আর মাত্র কয়েকটি দিনের অপেক্ষা। এরপরই বিরাট-আনুশকার ঘর আলো করে আসবে এক নতুন অতিথি। তারই আগমনের অপেক্ষায় রয়েছেন এই তারকা দম্পতি।
গর্ভাবস্থার একদম শেষ পর্যায়ে রয়েছেন আনুশকা শর্মা। কিন্তু বিগত কয়েকদিন বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনের কাজ নিয়ে অনেক ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন বলিউডের এই অভিনেত্রী। সম্প্রতি ভারতের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ভোগের জানুয়ারি মাসের প্রচ্ছদকন্যা হয়েছেন ৩২ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী।
বিজ্ঞাপন
ম্যাগাজিনের জন্য করা ফটোশুটের বেশ কয়েকটি ছবি ইতিমধ্যে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলোতে শেয়ার করেছেন আনুশকা শর্মা। যেখানে কখনও ঘিয়ে রঙা ঢিলে প্যান্ট, সঙ্গে রঙ মেলানো লম্বা জ্যাকেটে আবার কখনও নেটের ফ্রকে দেখা গেছে হবু মাকে।
মা হওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে এক সাক্ষাৎকারে আনুশকা বলেছিলেন, “আমি জানি এটা সহজ হবে না, কিন্তু কখনও কখনও সেটাই করতে হয় যেটা তুমি করতে চাও। বাবা-মা হওয়ার সবচেয়ে বড় পাওনা হল সেটা আপনাকে নিজের উর্দ্ধে ভাবতে শেখায়। নিজের চেয়ে বেশি অন্য কাউকে ভালোবাসতে শেখায়।”
২০২৩ সালের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, মেলবোর্ন ও ব্রিসবেনে একাধিক স্টেজ শো করেন উপমহাদেশের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমীন। এরপর আর তাকে মঞ্চে দেখা যায়নি। এক সময় তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে নানা ধরনের গুজব ছড়িয়ে পড়লে একপর্যায়ে অডিও বার্তা দিতে বাধ্য হন বরেণ্য এই শিল্পী।
এরপর তিনি নিজের মতো করেই দিন কাটাচ্ছিলেন। কিন্তু এ মাসের শুরুর দিকে বাল্যকালের বন্ধু চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমানের মৃত্যুর খবরে আর ঘরে বসে থাকতে পারেননি এই শিল্পী। অসুস্থতার জন্য নেয়া বিরতি থেকে প্রথমবার ক্যামেরার সামনে আসেন সাবিনা।
এবার জানা গেলো, আবারও চিরচেনা গানের দুনিয়ায় ফিরতে প্রস্তুত এই বরেণ্য শিল্পী। সাবিনা ইয়াসমীন জানান, গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি তার অস্ত্রোপচার হয়। অস্ত্রোপচার শেষে চার মাসে ৩০টি রেডিওথেরাপি নিয়েছেন। কেবল কাছের মানুষেরাই শুধু জানতেন এসব তথ্য। সাবিনার ভাষায়, ‘এটা ছিল কঠিন এক যুদ্ধ। তবে মনোবল ছিল শক্ত।’
চিকিৎসা শেষে গত মে মাসে ঢাকায় ফেরেন সাবিনা। ফলোআপ করাতে এরপরও একাধিকবার সিঙ্গাপুর যেতে হয়েছে। আপাতত যাওয়ার আর দরকার পড়ছে না, জানালেন তিনি।
সাবিনা ইয়াসমীন বলেন, ‘চিকিৎসাটা ছিল একটা কঠিন পরীক্ষা। জীবনযুদ্ধও বলা যায়। মনে হয়েছিল, আল্লাহ তাআলা যেটাই চাইবেন, সেটাই হবে। আল্লাহর অশেষ রহমত ও দেশবাসীর দোয়া। মনে জোর ছিল, আমি এটা কাটিয়ে উঠব। কারণ, ভালো মানের ট্রিটমেন্ট পাচ্ছি। সেই চারটা মাস জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়। এই সময়ে আমার বন্ধু, ছোট বোন, যেটাই বলি না কেন, সে হচ্ছে মিলিয়া সাবেদ। সিঙ্গাপুরে রেডিওথেরাপির পুরোটা সময় ওর বাসায় ছিলাম। ওর আন্তরিক ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ। মানসিক সাপোর্ট, সাহস ও অনুপ্রেরণা দিয়েছে। আমার জন্য যা করেছে, এখনো যা করে যাচ্ছে, এই জীবনে তার ঋণ শোধ করতে পারব না।’
ভক্তদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এই শিল্পী, ‘শুনেছি, অনেকে আমাকে নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। তাদের ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে পারব না। তাদের দোয়া ও ভালোবাসা আমি মাথায় তুলে রাখছি। আমি যেন তাদের আশা পূরণ করতে পারি। তাঁরাই আমার আসল শক্তি, সাহস, প্রেরণা।’
৩১ জানুয়ারি ও আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় দুটি বড় অনুষ্ঠানে গাইবেন সাবিনা ইয়াসমীন। এরপর চট্টগ্রামেও স্টেজ শো করবেন। প্রথম অনুষ্ঠানে নিজের পছন্দের গান যেমন শোনাবেন, তেমনি উপস্থিত শ্রোতাদের অনুরোধের গানও শোনাবেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে গানে ফিরছি। আমি তো গানের মানুষ। ছয় দশক গানে গানে কাটছে। গান ছাড়া তো আর কিছু ভাবতে পারি না। এখানেই যত আনন্দ। সেই আনন্দের জায়গায় ফিরছি, খুবই ভালো লাগছে।’ তিনি জানান, কয়েকজন সংগীত পরিচালক নতুন গানের রেকর্ডিংয়ের ব্যাপারে যোগাযোগ করেছেন। স্টেজ শোর ফাঁকে নতুন গানের রেকর্ডিংও করবেন। স্টেজ শোর প্রস্তুতি হিসেবে ২৬, ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি টানা তিন দিন যন্ত্রশিল্পীদের নিয়ে মহড়ায় অংশ নেবেন। তাঁর ভাষায়, মঞ্চে ওঠার আগে নিজেকে ঝালিয়ে নেওয়া।
১৯৬২ সালে রবীন ঘোষের সুরে প্রথম ছোটদের গানে কণ্ঠ দেন। এরপর তাকে আর সংগ্রাম করতে হয়নি। একের পর এক সিনেমায় গেয়েছেন, প্রকাশিত হয়েছে অ্যালবাম। নিজেকে বাংলা গানের অপরিহার্য শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তবে সংগীতজীবনে কখনো রেওয়াজ করা ছাড়েননি। সাবিনা ইয়াসমীন বলেন, ‘আমার রেওয়াজ সব সময় চলে। যখন সিঙ্গাপুরে ছিলাম, মিলিয়ার বাসায়ও নিয়মিত রেওয়াজ করতাম। রেওয়াজ আমার একটা অভ্যাস বলা যায়। এখনো প্রতিদিন এক থেকে দেড় ঘণ্টা রেওয়াজ করি। সাধারণত সকালে করি, কাজকর্ম থাকলে অন্য সময়ে করি।’
১৯৬৭ সালে ‘আগুন নিয়ে খেলা’ সিনেমায় প্রথম গান করেন সাবিনা ইয়াসমীন। তখন তার বয়স মাত্র ১৩ বছর। সর্বশেষ ২০২০ সালে কবরী পরিচালিত ‘এই তুমি সেই তুমি’ ছবিতে কণ্ঠ দেন। শুধু তা-ই নয়, প্রথমবার সুরকার হিসেবে ছবিটির চারটি গানের সুরও করেন সাবিনা ইয়াসমীন। দীর্ঘ সংগীতজীবনে এটিই তাঁর একমাত্র সুর ও সংগীত পরিচালনা।
ছবিটি নিয়ে একটি আফসোস রয়ে গেছে, ‘কবরী বেঁচে থাকলে এত দিনে ছবিটি মুক্তি পেয়ে যেত। কিন্তু ওর মৃত্যুতে ছবিটির কোনো আপডেট পাওয়া যাচ্ছে না। একটু খারাপ লাগছে। ছবিটি এত দূর হয়ে গেছে, আরেকটু কাজ হলে পুরো কাজ শেষ হয়ে যেত। জানি না, এখন কীভাবে শেষ হবে। আমার সুর-সংগীতে কোনাল ও ইমরানকে দিয়ে গান করিয়েছিলাম। দুজনই চ্যানেল আইয়ের সেরাকণ্ঠ দিয়ে এসেছে। আমি তখন বিচারক ছিলাম। এটা আমার জন্য খুব আনন্দের বিষয় ছিল। এখন দেখা যাক।’
ঢালিউডের আলোচিত-সমালোচিত অভিনেত্রী পরীমণি। অনেকেই বলে থাকেন, তিনি যতোটুকু কাজ করেছেন তার চেয়ে ঢের লাইমলাইট পেয়েছেন। এবার পরী নিজেই তা স্বীকার করলেন! এমনকি তার কাজের চেয়ে যে ব্যক্তিজীবন নিয়েই বেশি চর্চা হয় সেটিও তিনি জানেন ও মানেন। সে কথাগুলোই আজ ফেসবুকে জানিয়েছেন পরীমণি।
তিনি আজ নিজের সঙ্গে নিজেরই কিছু কথোপকথন লেখার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন ফেসবুকে।
এই নায়িকা লিখেছেন, ‘আজ কোনো এক কারণে নিজেকে নিজের মতো করে অনেকগুলো প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করলো আমার। নিজের সাথে কথোপকথন হলো খুব। নিজেকে আক্রমণাত্মক প্রশ্ন করলাম সবগুলোই। যেমন-
১. পরী, আপনি কর্ম জীবনে কি এমন কাজ করেছেন বলে মনে করেন যার জন্য সাধারণ জনগণের আপনাকে নিয়ে এত মাতামাতি? বা পাশাপাশি গণমাধ্যমে আপনাকে নিয়ে এতো সম্প্রচার কেন হয় বলে মনে করেন?
২. আপনার কাজের থেকে লোকে আপনার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতে কেন পছন্দ করে?
৩. আপনার আগের জেনারেশনের থেকেও যদি আরো একটু আগে চলে যাই, যেমন- শাবানা, ববিতা, কবরী, রজিনা’দের আমলে কি তারা তাদের কাজ নিয়ে যতটা ফোকাসে থাকতেন ততটা কি তাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ফোকাসে থাকতেন?’
এই প্রশ্নগুলো করেই আপাতত নিজেকে থামালেন পরীমণি। হয়তো এর চেয়ে বেশি ‘রিয়েলিটি চেক’ মানতে পারছিলেন না তিনি। তাই নিজেকে আর প্রশ্ন না করে তিনি সমাজের প্রতি একটি বিশেষ অনুরোধ করেছেন। পরী লিখেছেন, ‘জীবন কখনও কখনও নিজের কর্ম কিংবা অবস্থানের থেকে খুব বেশি জরুরী হয়ে পড়ে। প্রত্যেকটা জীবনের অধিকার আছে সুন্দর করে বেঁচে থাকার। আমার প্রথম অনুরোধ, প্লিজ এবার একটু ছেড়ে দেন আমাকে। আমার কাজের বাইরে আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আর টানাটানি কইরেন না আল্লার ওয়াস্তে! বিশ্বাস করেন, এখানে আমার জীবনটাই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এখন।’
কেন তিনি এমন অনুরোধ করছেন সে কথাও জানালেন এই নায়িকা, ‘আমার সাকসেসফুল ক্যারিয়ারের থেকেও জরুরী আমার সুস্থ জীবন যাপনের। কারণ আমার বাচ্চাদের আমি একটা সুন্দর সুস্থ জীবন দিতে চাই। আমি আমার বাচ্চাদের মা/ একমাত্র অভিভাবক হয়ে আমি তার সর্বোচ্চটা দিতে চাই। যেমন করে হয়তো সব মায়েরাই চায়! গত তিন-চারটা মাস আমার জীবনের সবথেকে কঠিন সময় পার করেছি আমি। কেন / কি জন্যে সেটার ডেসক্রিপশনটা দেয়ার প্রয়োজন নেই বলে ধরে নিচ্ছি।’
সবশেষে তিনি লেখেন, ‘আমি নায়িকা, আমি মেয়ে, সব কিছু ছাড়িয়ে আমি মানুষ। আমি এই পৃথিবীর সমস্ত মানুষের কাছে প্রার্থনা করছি- হে মানুষ, হে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাণ, তোমরা আমার উপর এবার একটু রহম কর। আগে আমি সুন্দর করে একটু বাঁচি তারপর এমন হাজারো প্রশ্নের উত্তর দেবো।’
কিন্তু দু’দিনের মধ্যে পরীর মানসিকতার এতো পরিবর্তণ কিভাবে বা কেন এলো তা বোধগম্য নয়। কারণ, এ সপ্তাহেই তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর ভক্ত বিশেষ করে সাংবাদিকদের উদ্বিগ্ন হয়ে পড়াটাকে তিনি আদালত প্রাঙ্গণেই দারুণভাবে সমর্থন করেন। এমনকি তিনি এও বলেন, ‘একদম শুরু থেকেই আপনারা যেভাবে আমাকে সাপোর্ট করেছেন, যতটা পেরেশানিতে ছিলেন, তা দেখে আমার নিজের যত দুঃখ ছিল, সেটা ঘুচে গেছে।’
বেশ অনেকদিন ধরে চর্চায় রয়েছে বলিউডের প্রখ্যাত নবাব পরিবার। সাইফ আলী খানের উপর হওয়া হামলায় বাংলাদেশি যুবকের সম্পৃক্ততার দরুন দুই দেশেই আলোচনা যেন শেষ হচ্ছেনা। শোনা গিয়েছিল তার বোন সোহা আলী খানের বাড়িতেও হামলার সম্ভাবনা ছিল। সাইফ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলে, নেটিজেনদের কিছু ব্যাপার খটকা লাগলে সমালোচনাও হয় সমানতালে। আবারও নবাব পরিবারের আরেক সদস্য এলেন আলোচনায়। সাইফপুত্র ইব্রাহিম আলী খানের এবার বলিউডে অভিষেক ঘটতে চলেছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ইন্সটাগ্রামে করণ নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে ইব্রাহিমের বলিউড ডেবিউর খবর দেন। যদিও কোন প্রজেক্ট বা কীরকম চরিত্র তার কোনো আভাস পাওয়া যায়নি। ইব্রাহিমের কয়েকটি ছবিপোস্ট করে সেখানে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন করণ। অমৃতা সিং এবং সাইফ আলী খানের সঙ্গে তার ঘনিষ্টতা থেকে শুরু করে আরও নানা ব্যাপারে কথা বলে একটি দীর্ঘ পোস্ট শেয়ার করেন তিনি।
