ইউক্রেনের পূর্ব লুহানস্কের লিসিচানস্ক শহর রাশিয়ান ও ইউক্রেনীয় উভয় বাহিনীই বলেছে যে তারা শহরটির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
রোববার (০৩ জুলাই) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ইউক্রেন বলেছে, লিসিচানস্ক শহরে তাদের বাহিনীর ওপর রুশ বাহিনী তীব্র গোলাবর্ষণ করছে তবে জোর দিয়ে বলছে যে শহরটি এখনও তাদের দখলে রয়েছে।
আর রাশিয়ান সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বলছেন, তারা সফলভাবে শহরে প্রবেশ করেছে এবং শহরের কেন্দ্রে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে রাশিয়ান মিডিয়া বিচ্ছিন্নতাবাদী বা রাশিয়ান বাহিনীর লিসিচানস্ক শহরের রাস্তার মধ্য দিয়ে কুচকাওয়াজ করার ভিডিও প্রকাশ করেছে। শহরের ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কেন্দ্রে সোভিয়েত পতাকা উড়ার ভিডিওটিও টুইট করেছে তারা। তবে এর সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
শহরটি দখল করলে রাশিয়ানরা ডনবাসের পূর্বাঞ্চলে আরও গভীরে প্রবেশ করতে পারবে। কিয়েভ দখলে ব্যর্থ হওয়ার পর আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে ডনবাস।
সম্প্রতি ডনবাসের আরেক কৌশলগত শহর সেভরোডনেস্ক দখল করে নেয় রাশিয়া। সম্প্রতি এই দুই শহর দখল নিতে ব্যাপক হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুললেও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ আরও জোরালো হয়।
লুহানস্ক অঞ্চলের গভর্নর সেরহি গাইদাই বলেছেন, রুশ বাহিনী চারদিক থেকে শহরটির দিকে এগিয়ে আসলে তাদের কোনও বাধা দেওয়া হয়নি।
মস্কোপন্থী লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিকের রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত রডিয়ন মিরোশনিক রাশিয়ান টেলিভিশনকে বলেছেন, লিসিচানস্ককে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে কিন্তু এখনও মুক্ত করা হয়নি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেছে রাশিয়া। ভয়াবহ হামলায় ইউক্রেনের কয়েক হাজার বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে। তাদের অভিযানকে অবৈধ অ্যাখা দিয়ে মস্কোর ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো।
জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম টলো নিউজ জানিয়েছে, পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী পূর্ব আফগানিস্তানের খোস্ত ও পাকতিয়া প্রদেশে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে। আফগান সীমান্ত বাহিনী খোস্ত প্রদেশের আলি শির জেলায় বেশ কয়েকটি পাকিস্তানি সামরিক চৌকিতে আগুন দিয়েছে এবং পাকতিয়া প্রদেশের ডান্ড-ই-পাতান জেলায় দুটি পাকিস্তানি পোস্ট দখল করেছে।
সূত্রটি আরও জানায়, ডান্ড-ই-পাতান জেলায় পাকিস্তানি সৈন্যদের ছোড়া মর্টার শেলের কারণে তিন আফগান বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে পাকতিকা প্রদেশে পাকিস্তানি সেনাদের বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ ৫১ জন নিহত হওয়ার পর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ছয় জন শিশুর মধ্যে একজনের বেশি শিশু বিশ্বব্যাপী সংঘাতপূর্ণ এলাকায় বসবাস করে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সংস্থাটি এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। খবর আল জাজিরা।
বিবৃতিটি ইউনিসেফ এমন সময় দিয়েছে যখন গাজা, সুদান এবং ইউক্রেন সহ বিশ্বজুড়ে চলমান সংঘাতে শিশুদের জীবন হুমকির মধ্যে রয়েছে।
বিশেষ করে গত ১৫ মাস ধরে গাজায় ইসরায়েলের ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে কমপক্ষে ১৭ হাজার ৪৯২ শিশু নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও অঞ্চলটি পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে।
সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেছেন, "সব দিক বিবেচনায় নিয়েই ইউনিসেফের ইতিহাসে চলতি বছরটি সংঘাতে আক্রান্ত শিশুদের জন্য খারাপ বছরগুলোর মধ্যে একটি। আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা ও তাদের জীবনের ওপর প্রভাবের মাত্রা উভয় দিক থেকেই এই বছরটি আগের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে।
রাসেলের মতে, একটি শিশুর স্কুলের বাইরে থাকা, অপুষ্টিতে ভোগা কিংবা বাড়ি থেকে জোরপূর্বক বিতারিত হওয়া এসব ঘটনা এ বছরই বেশি হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত গাজার শিশুরা।
তিনি বলেন, এটি আমাদের পরর্বতী প্রজন্মের জন্য হুমকি। আমরা শিশুদের একটি প্রজন্মকে বিশ্বের অনিয়ন্ত্রিত যুদ্ধের জন্য সমান্তরাল ক্ষতি হতে দিতে পারি না।
