লঙ্কানদের রান পাহাড় ডিঙিয়ে পাকিস্তানের টানা দুই

  • স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি:সংগৃহীত

ছবি:সংগৃহীত

বিশ্বকাপে প্রথম জয়ের খোঁজে মেন্ডিস-সামারাবিক্রমার সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ের চূড়ায় উঠেছিল শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তানকে টার্গেট ছুড়েছিল ৩৪৫ রানের। তবে আব্দুল্লাহ শফিকের সেঞ্চুরি ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের অপরাজিত ১৩১ রানের অনবদ্য ইনিংসে শেষ পর্যন্ত সেই রানও জয়ের জন্য যথেষ্ট হলো না লঙ্কানদের। ১০ বল ৬ উইকেট হাতে রেখে লঙ্কানদের হারিয়ে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। তাতে এশিয়া কাপে লঙ্কানদের বিপক্ষে হারের প্রতিশোধটাও নেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের। 

বড় টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি পাকিস্তানের। ৩৭ রানের মাথায় ইমাম-উল-হক ও অধিনায়ক বাবর আজমের উইকেট হারায় দলটি। পরে অবশ্য সেই চাপ বেশ ভালোভাবেই সামলে নিয়েছেন শফিক ও রিজওয়ান। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৭৬ রান যোগ করেন তারা। সাজঘরে ফেরার আগে ১০৩ বলে ৩ ছয় ও ১০ চারে ১১৩ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে যান শফিক। সেই ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে পরবর্তীতে সেঞ্চুরি আদায় করে নেন রিজওয়ান। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি পাকিস্তানকে। ৬ উইকেট হাতে রেখে শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে ম্যাচটা ছিনিয়ে নেয় বাবর আজমের দল।

এর আগে গত ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিশ্বকাপের রেকর্ড সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে শুরুতে ব্যাট হাতে নেমে যেন সেই রেকর্ডে ভাগ বসাতে চেয়েছিল লঙ্কানরা। শুরু থেকেই পাকিস্তানি বোলারদের ওপর ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়েছে লঙ্কানরা। তবে মাঝে রানে কিছুটা লাগাম টানে পাকিস্তান। ফলে কুসাল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমার ঝড়ো সেঞ্চুরির পরও লঙ্কনাদের স্কোর থেমেছে ৯ উইকেটে ৩৪৪-এ। 

হায়দরাবাদে এদিন টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন কুসাল পেরেরা। শুরুর ধাক্কা বেশ ভালোভাবেই সামলে নেন পাথুম নিশাঙ্কা ও মেন্ডিস। নিশাঙ্কা কিছুটা দেখেশুনে ব্যাট চালালেও আগ্রাসী ছিলেন মেন্ডিস। ৬১ বলে ৫১ রানে নিশাঙ্কা ফেরার পর ৭৭ বলে ৬ ছক্কা ও ১৪ চারে ১২২ রানের ইনিংস খেলে লঙ্কানদের বড় রানের ভিত গড়ে দিয়ে যান মেন্ডিস।

মেন্ডিস ফেরার পর সামারাবিক্রমা মন দেন দ্রুত রান তোলায়। তবে বাকিদের কাছ থেকে সঙ্গ পাননি খুব একটা। শেষমেশ তিনি ৮৯ বলে ১০৮ রান করে ফিরলে কমে আসে রানের গতি। ইনিংস বড় করা কিংবা দ্রুত স্টার করতে পারেনি বাকিরা। ফলে যতটা আশা করা হয়েছিল ততটা রান আসেনি স্কোরবোর্ডে। ম্যাচ শেষে যা লঙ্কানদের হারের বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।