রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর লেভেল ক্রসিং এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাতপরিচয় (৬০) এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয়।
বিজ্ঞাপন
বসন্তপুর লেভেল ক্রসিংয়ের গেট কিপার রেজাউল হাওলাদার জানান, সন্ধ্যায় ওই বৃদ্ধা রেললাইন দিয়ে হাঁটার সময় দ্রুতগতির ট্রেনে কাটা পড়ার পর ছিটকে রেললাইনের পাশে পড়ে যান। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ধারণা করা হচ্ছে তিনি রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো পাগল।
রাজবাড়ী রেলওয়ে (জিআরপি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, ‘ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাবির প্রো-ভিসির বিচার, বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে ঢাকা শহরে অবরোধ পালন করবেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাত আড়াইটা পর্যন্ত সংঘর্ষ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। এতে এ পর্যন্ত উভয়পক্ষের অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
এসময় নীলক্ষেত বই মার্কেটের সামনের রাস্তায় ঢাবি শিক্ষার্থীরা এবং নিউমার্কেট এলাকায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলা অবস্থায়ই সংঘর্ষস্থলে হাজির হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনার চেষ্টা করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েন তিনি।
রোববার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নীলক্ষেত এলাকায় আসেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। এ সময় তিনি ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা তার সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। এরপর হাসনাত উভয়পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করলে নিজেই উভয়পক্ষের তোপের মুখে পড়েন।
এর আগে রাত ১১টার দিকে ঢাকা কলেজের সামনে থেকে মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে পৌঁছান সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় স্যার এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থীরা হলের সামনে অবস্থান নেন।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে ধাওয়া দিয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নীলক্ষেত এলাকা পার করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ এখনো (রাত ২টা পর্যন্ত) চলছে। সংঘর্ষ শুরুর সাড়ে তিন ঘণ্টা পার হলেও এখনো সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছেই। এতে এ পর্যন্ত উভয়পক্ষের অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) দিনগত রাত পৌনে ২টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নীলক্ষেত মোড় এলাকায় উভয়পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে।
নীলক্ষেত বই মার্কেটের সামনের রাস্তায় ঢাবি শিক্ষার্থীরা এবং নিউমার্কেট এলাকায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছেন। উভয়পক্ষের আহতের সঠিক সংখ্যা জানা না গেলেও তা ২০ জনের বেশি বলে নিশ্চিত করেছেন উভয়পক্ষের শিক্ষার্থীরা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলা অবস্থায়ই সংঘর্ষস্থলে হাজির হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনার চেষ্টা করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েন তিনি।
রোববার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নীলক্ষেত এলাকায় আসেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। এ সময় তিনি ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা তার সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। এরপর হাসনাত উভয়পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করলে নিজেই উভয়পক্ষের তোপের মুখে পড়েন।
এর আগে রাত ১১টার দিকে ঢাকা কলেজের সামনে থেকে মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে পৌঁছান সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় স্যার এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থীরা হলের সামনে অবস্থান নেন।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে ধাওয়া দিয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নীলক্ষেত এলাকা পার করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজসহ সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাকিব গুরুতর আহত হয়েছেন।
তাকে ধানমন্ডির একটি বেসরকারী হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। আহত রাকিব ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী।
এর আগে এর আগে ঢাবি প্রো-ভিসির বাসভবন ঘেরাও করতে আসা সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেন ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা৷ এতে সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা পিছু হটে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেন। পরে উভয় পক্ষের মধ্যেই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১২টার দিকে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে।
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা সাইন্সল্যাব, টেকনিক্যাল মোড় অবরোধ করেন। এরপর রাজধানীর তাঁতীবাজারেও অবরোধ করেন তারা
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সাত কলেজের সমস্যা ও ভর্তির আসন সংখ্যা কমানোর বিষয়ে ঢাবির প্রো-ভিসি (শিক্ষা) কাছে গেলে তিনি অশোভন আচরণ করে রুম থেকে বের করে দেন। তিনি বলেন, সাত কলেজের বিষয়ে কিছু জানেন না।
তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, এবিষয়ে ২১ দিন আগে তাকে স্মারকলিপি দেওয়া হলেও সেটি পড়েননি। সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের চিনেন না বলেই তিনি আক্রমণমূলক ব্যবহার করেছেন। তাই তার অশোভন আচরণের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হয়েছে।
এছাড়া শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আব্দুর রহমান অশোভন আচরণের জন্য ঢাবি প্রোভিসিকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে ৫ দফা দাবির কথা জানান। সেগুলো হচ্ছে — ২০২৪-২৫ সেশন থেকেই সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে; শ্রেণিকক্ষের ধারণক্ষমতার বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে না; শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে; নেগেটিভ মার্ক যুক্ত করতে হবে; সাত কলেজের ভর্তি ফির স্বচ্ছতা নিশ্চিতে, মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে ঢাবি ব্যতীত নতুন অ্যাকাউন্টে ভর্তি ফির টাকা জমা রাখতে হবে।
নীলক্ষেত মোড়ে ঢাবি শিক্ষার্থী ও অধিভুক্ত ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও ]দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় হল ছেড়ে মূল সড়কে নেমে এসেছেন ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এসময় তারা ঢাবি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকেন। কলেজ প্রশাসন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে তাদের উদ্দেশ্যেও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তারা।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় ও ইডেন মহিলা কলেজ এলাকায় এই চিত্র দেখা গেছে।
ইডেন কলেজ শিক্ষার্থীরা বলছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অন্যায়ভাবে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেছে। এমনকি তারা সাত কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটকে রেখেছে বলেও শোনা যাচ্ছে। তাই আমরা আমাদের ভাইদের সহযোগিতার জন্য বের হয়েছি।