রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নিহতদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তাঁর প্রশাসন এ যুদ্ধ বন্ধের দিকে মনোনিবেশ করবে।
শুধু তাই নয় তাঁর প্রশাসন মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতেও কাজ করবে বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) ভারতীয় গণমাধ্যম ইকোনমিকস টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
- যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনে বিশেষ দূত নিয়োগ দিচ্ছেন ট্রাম্প
- গোপনে ইরানের জাতিসংঘ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করলেন মাস্ক
- ট্রাম্প প্রশাসনে নতুন দপ্তরের দায়িত্ব পেলেন ইলন মাস্ক
- রিপাবলিকান পার্টির 'নতুন তারকা' ইলন মাস্ক: ট্রাম্প
- ফক্স নিউজের উপস্থাপক পিট হেগসেথকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী করছেন ট্রাম্প
- হোয়াইট হাউস দখলে ট্রাম্পের অপেক্ষা আরও ৭৪ দিন
ফ্লোরিডার মার-এ লাগো রিসোর্টে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) আমেরিকা ফার্স্ট পলিসি ইনস্টিটিউটের একটি গালা অনুষ্ঠানে একথা বলেছেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, "রাশিয়া এবং ইউক্রেনকে এ যুদ্ধ থামাতে হবে। আমি আজ একটি রিপোর্ট দেখলাম, গত তিন দিনে এ যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে সৈনিক ও সাধারণ নাগরিকরা ছিলো। আমরা এটি বন্ধে কঠোর প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাবো।"
মধ্যেপ্রাচ্য শান্তি ফিরিয়ে আনার বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, আমরা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতেও কঠোর অবস্থানে রয়েছি। ইরান ও ইসরায়েলের সঙ্গে যত শিগগিরই সম্ভব এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
এদিকে ট্রাম্পের পূর্ববর্তী মেয়াদে উপ-সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সিনিয়র ডিরেক্টর লিসা কার্টিস বলেছেন, ইউক্রেনের যুদ্ধ এমনভাবে শেষ হওয়া প্রয়োজন যেন এ যুদ্ধ অন্য কোনো দেশগুলোকে উৎসাহিত করতে না পারে। তাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপরও এর কোনো প্রভাব যেন না পড়ে। ট্রাম্প এ বিষয় নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও কথা বলেছেন। তবে এটি কিভাবে কাজ করবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
এর আগে অবশ্য তিনি তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ’ করার সমাধান খুঁজে বের করার কথা জানিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি বলেছিলেন মার্কিন দফতর থেকে ইউক্রেনকে যে সহায়তা দেয়া হচ্ছে তা কাটঁছাট করা হবে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মার্কিন টিভি চ্যানেল ফক্স নিউজ জানায়, ডোনাল্ড ট্রাম্প শীগগিরই রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার বিষয়ে আলোচনার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ইউক্রেনে বিশেষ দূত নিয়োগ করবেন।