‘শিবিরমুক্ত করতেই আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা’
জাবি উপাচার্য অপসারণ আন্দোলনজাবি থেকে, জাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা বলেন, আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে শিবির সংশ্লিষ্টতার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল। তাই তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে।
রোববার (৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানার নেতৃত্বে ৮০-৯০ জন নেতাকর্মী ও উপাচার্যপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালান। এতে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ৩৫ জন আহত হন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক নেতা বলেন, আমাদের পরিকল্পনা ছিলো একটা একটা ধরে শিবির পেটানো। কিন্ত সেটা সম্ভব হয়নি, জেনারালাইজড হয়ে গেছে।
এ হামলায় আন্দোলনকারী শিক্ষক, ছাত্রী এবং দায়িত্বরত তিন সাংবাদিক আহত হন। আহতদের মধ্যে নারী শিক্ষার্থীসহ ১২ জনের অবস্থা গুরুতর।
হামলার শিকার সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, ছাত্রলীগ সদস্যরা একজন একজন করে ধরে মিছিল থেকে বাইরে বের করে আনে। তারপর কিল-ঘুষিসহ বেধড়ক পেটাতে থাকে বিশ্বাবিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি জুয়েলের অনুসারীরা।
পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, যখন তারা আমাদের ওপর আক্রমণ করেন, তখন তারা বলছিল, ওরা শিবির, তোরা ছাত্রী সংস্থার সদস্য পেটাতে থাক কিছু হবে না।
আন্দোলনের সমন্বয়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ‘ছাত্রলীগ সশস্ত্র হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। পিস্তল নিয়ে এসেছে তারা। শিবির আখ্যা দিয়ে নারী শিক্ষার্থীদেরও চেয়ার দিয়ে পিটিয়েছে, পেটে উপর্যুপরি লাথি মেরেছে।।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক খবির উদ্দিন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, হল বন্ধ হয়েছে, সারা জীবন তো বন্ধ রাখতে পারবে না। আমাদের আন্দোলন, আমরা চালিয়ে যাব। আমরা তো কারো কাছে বিচার দিতে পারছিনা। যার কাছে বিচার দিব, তার উস্কানিতেই হামলা হয়েছে।