জেলখানার ডায়েরি। পাঁচদিনের এ জেলজীবন আসিফ আকবরের বিপ্লবী জীবনে নিশ্চয়ই নতুন সংযোজন। নতুন অভিজ্ঞতা। পথচলার খোরাক। কারাগারে ঢোকার দিন থেকে মুক্তি পাওয়া- আসিফের লেখায় উঠে আসছে সে অভিজ্ঞতা-অনুভূতির বিস্তারিত। আজ থাকছে প্রথম পর্ব
আমি কয়েদী নাম্বার ২৫০২৭।
কারাগারের উঁচু প্রাচীরগুলো ভয় জাগানিয়া।
আনুষ্ঠানিকতা শেষে ঢুকলাম কারা হাসপাতালের কেবিনে।
একজন মুরুব্বীর নেতৃত্বে মাগরিবের নামাজের জামাত চলছে।
বাইরে ঝোলানো ভয়ানক তালা, ঢুকতে হলো চার দেয়াল আর লোহার গরাদ বেষ্টিত কক্ষটিতে।
বিজ্ঞাপন
মনে হচ্ছিলো- বাবা মা হারিয়ে ফেলা অনাথ আশ্রমে আশ্রয় পাওয়া এক এতিম আমি। নামাজ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে চারিদিকের মাপ নিচ্ছিলাম। নামাজ শেষে মাথা নীচু করে হেঁটে গেলাম আমার জন্য রাখা নির্ধারিত বিছানায়। শত সহস্র অনুসন্ধিৎসু চোখের আড়ালে নিজেকে লুকানো অসম্ভব। চোখ ভিজে আসতে চাইছে। দৃঢ়তা আর সততার ট্যাবলেট খাওয়া সিদ্ধান্ত - নাহ.. পানি বের হতে দেয়া যাবে না, শুধু রক্তই বেরুতে পারে।
সবাই তাকাচ্ছে আমার দিকে, আমি কুঁকড়ে আছি নতুন পরিচয় হজমের আতঙ্কে।
কবে আসবে রুপকথার ফিনিক্স পাখীটা!
আর কতদিন গল্প শুনে যেতে হবে!
আমিই তো ফিনিক্স, আজন্ম এক যোদ্ধা, আমার অদম্য অগ্রযাত্রা থামবে শুধু মৃত্যুতেই..
মুহূর্তেই ঝেড়ে ফেললাম অতীত, মুখে নিয়ে আসলাম বিজয়ীর হাসি। সবার সাথে হাত আর বুক মেলানো শুরু করলাম। কিছু কয়েদী এগিয়ে এলেন, আর কিছু আছেন অবজারভেশনে। এর মধ্যে খুনে চোখ, অসহায় চোখ, ভালবাসার চোখ, সন্দেহের চোখ, করুণার চোখ, নেশার চোখ, বন্ধুত্বের চোখ- সবই আছে। নানান চোখের নানান ভাষা, ওগুলো পরেও পড়া যাবে।
সারাদিন কিছু খাইনি, আগে একটু খেয়ে নেই, অনেক ক্ষুধা পেয়েছে...
