শীতে ত্বক আদ্র রাখতে ব্যবহার করুন প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

শীতকালে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তবে এমন নয় যে শীতের পর ত্বকে আর ময়েশ্চারাইজ করার দরকার নেই। এর জন্য এখন বাজারে একাধিক নামী-দামী পণ্য পাওয়া যায়। কিন্তু প্রাকৃতিক উপাদান আপনাকে যে উজ্জ্বলতা ও সৌন্দর্য প্রদান করবে, তা বাজারের পণ্যগুলো দিতে পারবে না। উপরন্ত এই ময়েশ্চারাইজারগুলো ত্বকের ওপর একটা প্রভাব ফেলে যায়। এর বদলে আপনি এমন কিছু প্রাকৃতিক পুষ্টি সমৃদ্ধ উপাদান ব্যবহার করতে পারেন যা ত্বকে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।

আমাদের ঘরেই এমন কিছু উপাদান আছে যার মধ্যে ত্বককে অনেকক্ষণ কোমল রাখার ক্ষমতা রয়েছে। এগুলো ত্বকে লাগানোর পরে সহজেই শোষিত হয়, যার কারণে ত্বকে আর্দ্রতা দীর্ঘ সময় ধরে থাকে। চলুন তাহলে জেনে নেই ঘরোয়া এই ময়েশ্চারাইজারগুলো কি কিঃ

বিজ্ঞাপন

অলিভ ওয়েল
অলিভ অয়েলে ভিটামিন ই, পলিফেনল এবং ফাইটোস্টেরল রয়েছে। যা প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজিং করবে আপনার ত্বক। অলিভ অয়েলকে সামান্য পানি দিয়ে পাতলা করে আপনার ত্বকে লাগাতে পারেন। এতে ত্বক নরম ও মসৃণ হবে।

মধু
মধু একটি প্রাকৃতিক ইমোলিয়েন্ট। এটি ত্বকের গভীরে গিয়ে মশ্চারাইজিং করে। এছাড়াও মধুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নিস্তেজ ত্বকে প্রাকৃতিক আভা ফিরিয়ে আনে। প্রতিদিন ত্বকে সরাসরি মধু লাগাতে পারেন। ১০ মিনিট রাখুন। এরপর ধুয়ে নিন।


গ্লিসারিন

গ্লিসারিন ত্বকের জন্য খুব ভালো। এটি আপনার ত্বকে বাতাস থেকে পানি টেনে এনে ময়শ্চারাইজ করে। এতে থাকা হিউমেক্টেন্ট আপনার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে। ত্বকে ব্রণ থাকলে গ্লিসারিন ব্যবহার করুন।

অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডো ওমেগা-৩ উপাদানে সমৃদ্ধ। এটি প্রদাহ এবং ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধ করে। এটি আপনার ত্বককে লুব্রিকেট করতে এবং এর প্রাকৃতিক আর্দ্রতা পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য় করে। একটি পাকা অ্যাভোকাডো নিন। এটি ব্লেন্ড করে সরাসরি ত্বকে লাগান। ১০ মিনিট রেখে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

দুধ
দুধ ত্বকের অন্যতম প্রাকৃতিক মশ্চারাইজার। ত্বকের হারানো তেল পূরণ করতে সাহায্য করে। শুষ্ক ত্বকের জন্য় এটি অত্যন্ত উপকারি। দুধ ত্বকের গভীরে গিয়ে মশ্চারাইজ করে।

চিনি
চিনি আপনার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে এবং এর মধ্যে আর্দ্রতা আটকে রাখতে সাহায্য করে। চিনি একটি প্রাকৃতিক হিউমেক্ট্যান্ট। এটি পরিবেশ থেকে ত্বকে আর্দ্রতা টেনে নেয়। আপনার তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করবে। এতে আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড রয়েছে। যা ত্বকে প্রবেশ করে। চিনির সঙ্গে অলিভ ওয়েল মিশিয়ে নিন। এবার মুখ স্ক্রাব করে নিন। ময়শ্চারাইজিং হয়ে যাবে।


শসার রস

শসা ত্বককে হাইড্রেট করতে ব্যবহার করুন। শসা রস মুখে সরাসরি লাগিয়ে নিন। যা আপনার ত্বককে পুষ্ট করবে। উজ্জ্বলতা বাড়াবে। ত্বকের জ্বালাপোড়াও প্রশমিত করবে।

পাকা কলা
অতিরিক্ত পাকা চটকে মুখে লাগিয়ে নিন। উজ্জ্বল ত্বক পাবেন। কলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, ই রয়েছে। যা ত্বককে কোমল ও প্রাণবন্ত রাখে। কলা পটাসিয়ামে পূর্ণ। যা ত্বকের নতুন কোষ বৃদ্ধি করে। পাকা কলা মুখে সরাসরি ৩০ মিনিটের মতো লাগিয়ে রাখুন। এরপর গরম পানি ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত তিনবার এটি ব্যবহার করুন।

নারকেল তেল
নারকেল তেল শুষ্ক ত্বকের জন্য দুর্দান্ত। এতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ব্যাকটেরিয়া থেকে ত্বককে রক্ষা করতে এটি দারুন কার্যকর। হালকা গরম নারকেল তেল ত্বকে ম্যাসাজ করুন। এরপর মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহার করুন।

তথ্যসূত্র- টিভি৯ বাংলা