রোববার বনানী কবরস্থানে স্যার ফজলে হাসান আবেদের দাফন

  • সেন্ট্রাল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

স্যার ফজলে হাসান আবেদ

স্যার ফজলে হাসান আবেদ

ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের মরদেহ আগামী রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বনানী করবস্থানে দাফন করা হবে। শুক্রবার রাতে ব্র্যাক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ব্র্যাক সূত্রে জানা গেছে, জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আগামী রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তার মরদেহ ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে রাখা হবে। এরপর আর্মি স্টেডিয়ামেই তার জানাজা নামাজ সম্পন্ন হবে। জানাজার পর ঢাকার বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। আর্মি স্টেডিয়ামেই নামাজে জানাজা সম্পন্ন হবে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: স্যার ফজলে হাসান আবেদের মৃত্যুতে পরিকল্পনামন্ত্রীর শোক

শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বসুন্ধরার অ্যাপোলো হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে, এক ছেলে এবং তিন নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

চলতি বছর স্যার আবেদ ব্র্যাকের চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি নেন। তাকে প্রতিষ্ঠানটির ইমেরিটাস চেয়ার নির্বাচিত করা হয়। দারিদ্র্য বিমোচন ও উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় স্যার আবেদ বাংলাদেশ ও বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অ্যাওয়ার্ড ও সম্মাননা পেয়েছেন।

আরও পড়ুন: ফজলে হাসান আবেদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

ফজলে হাসান আবেদ ১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে তিনি বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করেন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৩৬ বছর। ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময় তার বয়স ৬৫ হয়ে গেলে তিনি নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব ছেড়ে দেন। এরপর ব্র্যাকের চেয়ারপারসন হিসেবে কর্মরত ছিলেন আরও ১৮ বছর। কয়েক মাস আগে সেই পদও ছেড়ে দিয়ে অবসরে যান।

আরও পড়ুন: স্যার ফজলে হাসান আবেদ আর নেই

১৯৮০ সালে র‌্যামন ম্যাগসাই পুরস্কার, ২০১১ সালে ওয়াইজ প্রাইজ অব এডুকেশন, ২০১৪ সালে লিও টলস্টয় ইন্টারন্যাশনাল গোল্ড মেডেল, স্প্যানিশ অর্ডার অব সিভিল ম্যারিট, ২০১৫ সালে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি পুরস্কার অর্জন করেন।

সর্বশেষ চলতি বছর তিনি সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে সাউথ এশিয়ান ডায়াসপোরা অ্যাওয়ার্ড, শিক্ষায় ভূমিকা রাখায় ইয়াডান পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন।