মাঠে থাকতে নেতাকর্মীদের শপথ করালেন ফখরুল

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মাঠে থাকতে নেতাকর্মীদের শপথ করালেন ফখরুল

মাঠে থাকতে নেতাকর্মীদের শপথ করালেন ফখরুল

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারামুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকতে নেতাকর্মীদের শপথ করিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল বলেন, এটা আমাদের জীবন-মরনের সমস্যা। আমাদের অধিকারের সমস্যা। ১৯৭১ সালে যে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছিলাম সে স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার সমস্যা। খালেদা জিয়া দেশের মাটির সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য। আমাদের মা এবং মাটি বলতে খালেদা জিয়াকে বুঝি। এ নেত্রীকে অবশ্যই আমাদের মুক্ত করতে হবে। তার জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে আমরা প্রস্তুত আছি।

বিজ্ঞাপন

নেতাকার্মী উদ্দেশে তিনি বলেন, আসুন দুই হাত তুলে শপথ গ্রহণ করি, দেশনেত্রীকে তার চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণ না করা পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাবো না।

শনিবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে আয়োজিত গণঅনশন কর্মসূচিতে এ শপথ করান ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে এ সরকারকে গণঅনশন থেকে পরিষ্কার ভাষায় বলে দিতে চাই। খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে তাকে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। আর তা না হলে গণঅনশনের মধ্য দিয়ে আজকে আন্দোলন শুরু হলো, আপনাকে গতিচ্যুত করবে।

কর্মসূচি ঘোষণা

মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে পাঠিয়ে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে আগামী ২২ নভেম্বর ঢাকাতে প্রেসক্লাবের সামনে আমদের সমাবেশ একই সঙ্গে সারা দেশে মহানগর, জেলা এবং উপজেলা গুলোতে সমাবেশ হবে। আমরা আবারো এই দাবি নিয়ে সামনে আসবো। তারপরও যদি না হয় আবারো কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

বিএনপি মাহসচিব বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আজকে এতো অসুস্থ, তিনি আজকে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। আমি ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেছি বারবার, বিদেশি ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বলেছেন বাংলাদেশে যা চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব এখানে তারা তা দিচ্ছেন দিয়েছেন। তার কিছু জটিলতা আছে বিদেশে আরো এডভান্স সেন্টার ট্রিটমেন্ট না হলে তাকে সুস্থ করা যাবে না।

তিনি বলেন, তার পরিবার থেকে আবেদন জানানো হয়েছিলো তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার জন্য তারা সে সুযোগ দেয়নি। ফিরিয়ে দিয়েছে। উপরন্তু পার্লামেন্ট সংসদ নেত্রী এমন ভাষায় কথা বলেছেন, যে ভাষা কোনো মতে গ্রহণযোগ্য নয়। এবং মিথ্যাচর করেছেন আইনমন্ত্রী। ৪০১ ধারায় সরকারের সম্পূর্ন অধিকার আছে। এবং এটা তাদের দায়িত্ব। নির্দেশ দিয়ে বিদেশে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে এবং প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর সঞ্চালনায় খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে অনশন কর্মসূচিতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু,বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, আহমেদ আযম খান, শামসুজ্জামান দুদু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ।

এছাড়াও মিত্র দলের জেএসডি সভাপতি আসম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার চৌধুরী বুলবুল, জামাতের আব্দুল হালিম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।