শুধু সরকারের সিদ্ধান্তে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী গুম হয়নি বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও গুম হওয়া বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর ফিরে পাওয়ার দাবিতে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আজ থেকে নয় বছর আগের এই দিনে রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে নিখোঁজ হন বিএনপির নেতা ইলিয়াস আলী। তার সঙ্গে নিখোঁজ হন তার গাড়িচালক আনসার আলীও।
ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় ফখরুল বলেন, স্বৈরাচারের শাসনে যখন বাংলাদেশ জর্জরিত ছিল, গণতন্ত্র চলে গেয়েছিল। সেই সময়ে যেসব ছাত্র নেতা ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ইলিয়াস আলী। ইলিয়াস আলী ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত সাহসী মানুষ ছিলেন। সত্য কথা বলতেন, সত্য কথা বলতে কোনো দ্বিধা করতেন না।
তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীর গুম হয়ে যাওয়া, নিখোঁজ হয়ে যাওয়া কাকতালীয় ব্যাপার বা তাকে গুম করা শুধু সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল বলে আমরা মনে করি না। আমাদের বুঝতে হবে কী কারণে তিনি নিখোঁজ হলেন। বাংলাদেশ স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রাক্ষায় যারা কথা বলে, তাদেরকেই অত্যন্ত সচেতনভাবে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, নিখোঁজ করা হচ্ছে, আটক করে রাখা হচ্ছে। লক্ষ্য করে দেখুন, আমাদের নেত্রী গত তিন বছর ধরে বন্দি অবস্থায় আছেন। কেনো? কারণটা কী? মানুষের অধিকার নিয়ে যিনি কথা বলেন, অতীতে যিনি স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন, আপোষহীন সংগ্রাম করেছেন। যিনি সব সময় স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের কথা বলেন। যিনি বাংলাদেশের মানুষের কাছে স্বাধীনতার প্রতীক। সেই নেত্রীকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে মামলা দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজ বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থেই ভয়াবহ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এত কঠিন সময় এদেশের মানুষ আর কখোনই প্রত্যক্ষ করেনি। বাংলাদেশের সমস্ত স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হরণ করে নিয়ে, গণতন্ত্রবিহীন করে জনগণের অধিকারগুলোকে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। আজ আমরা দুইটা দানবের হাতে পড়েছি। একটা দানব সরকার, যারা অন্যদেশের স্বার্থ হাসিল করছে। দ্বিতীয় দানব করোনাভাইরাস, পুরো বিশ্বাসেকে আক্রন্ত করছে।
ভার্চুয়াল সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, ইলিয়াস আলী স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা।