‘নিজেদেরকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে আ.লীগ’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

স্বাধীনতার পর থেকেই আওয়ামী লীগ তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে নিজেদেরকে একটি সন্ত্রাসী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে বলে মনে করে বিএনপি।

শনিবার (৩ এপ্রিল) বিকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ মন্তব্য করা হয়। রোববার (৪ এপ্রিল) বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, ব্যরিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

সভায় মহান স্বাধীনতা দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনে হেফাজত ইসলাম আহুত শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলে হামলা ও গুলি বষর্ণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ায় হত্যার প্রতিবাদে বিএনপির ২৭ ও ২৮ মার্চ আহুত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা ও নির্বিচারে টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও গুলি বর্ষণে দলের অসংখ্য নেতা-কর্মীকে আহত ও গ্রেফতার, পরবর্তীকালে প্রায় ২০ হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রদান এবং অজ্ঞাতনামা আসামির অজুহাতে সারাদেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা প্রকাশ করা হয়। অন্যদিকে বিএনপির কেন্দ্রী কমিটির সদস্য নারী নেত্রী নিপুন রায় চৌধুরীকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে জামিন না দেওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নিপুন রায় চৌধুরী, যুবদল ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি মজনুসহ সকল নেতা-কর্মীদের মুক্তি এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

সভায় তথাকথিত জাতীয় সংসদে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা এবং শেখ সেলিমের বক্তব্যের নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হয়। সভা মনে করে আওয়ামী নেতৃবৃন্দের এই ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য পরিস্থিতিকে আরও অবনতি ঘটাতে পারে। প্রকৃত পক্ষে, স্বাধীনতার পর থেকেই আওয়ামী লীগ তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে নিজেদেরকে একটি সন্ত্রাসী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

সভায় এই ধরনের দায়িত্বহীন বক্তব্য প্রদান এবং বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের নির্বিচারে গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলা প্রদান থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়।

বর্তমানে সরকারের চরম উদাসীনতা, অব্যবস্থাপনা, অযোগ্যতা এবং করোনা নিয়ে দুর্নীতির কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উপাত্তসহ একটি প্রেস কনফারেন্সের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় দলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীকে এবং জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই ভয়ংকর মহামারি মোকাবিলা করার জন্য আহ্বান জানানো হয়। কার্যকরী ব্যবস্থাপনা, চিকিৎসা সেবা এবং ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং লকডাউন কালে অসহায়-দরিদ্র, নিম্ন আয়ের মানুষকে ত্রাণ সহায়তা প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিদেশি মেহমানদের সফরকে কেন্দ্র করে বিটিআরসি কর্তৃক ফেসবুকসহ সব ধরনের ডিজিটাল প্লাটফর্ম নিয়ন্ত্রণে সরকারের স্বেচ্ছাচারিতার উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। একদিকে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে মত প্রকাশের অধিকার খর্ব করা, অন্যদিকে প্রযুক্তির মাধ্যমে জনগণের সংবিধান সম্মত মৌলিক অধিকার হরণ করার জন্য সরকারকে ধিক্কার জানানো হয়। মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ, গণতান্ত্রিক সকল অধিকার রক্ষার সংগ্রামকে আরও বেগবান করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।