প্রধানমন্ত্রীকে ভিসির দুর্নীতির প্রমাণ দেবেন আন্দোলনকারীরা

  জাবি উপাচার্য অপসারণ আন্দোলন
  • জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সংবাদ সম্মেলনে পরবর্তী দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন অধ্যাপক রায়হান রাইন

সংবাদ সম্মেলনে পরবর্তী দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন অধ্যাপক রায়হান রাইন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাত ৯টায় উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বাসভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারের অন্যতম সংগঠক অধ্যাপক রায়হান রাইন।

বিজ্ঞাপন

এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান আন্দোলন ও উপাচার্যের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ভিসির বিরুদ্ধে দুর্নীতির যেসব অভিযোগ তুলেছে, এর সুনির্দিষ্ট তথ্য তো তাদের কাছে থাকার কথা। তারা যদি অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদেরও সাজা হবে। যে মিথ্যা অভিযোগ করবে, তার শাস্তি হবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রসঙ্গে অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, আগামীকাল প্রধানমন্ত্রীর কাছে তথ্য-প্রমাণ জমা দেওয়া হবে। আমাদের কাছে যে প্রমাণগুলো আছে তাতে করে অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম আর কোনভাবেই তার পদে থাকতে পারেন না।

পরবর্তী দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে অধ্যাপক রায়হান রাইন জানান, শুক্রবার সকাল এগারোটার পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান ও প্রতিবাদী পটচিত্র অঙ্কন এবং পুরো ক্যাম্পাসে তার প্রদর্শনী হবে।


উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে চলমান আন্দোলনের আরেক সংগঠক রাকিবুল রনি বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ও উপাচার্যের দ্বারা ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস ও নির্যাতনের শিকার। আমাদের আন্দোলন যৌক্তিক এবং শান্তিপূর্ণ।

তিনি বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই—দুর্নীতির অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত হলে উপাচার্য ও তার পরিবারসহ সংশ্লিষ্ট সবার দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার প্রমাণ মিলবে। এই ঘটনার তদন্ত চলাকালে উপাচার্য তার পদে আসীন থাকতে পারবেন না। কেননা আমরা মনে করি—এই উপাচার্য পদে আসীন থাকা অবস্থায় তদন্ত হলে, তা পক্ষপাতদুষ্ট হবে। এছাড়া তদন্ত চলাকালে উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলবে। আমরা দৃঢ়ভাবে মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল এবং চলমান মেগা প্রজেক্টের সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য এই উপাচার্যকে অপসারণের কোনো বিকল্প নেই।