তবে তার জন্য তাকে কম ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। মনির খান, বেবি নাজনিন, কনকচাঁপা, ন্যানসির মতো তিনিও ক্যরিয়ারে কোনঠাসা হয়ে পড়েছিলেন। তুঙ্গে থাকা সঙ্গীত ক্যারিয়ার অনেকটাই দ্যূতিহীন হয়ে পড়েছিলো।
ফলে আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার পক্ষে তিনি যে সোচ্চার থাকবে সেটা অনেকটা অনুমেয় ছিলো। আন্দোলনের সময় সামাজিক মাধ্যমে লেখালেখির পাশাপাশি রাজপথেও ছিলেন সক্রিয় আসিফ। শুধু তাই নয়, ছাত্রহত্যার প্রতিবাদ জানাতে নিজের ছেলেকে নিয়েও হাজির হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
এদিন গণআন্দোলনে লাখও জনতার জমায়েতে আসিফ তার ছেলেকে সামনে এগিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘এই প্রজন্ম হারবে না। আমি আমার ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে এসেছি। তোমরা ওকে মেরে ফেলবে, মেরে ফেলো। যেভাবে ছাত্রদের মারা হচ্ছে, তা মানা যায় না। আমাদের একটাই দাবি, স্বৈরশাসকের পদত্যাগ চাই।’
বিষয়টি নিয়ে তখন অনেকেই আসিফের প্রশংসা করেছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন আলোচিত-সামলোচিত উপস্থাপক ও অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়ও। যিনি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নীরব থাকায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
আসিফের সেই ভিডিওটি ফেসবুকে শেয়ার করে জয় লিখেছেন, ‘আমি ভিতু, আসিফ ভাই সাহসী। এ জন্যই চিরকাল আসিফ ভাই আমার চেয়ে অনেক বেশি সম্মান প্রাপ্য। আসিফ ভাই স্যালুট।’ তবে জয়ের এই পোস্টও নেটিজেনদের মন ভরাতে পারেনি। কেউ কেউ অভিনেতাকে উপদেশও দিয়েছেন। তাদের মন্তব্যগুলো অনেকটা এমন যে, চাটুকারিতা না করলে জয়ও সাহসী হতে পারতেন। তাই এগুলো বাদ দিয়ে জয়কে দেশ ও মানুষের কথা বলার আহ্বান জানিয়েছেন মন্তব্যকারীরা।
তবে এ কথা বলতেই হবে, শাহরিয়ার নাযিম জয়ই একমাত্র শিল্পী যিনি আন্দোলনে চুপ থাকার জন্য নিজের ভুল জনসম্মুখে তুলে ধরে ক্ষমা পর্যন্ত চেয়েছেন। তিনি ছাড়া আর কোন আওয়ামীপন্থী তারকাকে এখনো এভাবে নিজের ভুল নিয়ে অনুশোচনা করতে দেখা যায়নি।
বন্ধু হারিয়েছেন সালমান খান। উৎসবমুখর সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে খুন করা হয় সাবেক মন্ত্রী ও সালমানের বন্ধু বাবা সিদ্দিককে। প্রতিবছর ঈদের অনুষ্ঠানে বাবা সিদ্দিকের নিমন্ত্রণে সাড়া দিতেন সালমান।
বাবা সিদ্দিকের মৃত্যুর পর নতুন করে শঙ্কায় সালমান খানের নিরাপত্তা। গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দল এরই মধ্যে এই হত্যার দায় শিকার করেছে। কৃষ্ণকায় হরিণ শিকারকে কেন্দ্র করে এই বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে সালমানের বিরোধ পুরোনো। সালমানের ঘনিষ্ঠ হওয়াই নাকি কাল হয়েছে বাবা সিদ্দিকের। সেই কারণেই নাকি মরতে হলো তাকে, এমনই দাবি করেছে দুষ্কৃতকারীরা।
এ ঘটনার পর অনেকেই ভেবেছিলেন বাবা সিদ্দিকের শেষকৃত্যেও হয়তো দেখা যাবে না সালমানকে। কারণ, সেই দিনই একের পর এক হুমকি ফোন পান তিনি। তবে কোনো কথা শোনেননি ভাইজান। ‘বিগ বস ১৮’-এর শুটিং মাঝপথে ফেলেই চলে যান বন্ধুকে বিদায় জানাতে। বাইরে অবশ্য মৌনতা বজায় রেখেছিলেন এত দিন। অবশেষে কথা বললেন নিজের নিরাপত্তা নিয়ে।
সালমান এখন রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস’-এর ১৮তম মৌসুম সঞ্চালনা করলেন। এই অনুষ্ঠানে গতকাল তিনি বলেন, ‘আমার জীবনে যা চলছে...খুবই কঠিন সময় চলছে; আমাকে এসব সামলে চলতে হচ্ছে।’
এদিনের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ির বাইরে আসা তার ঠিক হয়নি। তবে আগে থেকেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকায় তিনি শুটিং বাতিল করতে চাননি। অভিনেতা আরও বলেন, তাকে নিয়ে মা-বাবা উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন; এটা তাকে আরও চিন্তায় ফেলেছে। কারণ ওই গ্যাংয়ের মূল টার্গেটই এই বলিউড স্টার। প্রায় ২ যুগেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা এই আতঙ্কের শেষ কোথায়!
এর সমাধান একটাই- বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের থেকে ক্ষমা পেতে হলে অপরাধী ব্যক্তিকে অবশ্যই রাজস্থানের বিকানিরে অবস্থিত ‘মুক্তিধাম মোকাম’ মন্দিরে যেতে হবে। সেখানে একাগ্রচিত্তে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। ‘অল ইন্ডিয়া বিষ্ণোই সমাজ’-এর সদস্যরা ক্ষমার সিদ্ধান্তে আসলে তবেই হয়তো এ থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
বিষ্ণোইরা মনে করেন, কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা করে গর্হিত অপরাধ করেছেন সালমান খান। যেটি বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের আচারবিধির লঙ্ঘন। মূলত ‘মুক্তিধাম মোকাম’ মন্দির বিষ্ণোইদের সব থেকে পবিত্র ধর্মীয় স্থান। তাদের সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, যদি কোনো ব্যক্তি অপরাধ করেন, তবে তার মধ্যে অবশ্যই অনুশোচনাবোধ থাকতে হবে। যা তাকে প্রায়শ্চিত্তের পথে নিয়ে যাবে। কেউ যদি বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের সঙ্গে কোনোরকম অপরাধ বা অন্যায় করেন, তাহলে তাকে মুক্তিধাম মোকামে গিয়ে পুরো সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চাইতে হয়। শুধু তাই নয়, নির্ধারিত পদ্ধতিতে ক্ষমা চাওয়া হলে, সেটা গ্রহণযোগ্য হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে যাচাই করেন বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের সদস্যরা।
এ দিকে সালমান খানের বাবা সেলিম খানের মন্তব্য, যে ছেলে ছোট থেকে আজ পর্যন্ত কোনো দিন একটা আরশোলা পর্যন্ত মারতে পারেনি, সে কীভাবে হরিণ মারবে? তাই ক্ষমা চাওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। এ বিষয়ে একই ধরনের বক্তব্য সালমানের প্রাক্তন প্রেমিকা সোমি আলিরও। এ অভিনেত্রী জানিয়েছেন, সালমান এই বিষয়ে তাকে বলেছিলেন, হরিণ হত্যার বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না। শুধু তাই নয়, সালমান খানের হয়ে বিষ্ণোইদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন সোমি।
ভাইজান সালমানের জীবনের ঝুঁকির সূত্রপাত ১৯৯৮ সালে। সে সময়ে রাজস্থানের কঙ্কানি গ্রামে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে তার বিরুদ্ধে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার পর থেকেই বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নিশানায় সালমান। এর আগে বেশ কয়েকবার খুনের হুমকি দিয়ে খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই।
প্রায় মাসখানেক আগে গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে গুলি চালানো হয়। বিদেশে সালমান খানের বন্ধু-গায়কের বাড়িতে হামলা করে একের পর এক প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বিষ্ণোই গ্যাং। এ কারণে ওয়াই ক্যাটাগরির পাশাপাশি বর্তমানে সালমানের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। দুবাই থেকে ২ কোটি টাকা খরচ করে বুলেট প্রুফ গাড়িও আনিয়েছেন তিনি।
দীর্ঘ অভিনয় ক্যরিয়ারে অসংখ্য চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় দিয়ে দর্শকের মন জয় করেছেন মেধাবী অভিনেত্রী ফারজানা ছবি। তবে এবার তিনি যুক্ত হলেন একেবারেই নতুন একটি কাজের সঙ্গে।
