ফিলিপাইনে সুপার টাইফুন উসাগি আছড়ে পড়ার আশঙ্কা
সুপার টাইফুন ‘উসাগি’ (Usagi) আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় ২৪ হাজারের বেশি মানুষকে ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলের শহরগুলি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে এ সুপার টাইফুন আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এটি এক মাসের মধ্যে পঞ্চম সুপার টাইফুন।
এরপর শনিবার (১৬ নভেম্বর) ষষ্ঠতম সুপার টাইফুন ‘মান-ই’ (Man-yi) আছড়ে পড়বে বলে দেশটির বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যের বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানায়।
খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে পঞ্চমতম সুপার টাইফুন ‘উসাগি’ আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় ফিলিপাইনের কাগাইয়ান প্রদেশের ২৪ হাজার লোককে ইতোমধ্যে অন্যখানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
‘উসাগি’ স্থানীয়ভাবে ‘ওফেল (Ofel) নামে পরিচিত।
এ বিষয়ে কাগাইয়ান দুর্যোগ ত্রাণ অফিসের প্রধান রুয়েল রাপসিং বলেন, ‘কাগাইয়ান নদী ফের প্লাবিত হয়ে উপচে পড়বে। কারণ, উগাগি’র ফলে বৃষ্টিপাত হবে’।
রাপসিং জানান, কাগাইয়ানের দক্ষিণাঞ্চলের মাঝারি থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১শ কিলোমিটার (৬২ মাইল) হতে পারে।
এ সুপার টাইফুন আছড়ে পড়ার পর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে তা মোকাবিলা করতে ইতোমধ্যে জেনারেটর প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এরপর শনিবার (১৬ নভেম্বর) ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে আরেকটি মৌসুমি ঝড় মান-ই আছড়ে পড়বে। সেজন্য জরুরি না হলে রাস্তাঘাটে ভ্রমণ না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ফিলিপাইনে প্রতিবছর অন্তত ২০টি মৌসুমি ঝড় আছড়ে পড়ে এবং এতে বৃষ্টি, শক্তিশালী ঝড় এবং ভূমিধসে প্রাণহানি ঘটে থাকে।
চলতি বছরের অক্টোবরে ফিলিপাইনের মূল ভূখণ্ডে ‘ট্রামি’ ও ‘কং-রে’ আছড়ে পড়লে ১শ ৫৯ জন নিহত এবং এখন পর্যন্ত ২২ জন নিখোঁজ রয়েছেন।