করোনা: প্রয়োজনে আরো ক্যাম্প স্থাপন

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লে. জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান, ছবি: সংগ্রহীত

সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লে. জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান, ছবি: সংগ্রহীত

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে আশকোনা হজ ক্যাম্প ছাড়াও আরো ক্যাম্প স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লে. জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান।

সোমবার (২৩ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪টায় সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

যারা কোয়ারেন্টাইনে আছেন বা আসবেন তাদের বিষয়ে লে. জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, আশকোনা হজ ক্যাম্পে ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী আছে। সেখানে ভালো অ্যারেঞ্জমেন্ট করা হয়েছে। সেখানে মাত্র তিনজন ব্যক্তি আছেন। ডাব্লিউএইচও'র ইন্সপেকশন মেনে আমরা সেখানে আড়াইশ'র মতো রাখতে পারছি। এতেও না হলে ভবিষ্যতে আমাদের আরো প্ল্যান আছে। যেখানে হয়তো প্রয়োজনে আরো ক্যাম্প ওপেন করব এবং সেখানে আরো লোক রাখতে পারব। সেজন্য আমাদের সকল প্রিপারেশন আছে।

তিনি বলেন, ইজতেমা মাঠ, রিজেন্ট হসপিটালসহ আরো কয়েকটি জায়গা রয়েছে। ব্র্যাকের গাজীপুর এবং সাভারে যে প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে সেগুলো আমরা রেকি করেছি, এয়ারমার্ক করা হয়েছে। আমাদের ৩৬ ঘণ্টা লাগে কনভার্ট করতে সেটা আমরা করতে পারব। আমাদের ৫টি মোবাইল হাসপাতাল আছে, যেটা সরকারের প্রয়োজন হলে তিন ঘণ্টার মধ্যে যেকোনো জায়গায় স্টাবলিস করতে পারব।

রিজেন্ট হাসপাতালে করোনা রোগীকে সঙ্গরোধে (কোয়ারেন্টাইন) রাখার কথা শুনে স্থানীয়রা ম্যানেজারকে মারধর করেছে এবং করোনা রোগী আনা যাবে না বলে জানিয়েছে, এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, গতকাল এমন একটি জায়গায় আমি ও পিএসও সাহেব গিয়ে যখন লোকজনের সঙ্গে আলাপ করলাম, যখন তারা সরাসরি দেখল তারা কিন্তু রাজি হয়ে গেছে। তারা বলেছে, 'আমরা তো এভাবে বুঝতে পারিনি।' সুতরাং মিডিয়ার বড় রোল রয়েছে। তাদের যখন বুঝালাম কোন সংস্পর্শই থাকবে না এবং এটি বাতাসে যায়ও না ডিটেইলস বোঝার পর বিষয়গুলো ক্লিয়ার হয়ে গেছে। আমরা সেভাবেই চেষ্টা করে যাবো।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিয়মিত সব খোঁজ খবর নিচ্ছেন এবং সেই আলোকে নির্দেশনা দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর অফিসে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বিভাগটি সার্বক্ষণিক খোলা রয়েছে। করোনা মোকাবিলায় ওয়ার্ড পর্যায়ে গ্রাম পুলিশরাও কাজ করছে।