তলপেটে ব্যথায় অবহেলা নয়

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মাঝেমধ্যেই তলপেটে ব্যথা হলে অবহেলা নয়, নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ। কারণ আমাদের অনিয়মিত জীবনযাপন, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে রেনাল স্টোন কিংবা কিডনিতে পাথর জমা কিন্তু অন্যতম বড় সমস্যা। অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই রোগের কি কোনো উপসর্গ আছে, যা দেখে সতর্ক হবেন?

কিডনিতে ক’টি পাথর জমেছে, সেগুলি কেমন অবস্থায় রয়েছে, ঠিক কোথায় পাথর জমেছে— এই সব বিষয়ের ওপর অসুখের উপসর্গ নির্ভর করে। চিকিৎসকদের মতে, পাথরের সংখ্যা কম ও আকারে খুব বেশি বড় না হলে সেগুলো কোনও রকম উপসর্গ ছাড়াই শরীরে থেকে যেতে পারে। ওষুধের মাধ্যমে তা গলিয়ে দেওয়া যায় বা শরীরের বাইরে বার করে দেওয়ার চেষ্টাও করা যায়। কিন্তু সংখ্যায় বেশি বা আকারে বড় হলে তা কিছু লক্ষণ প্রকাশ করে বইকি। তখন অস্ত্রোপচার ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না।

বিজ্ঞাপন

চিকিৎসকের মতে, কিছু বিশেষ নিয়মকানুন মেনে চললে রেনাল স্টোনের সমস্যা এড়ানো যায়। পানি তো খেতেই হবে, কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত নয়। বরং শরীরের প্রয়োজন বুঝে পানি খান। এতে কিডনি ভাল খাকবে। এমন কোনও ডায়েটের ওপর নির্ভর করবেন না, যেখানে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত। অতিরিক্ত দুধ বা দুগ্ধজাত দ্রব্য গ্রহণে রেনাল স্টোনের সম্ভাবনা বাড়ে। ঘন মূত্রথলিতে সংক্রমণ হয়? তা হলে কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে। এর থেকেও কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকি বাড়ে।

কিডনিতে পাথর জমেছে কি না কোন উপসর্গ দেখে সতর্ক হবেন?

কিডনিতে পাথর জমলে অনেকের ঘন ঘন জ্বর আসে। তাপমাত্রা অল্প থাকলেও বার বার ঘুরেফিরে এমন জ্বর এলে সতর্ক হোন। মূত্রের রঙের দিকে খেয়াল রাখুন। যদি লালচে রঙের প্রস্রাব হয়, তা হলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কিডনির অন্যান্য জটিলতাতেও প্রস্রাবের রং লালচে হতে পারে। এই অসুখের ক্ষেত্রে কোমর থেকে তলপেটে ব্যথা ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই ব্যথা যে সকলের ক্ষেত্রে স্থায়ী হবে, এমন নয়। তাই মাঝে মাঝে ওই অঞ্চলে ব্যথা হলেও সতর্ক হোন। এ ছাড়া বমিভাবও থাকে অনেকের।