ছাত্র আন্দোলনের মুখে সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
দুর্নীতির অভিযোগে ছাত্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিলোসি ভুকেভিক। ছাত্রদের টানা আন্দোলনের এমন সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে জানা যায়, গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দেশটির ছাত্ররা রাজধানী বেলগ্রেডের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরোধ করে। শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করলে এতে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসেন কৃষকরাও। তারা তাদের বিশাল বিশাল ট্রাক্টর নিয়ে সেখানে হাজির হন। তারা রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করার পরই প্রধানমন্ত্রীর ওপর পদত্যাগের চাপ বাড়তে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী মিলোসি ভুকেভিক মঙ্গলবার পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
এর আগে, গত ১৫ নভেম্বরে নোভি সাদ শহরের একটি রেলস্টেশনের ছাদ ধসে ১৫ জন নিহত হন। এ ঘটনার পর দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, স্টেশন তৈরির সময় দুর্নীতি না করলে এত মানুষকে প্রাণ হারাতে হতো না।
গত সোমবার প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভুকিক বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা এবং সরকারে বড় ধরনের বদবদল আনার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এদিন ছাত্ররা রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রকে সংযোগ করা অটোকোমান্ডা জংশন অবরোধ করে। এতে করে রাজধানী শহর অচল হয়ে পড়ে।
নভেম্বরে আন্দোলনে নামার পর শিক্ষার্থীদের ওপর প্রতিদিনই হামলার ঘটনা ঘটতে থাকে। কিন্তু এতে আন্দোলন দমে না যেয়ে এটি আরও বাড়তে থাকে এবং একটা সময় ১০০টিরও বেশি শহরে ছড়িয়ে পড়ে। একে একে এই আন্দোলনে সমর্থন জানাতে থাকেন দেশটির বিচার বিভাগের কর্মকর্তা, শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ।
উল্লেখ্য, রেলস্টেশনের ছাদ ধসে সাধারণ মানুষ নিহত হওয়ার পর দেশটির যোগাযোগমন্ত্রী গোরান ভেসিক তাৎক্ষণিক পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।