করণ সেখানে সারার কথা্ও বলেন করণ। অমৃতা, সাইফ এবং সারার সাথে করণ ও তাদের প্রযোজনা সংস্থা ‘ধর্মা’র সম্পৃক্ততার আবেগও ব্যক্ত করেন। শেষে তিনি লেখেন,‘প্রায় ৪০ বছর ধরে তাদের পরিবারকে আমি চিনি। তাদের রক্তে অভিনয় আছে; তাদের জিন এবং তাদের নেশা। নতুন আরেক প্রতিভার জোয়ারকে আমরা পথ দেখাবো। যাকে নিজেই পর্দায় দেখতে পাওয়ার জন্য তড় সইছে না।’
বোন সারা আলী খানের মতো ইব্রাহিমও করণ জোহরের হাত ধরে বলিউডে পা রাখবেন। সাইফ আলী খানের সবচেয়ে বড় ছেলে ইব্রাহিম। সাইফের প্রথম স্ত্রী এবং তার মা অমৃতা সিংও নব্বই দশকের অন্যতম সেরা অভিনেত্রী ছিলেন। দাদী শর্মিলা ঠাকুর ছিলেন তার সময়ের বলিউড সেনসেশন। আলিয়া ভাট, জাহ্নবী কাপুর, অনন্যা পান্ডের মতো সারা আলী খানও করণের হাত ধরে বলিউডে পদার্পণ করেছিলেন।
সারাক্ষণই নাকি প্রচারের আলোয় থাকতে চান রাখি সাওয়ান্ত! সেই কারণে যে কোনও সীমা নাকি পেরিয়ে যেতে পারেন বলিউডের এই স্বনামধণ্য তারকা। এবার সত্যি সত্যি নাকি সীমানা পেরিয়ে পাকিস্তানে এই আলোচিত-সমালোচিত অভিনেত্রী!
রাখি নাকি ফের বিয়ে করছেন। এর আগে দু’বার বিয়ে করেছেন তিনি। শেষবার তো ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। যদিও দু’বারই ব্যর্থ হয় রাখির বিয়ে। এবার তৃতীয় বিয়ের পথে রাখি। তবে গত দু’বারের মতো নাকি আর ভুল করবেন না, বদ্ধপরিকর তিনি। এবার বিয়ে করছেন সীমান্তপারের পাত্রকে। রাখির হবু স্বামী পাকিস্তানি। কোথায় হবে বিয়ে, পাকাপাকিভাবে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বৌ হবেন রাখি?
গত দু’বারই রাখির বিয়ে নিয়ে বেশ জলঘোলা হয়। প্রথমবার রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চে স্বামীকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন। তারপর সে বিয়ে নিয়ে নানা গল্পকথা তুলে ধরেন রাখি। অল্প দিনের মধ্যে প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তার। দ্বিতীয়বার আদিল দুরানি নামের উঠতি এক অভিনেতাকে বিয়ে করেন। এই বিয়ে তো থানাপুলিশ অবধি গিয়ে শেষ হয়।
তবে আর কোনো বিড়ম্বনা চান না নিজের জীবনে। গত দু’বারের ভুলও আবার করতে চান না। তাই এবার পুলিশে কর্মরত পাত্রকে বেছে নিয়েছেন। পাত্রের নামে দোদি খান। তিনি একাধারে পুলিশ, আবার অভিনেতাও। পাকিস্তানে গিয়ে নাকি বহু বিয়ের প্রস্তাব পান রাখি। সেখান থেকেই বেছে নেন দোদিকে।
রাখির কথায়, ‘ভারত ও পাকিস্তান একে অপরকে ছাড়া চলতে পারে না। আমি পাকিস্তানিদের ভালবাসি।’ রাখি আরও জানান, বিয়ে হবে পাকিস্তানে, ইসলাম ধর্মের নিয়ম অনুসারে। তবে বিয়ের প্রীতিভোজ হবে ভারতে। মধুচন্দ্রিমায় যাবেন নেদারল্যান্ডসে। সংসার পাতবেন দুবাইয়ে।