তরুণদের আনা হবে জাপার নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী জিএম কাদেরের হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন, ছবি: বার্তা২৪.কম

বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী জিএম কাদেরের হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন, ছবি: বার্তা২৪.কম

বিপদে-আপদে যারা জাতীয় পার্টির (জাপা) পাশে ছিল, যারা ক্রিম খেতে আসেননি। এমন তরুণ প্রজন্মকে জাপার নীতি নির্ধারণী পরিষদে আনা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

শনিবার (২৫ মে) জাপার বনানী কার্যালয়ে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর জাপায় যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় কুমিল্লা জেলা বিএনপির নেতা হুমায়ুন মুন্সীর নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী জিএম কাদেরের হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।

বিজ্ঞাপন

হুমায়ুন মুন্সী এক সময় জাতীয় পার্টিতে ছিলেন। ভুল বোঝাবুঝির কারণে জাপা ছেড়ে বিএনপিতে যোগদান করেছিলেন।

জিএম কাদের বলেন, আমি ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করার চেষ্টা করব। এমন নেতৃত্ব গঠন করতে চাই, যারা সাধারণ মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করতে চান। যারা রাজনীতিটাকে ব্যবসায়ীক হাতিয়ার মনে করেন না।

কোনো কাজ করতে গেলে বাঁধা বিপত্তি আসবে। আমরা এটাকে ভেঙে এগিয়ে যাব জনগণের শক্তি দিয়ে। সে শক্তি জাপার রয়েছে বলে মন্তব্য করেন জিএম কাদের।

তিনি বলেন, মানুষ চায় ত্যাগের রাজনীতি। তারা জাপার প্রতি তাকিয়ে আছে। কারণ তারা মনে করছেন, একমাত্র জাতীয় পার্টিই পারে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন আনতে। সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি চালু করতে।

ঈদের পর জেলা-উপজেলা কমিটি পুনর্গঠন করা হবে। যেখানে যে সমস্যা রয়েছে সেগুলো দূর করা হবে। ত্যাগীদের নেতৃত্বে আনা হবে বলে মন্তব্য করেন জিএম কাদের।

প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভুইয়া বলেন, অতীতের জাতীয় পার্টি থেকে জিএম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি অনেক বেশি শক্তিশালী হবে। কারণ বাংলাদেশের মানুষ এখন রাজনীতি বিমুখ, তারা পরিচ্ছন্ন নেতৃত্ব দেখতে চান। জিএম কাদেরের মতো পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ আওয়ামী লীগ-বিএনপিতে নেই।

জাপার ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন রাজুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যন্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর শিকদার লোটন, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, হাসিবুল ইসলাম জয় ও যুগ্ম দফতর সম্পাদক এমএ রাজ্জাক খান।