‘সাকিব-তামিম ছাড়া খেলোয়াড় নেই, তৈরিতেও পদক্ষেপ নেই’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজন (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজন (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ

দেশে সাকিব-তামিম ছাড়া আর কোনও খেলোয়াড় নেই। আগামীর খেলোয়াড় তৈরিতেও কোনো পদক্ষেপ নেই বলে মনে করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজন (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, একটা সময়ে তেমন অর্থই ছিল না। খেলোয়াড়রা পকেটের টাকা দিয়ে খেলতো। এখন অর্থই অর্থই! বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে ৯০০ কোটি টাকা ডিপোজিট আছে, এইটা গর্ব করার বিষয় হলো? কয়টা খেলোয়াড় আছে? সাকিব-তামিম ছাড়া আমি তো আর কোনও খেলোয়াড় দেখি না। আমাদের আগামীর খেলোয়াড় তৈরিতে কোনও পদক্ষেপ নেই।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টস ইউনিটিতে 'বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে জিয়া পরিবারের অবদান' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ক্রীড়া কমিটি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক।

মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আজকে ক্রীড়া সংগঠক কারা? খুব খারাপ লাগে, একসময় মোহামেডান ক্লাবে খেলেছি। আজকে সে ক্লাব নাকি ক্যাসিনোর আড্ডা। মদের বোতল পাওয়া যায়। এইটা দেখার আগে মৃত্যু হলো না কেন?

পাকিস্তান আমলে খেলাধুলার মধ্যে রাজনীতি ছিল না উল্লেখ করে পাকিস্তান জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক এই সদস্য বলেন, ৭৩ সালে ধীরে ধীরে পাতানো খেলা শুরু হলো। তখন ক্রীড়াঙ্গনে আওয়ামী লীগের অনুপ্রবেশ হয় মাস্তানদের মাঠে প্রবেশ করানোর মধ্য দিয়ে। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম খেলায় ধস নেমেছিল ৭২ সালে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে মোহাম্মদ হানিফ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ছিল। অথচ তিনি খেলতেই পারেন না। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে কাজী গোলাম মোস্তফা সাহেব ফেডারেশনের দায়িত্ব পান। তিনি কোনোদিন খেলায় অংশ নেননি।

তিনি বলেন, খেলাধুলা থেকে রাজনীতিকে দূরে রাখার একটা স্লোগানই ছিল। আজকে বর্তমান সরকার খেলাধুলার মধ্যে রাজনীতি ঢুকিয়েছেন। খেলাধুলা আর আওয়ামী লীগ এক সাথে যায না। নির্বাচন যেমন আগের রাতে করে, সব ক্ষেত্রেই তারা একইভাবে দুই নম্বরি কাজ করে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, জিয়াউর রহমান একজন ক্রীড়াপ্রেমী ছিলেন। একজন ভালো বক্সার ছিলেন। বেগম জিয়াও একজন ক্রীড়াপ্রেমী লোক।আন্তর্জাতিক ম্যাচ থাকার কারণে হরতাল প্রত্যাহার করেছিলেন খালেদা জিয়া।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়াল, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান প্রমুখ।