জীবনের এই পর্যায়ে এসে সরকারি চাকুরিজীবী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন এই অভিনেত্রী। সে কথা নিজেই গতকাল তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি বেতার স্টেশন ‘বাংলাদেশ বেতার’-এর সংবাদ পাঠিকা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ফারজানা ছবি। সুখবরটি ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করে ছবি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ছোটবেলায় আম্মা, আব্বা আর বড় ভাইয়া আমাকে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রে নিয়ে যেতেন। আবৃত্তি করতাম, ছড়া বলতাম। এখন তন্ময় (স্বামী) নিয়ে যায়। সকল কাজের মাঝেই আমি আনন্দ খুঁজে পাই। অংক কষে জীবনকে ভারাক্রান্ত করিনি কখনো। গতকাল ১৯. ১০. ২০২৪ ইং তারিখে অফিসিয়ালি নিয়োগপত্র নিয়ে বাংলাদেশ বেতারে প্রথম সংবাদ পড়লাম। এই কাজটিতে আমার পরিবারের পাশাপাশি নিরলসভাবে যিনি উৎসাহিত করে মনোঃশক্তি দিয়েছেন, তিনি যাত্রী ফেরদৌসি আপা, আপনাকে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা।’
ছবি আরও লিখেছেন, ‘কাজের মাঝে চোখ ফেরালেই স্টুডিওতে বসা তন্ময়ের প্রশান্ত মুখটা আমাকে দিচ্ছিলো প্রশান্তি। আমার জীবনের যাত্রাপথকে যারা প্রতিমুহূর্তে উপভোগ্য করে তুলেছেন তাদের সকলের কাছে আমি ঋণী। আহা, তুমি এমনই জাল পেতেছো সংসারে, কার বা এমন সাধ্য আছে এই মায়াজাল ছিঁড়ে যেতে পারে। সৃষ্টিকর্তার কাছে অসীম কৃতজ্ঞতা।’
বাংলাদেশ বেতারের সঙ্গে সম্পর্কটা বেশ পুরোনো অভিনেত্রী ফারজানা ছবির। সময় আর সুযোগ পেলেই বেতারের নাটকে অভিনয় করেন। গত বছর থেকে মাঝে মাঝে অনুষ্ঠান ঘোষক হিসেবেও কাজ করছেন।
এদিকে ফারজানা ছবির স্বামী তন্ময় সরকার ঢাকা কমার্স কলেজের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। সব মিলে ফারজানা ছবির পরিবারে কাটছে আনন্দের সময়।
ফারজানা ছবি বলেন, ‘অভিনয়শিল্পী হিসেবে অনেক দিন ধরেই বেতারের সঙ্গে আছি। নাটকে অভিনয় করি, আবৃত্তি করি, মাঝে মাঝে অনুষ্ঠান ঘোষক হিসেবে কাজ করি। এবার সংবাদ পাঠ শুরু করলাম। বিষয়টি আমার কাছে ভীষণ আনন্দের। কণ্ঠের পারফরম্যান্স সব সময় আমি উপভোগ করি। ছোটবেলা থেকেই উচ্চারণে খুব ভালো ছিলাম। এটা বেতারে এখন কাজে লাগছে। এখন আমাদের নাটক-সিনেমায় প্রমিত ভাষার ব্যবহার একেবারে কমে গেছে। কিন্তু বেতারে শুদ্ধ বাংলাকে জোর দেওয়া হয়। আমার মনে হয়, বেতার আমার যোগ্যতাকে ত্বরান্বিত করতে সহায়ক হবে। এ ছাড়া আমার স্বামী তন্ময় আজ (গতকাল) ঢাকা কমার্স কলেজের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর হিসেবে কাজ শুরু করেছেন। একসঙ্গে আমাদের আনন্দের সময় কাটছে।’
অন্তর্জালে চিত্রনায়ক শাকিব খান ও সিয়াম আহমেদের খোশগল্পের ছবি ঘুরছে। এরপর একটি ভিডিও ভাইরাল হলো একই সময়ের। কিন্তু তাদের মধ্যকার গল্পের কোনও আলামত পাওয়া গেলো না অডিওতে। পুরো বিষয়টি বেশ রহস্যের জন্ম দিয়েছে।
প্রথম কারণ ঢালিউড কিংকে ঠিক এমন খোশগল্পে মেতে থাকতে সচরাচর দেখা মেলে না। তাছাড়া শাকিবের সঙ্গে সিয়ামের যে খুব বেশি যোগাযোগ বা সখ্য রয়েছে, তেমনটাও নয়। তাহলে এই খোশগল্পের হেতু কী?
এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে মরিয়া শাকিবিয়ান আর সিয়ামিয়ানরা। সত্যি বলতে এই রহস্য উদঘাটনে যেন যুক্ত হলো পুরো মিডিয়া। কেউ বলছেন একসঙ্গে সিনেমা করতে যাচ্ছেন দুজনে। কেউবা বলছেন অগ্রজ শাকিব খান থেকে পরামর্শ নিতে গিয়েছেন অনুজ সিয়াম আহমেদ। কিন্তু সদুত্তর মিলছে না। কারণ শাকিব-সিয়াম দুপক্ষই চুপচাপ।
অবশেষে জানা গেলো এই খোশগল্প-রহস্য। সবাই জানেন, রিমার্ক-হারল্যানের ডিরেক্টর হিসেবে যুক্ত আছেন শাকিব খান। এর আগে নিজের এই প্রতিষ্ঠানে তিনি যুক্ত করেছেন পরীমণি, অপু বিশ্বাস, বিদ্যা সিনহা মিম, নুসরাত ফারিয়া, পূজা চেরী, নাজিফা তুষি, দিঘী থেকে শুরু করে ছোটপর্দার সাবিলা নূর, তানজিন তিশা, সামিরা খান মাহির মতো তারকাদের। এবারই কোন পুরুষ তারকাকে এই প্রতিষ্ঠানের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। তিনি আর কেউ নন, ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়ক সিয়াম আহমেদ। আর তাকে প্রতিষ্ঠানটিতে স্বাগত জানান শাকিব খান। যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে সেটি মূলত ওই সময়ের।
১৯ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে সিয়াম প্রতিষ্ঠানটিতে চুক্তিবদ্ধ হন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রিমার্ক-হারল্যানের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও নায়ক মামনুন হাসান ইমন এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
এ সময় শাকিব খান বলেন, ‘সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি অথেনটিক পণ্য বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছে রিমার্ক-হারল্যান। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রচার ও প্রসারে সিয়ামের মতো একজন প্রতিভাবান শিল্পী উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবেন বলে আমি আশা রাখি।’
অনুষ্ঠান শেষে সিয়াম বলেন, ‘দেশের মানুষকে নকল ও ভেজাল পণ্যের করাল গ্রাস থেকে মুক্তি দিতে রিমার্ক-হারল্যানের এই প্রচেষ্টার সাথে যুক্ত হতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত। শিগগিরই এই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রমে আমাকে দেখতে পাবেন ভক্তরা।’
প্রসঙ্গত, ১ নভেম্বর পাকিস্তানে উর্দু ভাষায় মুক্তি পাচ্ছে শাকিব খানের ‘তুফান’। শিগগিরই দেশে মুক্তি পাচ্ছে ‘দরদ’। অন্যদিকে সিয়াম আহমেদ মুক্তির মিছিলে আছেন ‘জংলী’ নিয়ে।