বিএনপি শুধু টিভি চ্যানেলে সীমাবদ্ধ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনী প্রচারণায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন

নির্বাচনী প্রচারণায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন

সিলেট-১ আসনে নৌকার প্রার্থী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিএনপির নেতারা শুধু টিভি চ্যানেলের টকশোতে সীমাবদ্ধ। জনগণের কাছে তাদের কোনো মূল্য নেই। কারণ তারা জনগণের জন্য রাজনীতি করে না, ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সিলেটে নির্বাচনী প্রচারকালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

বিএনপির অসহযোগ আন্দোলনের ডাক কীভাবে দেখছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, না, এগুলো কোনো কাজে দেবে না। ওরা ভুল করেছে। এখন নিজেরা পস্তাচ্ছে। তাদের নির্বাচনে আসা উচিত ছিল, আসেনি। এখন তাদের নেতৃত্ব বজায় রাখার জন্য এগুলো। তারা একটা সুযোগ হারিয়েছে।

ড. মোমেন বলেন, জনগণের কাছে তাদের কোনো মূল্য নেই। কারণ তারা জনগণের জন্য রাজনীতি করে না, ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে। এসময় তিনি একটি অবাধ সুষ্ঠু উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য ভোটারদেরকে নিজের পছন্দ মতো প্রার্থীকে ভোট দেবার আহবান জানান।

তিনি আরও বলেন, তারা (বিএনপি) নির্বাচনে আসলে তাদের নেতা-কর্মীরা কিছুটা চাঙ্গা হতো। রাজনীতি তো মানুষের জন্য। রাজনীতি মানুষ ধ্বংস করে হয় না। রাজনীতি দেশের জন্য। রাজনীতি মানে বাস-ট্রাক-রেলওয়ে জ্বালানো না। তাদের পথটা ঠিক না। তাদের নেতৃত্বের পরিপক্বতার অভাব- এজন্য তারা সুযোগ হারাচ্ছে।

নির্বাচনের দিন ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর ব্যাপারে দলের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সে জন্য বিভিন্ন জায়গায় যাব। মানুষের ঘরে ঘরে যাব। দুঃখজনক ব্যাপার যে, শিক্ষিত লোকরা বা একটু পয়সাওয়ালা লোকরা ভোটকেন্দ্রে আসেন না। তাদেরও আমরা অনুরোধ করব যেন তারা ভোট কেন্দ্রে আসেন। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ বেশি ভোট দেয়। তাদের কাছে আমরা যাব, যেন তারা ভোট কেন্দ্রে আসে। ভোটকেন্দ্রে এসে তাদের যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবে।

বাংলাদেশের পোশাকশ্রমিকদের মজুরি বাড়াতে সরকারকে চাপ দিতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বৈশ্বিক ক্রেতাদের সংগঠন আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার-কে (এএএফএ) চিঠি দিয়েছেন দেশটির ৮ কংগ্রেসম্যান।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি কংগ্রেসম্যানদের ধন্যবাদ দেই। তারা একটা কাজ করতে পারে। আমাদের শ্রমিকের (ন্যূনতম) বেতন ৮ হাজার টাকা ছিল, প্রধানমন্ত্রী ৫৬ শতাংশ বাড়িয়ে সাড়ে ১২ হাজার করেছেন। ওরা (মার্কিন কংগ্রেসম্যান) প্রায় তিন গুণ বাড়াতে চাচ্ছে। ৮ হাজার থেকে ২৩ হাজার করতে চাচ্ছে। নিউইয়র্কে প্রতিঘণ্টায় শ্রমিকের মজুরি ১৫ ডলার। তারা যদি তাদের মজুরি ঘণ্টায় ৪৫ ডলার করে তাহলে তারা আমাদের লোকদের বেশি পয়সা দিতে পারবে। তারা যদি আমাদের লোকদের বেশি পয়সা দেয় আমরা খুব খুশি। এতে তাদের লোকদেরও তো ইনকাম দরকার। তাহলে ওদের তিনগুণ বাড়াক। ১৫ থেকে ৪৫ করুক। আমরাও তখন তাদের পথ অবলম্বন করব।