শাহজালালে ১৫০০ কোটি টাকা কমে বসছে নতুন রাডার

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ছবি: বার্তা২৪.কম

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ছবি: বার্তা২৪.কম

অবশেষে প্রায় ৪০ বছর পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বসছে নতুন রাডার ও এয়ারট্রাফিক কন্ট্রোল সিস্টেম। নতুন এ রাডার কিনতে খরচ পড়ছে ৬৫০ কোটি টাকা, যা কিনা এর আগের প্রস্তাবের চেয়ে ১৫০০ কোটি টাকা কম।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জিটুজি (সরকারি ব্যবস্থাপনায়) পদ্ধতিতে কেনার কারণে আগের প্রস্তাবের চেয়ে অনেক কম টাকায় নতুন রাডার কেনা সম্ভব হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জিটুজি পদ্ধতিতে নতুন রাডারটি কিনতে যাচ্ছে। দেশের এ খাত আরো নিরাপদ করতে সরকার রাডার ও এয়ারট্রাফিক কন্ট্রোল সিস্টেম কিনতে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনেক আগেই শাহজালালের রাডার প্রতিস্থাপন করা উচিত ছিল। কারণ এ রাডার বিশ্বে এখন অচল। তাই আধুনিক প্রযুক্তির নতুন রাডার স্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছে।

বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, নতুন এ রাডার সরবরাহ করছে ফ্রান্সের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান থ্যালেস। ১৯৮০ সালে যে রাডার ঢাকা বিমানবন্দরে বসানো হয়েছিল, সেটিও থ্যালেসই সরবরাহ করেছিল। থ্যালেস দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ এর নির্মাতা।
এর আগে ২১৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পিপিপির প্রকল্প তৈরি করা হয়েছিল। ওই প্রস্তাবের রাডারের সুবিধা ও যন্ত্রপাতির মূল্য বিবেচনায় অস্বাভাবিক ছিল। যে কারণে একনেকে তা অনুমোদিত হয়নি।

দেশের প্রধান বিমানবন্দরটি থেকে প্রতিদিন ২০০ ফ্লাইট ওঠানামা করে থাকে। আকাশপথে যাত্রী সংখ্যা বাড়ার কারণে দিনে দিনে ফ্লাইট সংখ্যাও বাড়ছে।

নাম না প্রকাশের শর্তে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এক কর্মকর্তা বার্তা২৪.কমকে বলেন, বর্তমান রাডার সিস্টেমটি ঠিকমতো কাজ করে না। যে কারণে এয়ারট্রাফিক সঠিকভাবে ম্যানেজ করা যায় না। মাঝে মাঝে এটি নিরবিচ্ছিন্নভাবে এয়ারট্রাফিক শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়।

নাম না প্রকাশের শর্তে বিমানের এক পাইলট বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রায় প্রত্যেকটি ফ্লাইটে রাডারের সঠিক সাপোর্ট ছাড়াই আমাদের উড়োজাহাজ নামাতে হয়। রাডারের সাপোর্ট ছাড়া উড়োজাহাজ অবতরণে অনেক বেশি সময় লাগে। বর্তমান রাডারটি ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত আকাশসীমা মনিটর করতে পারে। তাছাড়া বঙ্গোপসাগরের খুব নিচ দিয়ে যেসব ফ্লাইট পরিচালিত হয়, সেসব ফ্লাইট বেবিচকের মনিটরিং এড়িয়ে যেতে পারে।