সংস্থাটি জানায়, সংঘাতপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী শিশুদের অনুপাত দ্বিগুণ হয়েছে। ১৯৯০ এর দশকে এর মাত্রা ছিলো ১০ শতাংশ সেখান থেকে আজ সেটা ১৯ শতাংশে পৌঁছেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ সংঘাত ও সহিংসতার কারণে ৪৭ দশমিক ২ মিলিয়ন শিশু বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ২০২৪ সালে বিভিন্ন দেশের সংঘাত বাস্তুচ্যুত্যের সংখ্যা আরও বেড়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। কারণ হাইতি, লেবানন, মায়ানমার, ফিলিস্তিনি অঞ্চল এবং সুদান সহ বিভিন্ন দেশে সংঘাত তীব্রতর হচ্ছে।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সাল থেকে জাতিসংঘ ২২ হাজার ৫৫৭ শিশুর বিরুদ্ধে রেকর্ডসংখ্যক ৩২ হাজার ৯৯০টি গুরুতর আইন লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়েছে। এই সংখ্যা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বাধ্যতামূলক পর্যবেক্ষণ শুরু হওয়ার পর থেকে সর্বোচ্চ। এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ গাজা ও ইউক্রেনে হাজার হাজার শিশু নিহত ও আহত হয়েছে- বলেছে সংস্থাটি।
শিশুদের ওপর যৌন সহিংসতা বেড়েছে, তাদের শিক্ষা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, অপুষ্টির হার বেড়েছে ও সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি হচ্ছে এই সশস্ত্র সংঘাত শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে- জানিয়েছে ইউনিসেফ।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক বলেন, শিশুদের এই হুমকির মধ্যে ফেলা দেওয়ার জন্য দায়ী বিশ্ব। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে আমাদেরকে অবশ্যই এই স্রোত ঘুরিয়ে দিতে হবে এবং শিশুদের জীবন বাঁচাতে ও উন্নত করতে আরও বেশি কাজ করতে হবে।
গত সেপ্টেম্বরে বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচনের ওপর কাজ করা বেসরকারি সংস্থা অক্সফাম জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গত এক বছর ধরে যে হামলা চালাচ্ছে তাতে সাম্প্রতিক সংঘাতের মধ্যে নারী ও শিশুদের নিহতের সংখ্যা বেশি।
গত সপ্তাহে এক মিডিয়া ব্রিফিং-এ ইউনিসেফের যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ রোজালিয়া বোলেন বলেছেন, চলমান যুদ্ধ শিশুদের জন্য একটি "দুঃস্বপ্ন"। ১৪ মাসেরও বেশি সময় ধরে শিশুরা এই দুঃস্বপ্নের তীক্ষ্ণ প্রান্তে রয়েছে। এখানকার অনেক শিশুর শীতের পোশাক নেই, আবর্জনার স্তূপের মধ্যে খাবারের সন্ধান করতে হয়। এছাড়াও নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত, যা পরবর্তী বিশ্বকে ভাবিয়ে তুলবে।
গাজার প্রায় ৯৬ শতাংশ নারী ও শিশু তাদের মৌলিক পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে পারে না। উপত্যকার শিশুদের কাছে সাহায্যকারী কর্মীরা পৌঁছাতে পারছে না বলেও তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
“গাজা অবশ্যই মানবতাবাদীদের জন্য পৃথিবীর অন্যতম হৃদয়বিদারক স্থান। একটি শিশুর জীবন বাঁচানোর জন্য প্রতিটি ছোট প্রচেষ্টা ভয়ঙ্কর ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হওয়া স্থানকেও পূর্বের অবস্থায় ফেরানো সম্ভব”- বলেছেন বোলেন।
তিনি আহত শিশুদের এবং তাদের অভিভাবকদের গাজা ছেড়ে পূর্ব জেরুজালেম বা অন্য কোথাও চিকিৎসা সেবা নিতে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সুবিধা ব্যবহার করার জন্য আহ্বান জানান।
এই যুদ্ধটি আমাদের প্রত্যেককে এখনই থামানো উচিত। গাজার শিশুরা আর অপেক্ষা করতে পারছে না বলেও জানান তিনি।
গত ৮ নভেম্বর জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানায়, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নিহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।
সংস্থাটি এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে উল্লেখ করে, গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতদের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। এতে গাজার মানুষের "ভয়াবহ বাস্তবতা" উন্মোচিত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।
ইসরায়েলের এমন হত্যাকাণ্ডকে "গণহত্যা" হিসেবে উল্লেখ করে এমন ঘটনাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
ইসরায়েলি বাহিনীর এমন আচরণের কারণে অনাহার, অসুস্থতা এবং বিভিন্ন রোগের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। যা পরবর্তীতে শিশু ও নারীদের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেও জানায় সংস্থাটি।
এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, উত্তর গাজায় চরম মাত্রায় অপুষ্টি রয়েছে। শিশুরা অনাহারে মারা যাচ্ছে। জ্বালানি, খাদ্য ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের গুরুতর ঘাটতি রয়েছে এবং হাসপাতাল ভবনগুলোও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। গাজার এই অঞ্চলে আনুমানিক তিন লাখ মানুষ খুবই অল্প খাদ্য বা বিশুদ্ধ পানি নিয়ে এখন জীবন যাপন করছে।
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দিল্লির নিগমবোধ ঘাটে সম্পন্ন হয় তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া।
এসময় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বহু রাজনীতিবিদ উপস্থিত ছিলেন। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
এর আগে, সকালে কংগ্রেসের সদর দফতরে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মরদেহ রাখা হয়। সেখানে তাকে শ্রদ্ধা জানান কংগ্রেস নেতৃত্ব এবং অন্য রাজনীতিকেরা। কংগ্রেসের সদর দফতর থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আসা হয় যমুনা নদীর ধারে পূর্বনির্ধারিত নিগমবোধ ঘাটে। সেখানেই রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ বিদায় জানানো হয় মনমোহন সিংহকে।
মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্যের সময়ে উপস্থিত ছিলেন সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়গে-সহ কংগ্রেসের অন্য নেতারা।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগেও এসেছিলেন মনমোহনকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানাতে বিদেশি সব দূতাবাস এবং উপদূতাবাসে ভুটানের পতাকা শনিবার অর্ধনমিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। মরিশাস সরকারও তাদের দূতাবাস এবং উপদূতাবাসগুলোতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পতাকা অর্ধনমিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেষকৃত্য কোথায় সম্পন্ন হবে, তা নিয়ে শুক্রবার কেন্দ্রের সঙ্গে বিরোধের পরিস্থিতি তৈরি হয় কংগ্রেসের। নিগমবোধ ঘাটে প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেষকৃত্যের সিদ্ধান্তে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিল কংগ্রেস। তারা চাইছিল, যমুনার তীরে রাজঘাটের আশপাশের কোনও জমিতে মনমোহনের শেষকৃত্য হোক, যেখানে ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, অটলবিহারী বাজপেয়ীদের স্মৃতিসৌধ রয়েছে।
এর আগে, দেশের কোনও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেষকৃত্য এই শ্মশানে হয়েছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, নিগমবোধ ঘাটে শেষকৃত্য হলেও ওই স্থান স্মৃতিসৌধ নির্মাণের উপযুক্ত নয়, দাবি কংগ্রেসের। তারা চাইছিল এমন কোনও জায়গায় শেষকৃত্য হোক, যেখানে স্মৃতিসৌধ তৈরি করা যাবে।
এই বিতর্কের আবহে বৃহস্পতিবার রাতেই একটি বিবৃতি প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কেন্দ্র জানায়, মনমোহনের স্মৃতিসৌধ তৈরির জন্য জায়গা দেওয়া হবে। কিন্তু সেই প্রক্রিয়ায় কিছুটা সময় লাগবে। মনমোহনের শেষকৃত্য এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার পর এই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল কেন্দ্র।
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘টিকটক’ যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ না করার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘টিকটক’ এর ওপর আসন্ন নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করতে আহ্বান জানিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বিষয়ে আদালতে একটি আবেদনও জমা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইনজীবী।
এ বিষয়ে ট্রাম্পের আইনজীবী জানান, রাষ্ট্রের সঙ্গে টিকটকের চলমান দ্বন্দ্বে কোনো ধরণের বাড়তি জটিলতা আনতে চান না ট্রাম্প। শুধু আদালতের কাছে তার বিনীত অনুরোধ, মামলার রায় অভিষেকের পরে দিলে সমস্যাটির একটি রাজনৈতিক সমাধান খোঁজা সম্ভব হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্সের ‘টিকটক’ দেশটির জন্য হুমকিস্বরূপ কি না এ বিষয়ে আগামী ১০ জানুয়ারি শুনানি হবে। আদালতের কাছে বিদেশি এমন একটি মাধ্যম হুমকি মনে হলে ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের একদিন আগে ১৯ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞায় পড়বে টিকটক।
উল্লেখ্য, ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে টিকটকের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন এবং জাতীয় নিরাপত্তার ভিত্তিতে ভিডিও অ্যাপটিকে নিষিদ্ধ করার নানা চেষ্টাও করেছিলেন।