এক যুগ পর মৃত ব্যক্তিসহ ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

এক যুগ পর মৃত ব্যক্তিসহ ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

এক যুগ পর মৃত ব্যক্তিসহ ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নীলফামারীর ডোমারে বিক্ষোভ মিছিল-প্রতিবাদ সভায় বাধা, অফিসে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনার প্রায় ১২ বছর পর আদালতে মামলা দায়ের করেছে জামায়াতে ইসলামী। দায়ের করা এই মামলার আওয়ামী লীগের ৭৩ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মৃত ব্যক্তিসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডোমার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর নীলফামারী জেলা জজ আদালতের আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি হাফেজ আব্দুল হক। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করতে ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে নাম উল্লেখ করা আসামিদের মধ্যে একজন মৃত ব্যক্তির নাম পাওয়া গেছে। মামলার ৭৩ নম্বর আসামি দুলাল হক সরকার (৫৫) চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি মারা গেছেন। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাগলা বাজার এলাকার তবিবার রহমানের ছেলে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১২ সালে ৫ ডিসেম্বর দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার শিবির কর্মী মুজাহিদুল ইসলামকে হত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে বাধা দেন ডোমার থানা পুলিশের সদস্যরা। পুলিশের বাধায় সমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ায় জামায়াত নেতাকর্মীরা নিজ নিজ বাড়িতে চলে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাজার সংলগ্ন জামায়াতের অফিসে গিয়ে নেতাকর্মীদের মারধর করে অফিস ভাঙচুর ও অফিসের ভেতরের মালামাল লুট করেন। সে সময় পুলিশের সহযোগিতা চাইলে উল্টো জামায়াত কর্মীদের গ্রেফতার করে পুলিশ। অফিস ভাঙচুরের পর আওয়ামী লীগ কর্মীরা স্টেশন সড়কের অবস্থিত শিবিরের অফিস ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেন। এ ঘটনায় সে সময় জামায়াত মামলা করার আবেদন করলেও থানা সেই মামলা গ্রহণ করেন নি।

মৃত দুলাল হোসেনের ছেলে সাজু বলেন, গত ৫ জানুয়ারি আমার বাবা মারা যান। তিনি তো এখন বেঁচে নেই। একজন মৃত ব্যক্তিকে কেন আসামি করা হয়েছে সেটি বলতে পারবো না।

এদিকে মামলায় ২৮ নম্বর আসামি করা হয়েছে ডোমার সিনিয়র দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আইনুল হককে। তিনি বলেন, জামায়াত নেতা বক্করের সাথে আমার জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। বিষয়টি আমি জেলা আমিরসহ স্থানীয় জামায়াত নেতাদেরও অবগত করেছি। এখন দেখছি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়েছে সেখানে আমার নাম রয়েছে।

এ বিষয়ে মামলার বাদী উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি হাফেজ আব্দুল হক বলেন, ঘটনায় পর পরই আমরা মামলা করার আবেদন করেছিলাম কিন্তু সেই মামলা আবেদন নেওয়া হয়নি। উল্টো আমাদের লোকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই সময় যে মামলার ড্রাফটি সাজানো হয়েছিল সেটা দিয়ে মামলা করা হয়েছে। নতুন করে কোনো সংযোজন-বিয়োজন করা হয়নি। এর মধ্যে একজন ভাই মারা গেছেন সেটা আমাদের জানা ছিল না। জানা থাকলে নামটা আসতো না

ডোমার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম বলেন, মামলার কোনো আসামি যদি মারা যায় সেটি তদন্তপূর্বক নাম বাদ যাবে।