বাজারে আগাম শিম, ভাল দাম পাওয়ায় খুশি চাষিরা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, সুনামগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ বাজারে উঠেছে আগাম জাতের শিম। বিক্রিও হচ্ছে চড়া দামে। বাজারে প্রতি কেজি শিমের দাম ২২০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা। ভাল দাম পাওয়ায় খুশি শিম চাষিরা।

জানা যায়, গত দুই বছর যাবত জামালগঞ্জে আগাম শিমের আবাদ হচ্ছে। শিম চাষে অর্থ ও পরিশ্রম দুটোই কম লাগে। তবে বেশি পোকার আক্রমণ, অতিবৃষ্টি ও খরার কারণে শিমের ফলন কিছুটা কম হলেও দামে পুষিয়ে নিচ্ছেন চাষিরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এই উপজেলায় গত বছর শিমের আবাদ করেছিলেন কয়েকজন। এবার অনেকে শিম চাষ করেছেন। জামালগঞ্জ সদর ফেনারবাঁক ইউনিয়নে শিম চাষ বেশি হয়।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে দেখা যায়, আগাম শিম গাছ এরই মধ্যে মাচায় উঠে ফুলে ফুলে ভরে গেছে। গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। কিছু কিছু শিম বাজারে বিক্রিও করেছেন চাষিরা।

কালাগুজা গ্রামের শিম চাষি আব্দুর রহিম বলেন, আগাম জাতের শিম চাষ করে দুই বছর যাবত লাভবান হচ্ছি। গত বছর দুই শতক জমিতে শিম চাষ করে লাভবান হওয়ায় এবার করেছি তিন শতক জমিতে। এতে খরচ হয়েছিল ২৫ হাজার টাকা। লাভ হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। আমার মতো অনেক চাষি আগাম শিমের চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। এখন শিম গাছ ফুলে ফলে ভরে গেছে। আশা করি এক সপ্তাহের মধ্যেই শিম বাজারে বিক্রয় করতে পারবো।

রামপুর গ্রামের চাষি লুৎফুর রহমান বলেন, প্রতি শতক জমিতে আগাম শিমের খরচ হয় ২৫ হাজার টাকা। অন্য ফসলের চেয়ে শিমের আবাদে খরচ বেশি। আবহাওয়া ভালো থাকলে ফলন ভালো হবে।

উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. ইসহাক মিয়া বলেন, রুপবান, কাঞ্চন, রুসা নামে আগাম জাতের শিম এই উপজেলায় বেশি চাষ হয়। এই শিম চাষে চাষিরা লাভবান হওয়ায় আগ্রহী হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, গত দুই বছর থেকে শিমের চাষ শুরু করেছে চাষিরা। কিছু দিনের মধ্যেই চাষিরা শিম বিক্রয় করতে পারবে। সার ও কীটনাশক কম ব্যবহার করে কিভাবে আগাম শিম উৎপাদন করা যায় সে বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।