর তৃতীয় স্থান অধিকার করছেন দৈনিক নয়া দিগন্তের আবু সালেহ আকন- দ্য ডেইলি স্টারের দীপন নন্দী।
আজ সোমবার (২৮ অক্টোবর) ক্রীড়া সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমানের পরিচালনায় ডিআরইউ’র ক্রীড়াকক্ষে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় উপস্থিত ছিলেন অর্থ সম্পাদক মো. জাকির হুসাইন, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, তথ্য-প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক রাশিম মোল্লা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. মনোয়ার হোসেন, কাযনির্বাহী সদস্য রফিক মৃধা ও দেলোয়ার হোসেন মহিন।
শেষ অব্দি চাকরি চলেই গেল এরিক টেন হাগের। ওয়েস্ট হামের কাছে হেরে গেছে ১-২ গোলে হারের পর দিনই শুনলেন দুঃসংবাদ। তাকে ছাঁটাই করল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড!
অবশ্য চাকুরীটা হারাতে পারতেন গত মৌসুমেই। কিন্তু ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে এফএ কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে বেঁচে যান। এই মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ভরাডুবি চলছেই। ৯ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকায় দল চলে গেল ১৪ নম্বরে। এখান থেকেই বিদায় নিতে হলো তাকে।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ এরিক টেন হাগের বিদায়ের খবরটি নিশ্চিত করেছেন ইতালিয়ান সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানো।
এরপর ইউনাইটেড তাদের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করে। সেই বিবৃতিতে তারা লিখেছে, ‘আমাদের সঙ্গে তার সময়কালে যা করেছেন তার জন্য আমরা এরিকের কাছে কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতের জন্য তার মঙ্গল কামনা করছি। একজন স্থায়ী কোচ নেওয়ার আগ পর্যন্ত কোচিং স্টাফদের সমর্থনে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচ হিসাবে দলের দায়িত্ব পালন করবেন রুড ফন নিস্টেলরয়।’
২০২২ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ হন হাগ। ২০২৫ সাল পর্যন্ত চুক্তি ছিল তার। গত মৌসুমের পারফরম্যান্সের পর্যালোচনার পরে ২০২৬ সাল পর্যন্ত তার চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। আরও ২১ মাস মেয়াদ থাকতেই এই ডাচ কোচকে বিদায় করল ম্যানইউ।
এই সময়টা ভাল না কাটলেও শেষ ছয় বছরের মধ্যে টেন হাগই ইউনাইটেডের সবচেয়ে সফল কোচ। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ক্লাবটির হয়ে দুটি ট্রফি জিতেছেন তিনি। গত মৌসুমের এফএ কাপ ও কারাবাও কাপ জেতেন।