রোজা গোনাহ পুড়িয়ে ছাই করে দেয়

  • মাওলানা আবদুল জাব্বার, অতিথি লেখক, ইসলাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সিয়াম-কিয়াম, কোরআন তেলাওয়াত ও মোনাজাতে মুখরিত থাকে এ মাস, ছবি : সংগৃহীত

সিয়াম-কিয়াম, কোরআন তেলাওয়াত ও মোনাজাতে মুখরিত থাকে এ মাস, ছবি : সংগৃহীত

পবিত্র কোরআন-হাদিসে রমজান মাসের অসংখ্য ফজিলত ও মর্যাদার কথা বর্ণিত হয়েছে। এগুলোর অন্যতম দুটি ফজিলত হলো-

দুই রমজানের মধ্যের গোনাহ মাফ
রমজান আল্লাহতায়ালার কাছে অনেক প্রিয়। এ মাস কোরআনের মাস, এ মাস রোজার মাস। সিয়াম-কিয়াম, কোরআন তেলাওয়াত ও মোনাজাতে মুখরিত থাকে এ মাস। তাই আল্লাহর কাছে এ মাস অনেক প্রিয়। বছর ঘুরে যখন এ মাস আসে এবং বান্দা আমলে মনোযোগী হয়, যেমন গত রমজানে হয়েছিল তখন দয়াময় আল্লাহ দুই রমজানের মধ্যের গোনাহগুলো মাফ করে দেন।

বিজ্ঞাপন

এ প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, এক জুমা থেকে আরেক জুমা এবং এক রমজান থেকে আরেক রমজান, তার মধ্যবর্তী সময়ের জন্য কাফফারা হয়ে যাবে যদি কবিরা গোনাহ থেকে বেঁচে থাকে।’ অর্থাৎ ওই ব্যক্তির যদি কবিরা গোনাহ না থাকে। -সহিহ মুসলিম : ২৩৩

রোজা গোনাহ পুড়িয়ে ছাই করে দেয়
রমজান মাসে একদিকে বান্দা রহমতের বারিধারায় স্নাত হয়- প্রতি রাতে, প্রতি সকালে, সেহরির মুহূর্তে, ইফতারির মুহূর্তে; রহমত ঢেকে ফেলে বান্দাকে।

অপরদিকে মাগফিরাতের অগ্নিশিখা জ্বালিয়ে দেয় বান্দার সব পাপ। রোজা সব পাপ জ্বালিয়ে দেয়, ভস্ম করে দেয়। হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজান মাসের রোজা রাখবে, তার পূর্ববর্তী গোনাহগুলো মাফ করে দেওয়া হবে।’ -সহিহ বোখারি : ৩৮