রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ১৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া সম্মাননা প্রত্যাখ্যান করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুর ১২ টায় আলোচনা সভায় তিনি এই সম্মাননা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বেরোবির বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর কমলেশ চন্দ্র রায় এই মঞ্চ থেকে সম্মাননা পেয়েছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপাতি। অন্যদিকে কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শফিকুর রহমান গত ১৩ই আগস্ট কালের কন্ঠে একটি কলাম লিখেছিলেন সেখানে তিনি একটি লাইন লিখেন 'আবু সাঈদ নিহত হওয়ার পরেও পরিস্থিতি সামলানোর পার্যায়ে ছিল’। এই দুইজনকে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সম্মাননা প্রদান করায় তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম তার সম্মাননা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এসময় তিনি বলেন, যে মঞ্চ থেকে আওয়মী লীগের দোসরা সম্মাননা স্মারক নিয়েছেন সেই একই মঞ্চ থেকে আমি সম্মাননা স্মারক নিচ্ছি না। হয়তো কোন একদিন ফ্যাসিবাদ মুক্ত বেরোবিতে আসবো এবং প্রকৃত সম্মাননা নিব। এছাড়া তিনি বেরোবি উপাচার্যকে এসব বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বলেন।
এইদিকে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শুনে প্রফেসর ড. শফিকুর রহমান বলেন, আমার সেই কলামটি শিরোনাম ছিল "আবু সাঈদ যখন রাজনীতিবিদদের শিক্ষক"। আমি শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের সাথে ছিলাম। ফেসবুকে লেখালেখি করেছিলাম। তারপরও যেহেতু আজ আমার কলামের একটা লাইন নিয়ে আমার দিকে আঙ্গুল তোলা হয়েছে। তাই আমাকে যে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়েছে সেটি আমি শিক্ষার্থীদের মতকে সম্মান জানিয়ে সারেন্ডার করলাম।
এই বিষয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো.শওকাত আলী বলেন, আমি এসেছি এখনো একমাসও হয়নি। আমাকে তো মানুষগুলো চিনতে হবে। আমি সবকিছু শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপ আলোচনা করে পদক্ষেপ নিই। আর আমি তো মানুষগুলোকে বলতে পারি না আপনারা পদ থেকে সরে যান। আমাকে সময় দেন ইনশাআল্লাহ সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
রংপুরবাসীর দীর্ঘ প্রত্যাশার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ১৭ বছরে পদার্পণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বেরোবির প্রধান গেইট উদ্বোধন করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
শনিবার ( ১২ অক্টোবর) সকালে রংপুর নগরীর পার্কের মোড় সংলগ্ন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেইট উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে নানা কর্মসূচিতে অংশ তিনি।
বৈষম্যহীন ক্যাম্পাস গড়ার প্রত্যয় শিক্ষার্থীদের। আবু সাঈদের সাহসিকতায় গর্বিত সমগ্র দেশ। বেরোবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে এবছরের স্লোগান ‘ধন্য বেরোবি গড়বো দেশ, আবু সাঈদের বাংলাদেশ’। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন হয় বেরোবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
উল্লেখ্য,২০০৮ সালের ১২ অক্টোবর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। ৭৫ একরের স্থায়ী ক্যাম্পাসে ছয়টি বিভাগে ৩০০ শিক্ষার্থী, ১২ শিক্ষক, ৩ কর্মকর্তা, ৯ কর্মচারীর বেরোবিতে এখন ছয়টি অনুষদের ২২টি বিভাগের শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় ৮ হাজার। ছয়টি অনুষদের অধীনে বিভাগ রয়েছে ২২টি।
পিছিয়ে পড়া রংপুরের শীর্ষ বিদ্যাপীঠ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে উচ্চতর গবেষণার জন্য এখানে রয়েছে ড. ওয়াজেদ রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। স্বনামধন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৬ বছরে অনেকটাই পূর্ণাঙ্গ রূপ পেয়েছে বেরোবি।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নানা কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জাতীয় এবং ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক উদ্বোধন, শোভাযাত্রা, বৃক্ষরোপণ, কেক কাটা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শাহপরান হলে তল্লাশী চালিয়ে কয়েকটি রুম থেকে দেশীয় অস্ত্র ও মদের বোতল উদ্ধার করেছে হল প্রশাসন।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইফতেখার আহমেদ।
তিনি জানান, শাহপরান হলের বি ব্লকের ৪১৭ নাম্বার কক্ষ থেকে একটি জি আই পাইপ, ৪১৯ নাম্বার কক্ষ থেকে একটি রড, সি ব্লকের ৪২৩ নাম্বার কক্ষ থেকে একটি জিআই পাইপ ও একটি মদের বোতল, সি ব্লকের ৪২৪ নাম্বার কক্ষ থেকে এক বস্তা জি আই পাইপ, একটি টি রামদা, কিছু নেশা সরঞ্জাম, দুটি চাকু, একটি রড, এ ব্লকের ২০২ নাম্বার কক্ষ থেকে একটি চাইনিজ কুড়াল ও দুটি জি আই পাইপ পাওয়া গিয়েছে।
৮ ও ১০ অক্টোবর এ দুইদিনের তল্লাশিতে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এসব কক্ষে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা থাকতেন বলে জানান প্রভোস্ট।
প্রভোস্ট আরব বলেন, আমরা সব রুমে তল্লাশি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানাব। এরপর প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত নিবে আমরা সে অনুযায়ী কাজ করবো।
সম্প্রতি স্বনামধন্য স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠান 'কোডার্সট্রাস্ট'-এর বনানীর হেডঅফিসে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো 'ক্যারিয়ার কার্নিভাল'। শিক্ষার্থী ও এলামনাইদের জব প্লেসমেন্ট এর বিশেষ সুযোগ করে দেয়ার জন্যই 'কোডার্সট্রাস্ট'-এর এই আয়োজন। কোডার্সট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বিশিষ্ট প্রযুক্তিবিদ ও উদ্যোক্তা জনাব আজিজ আহমেদ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, একাউন্টস ম্যানেজমেন্টস, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, এস.ই.ও ও কন্টেন্ট রাইটিং সহ বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে ৬০টির ও বেশি জব ওপেনিং নিয়ে উপস্থিত ছিল বিডিজবস, প্রিয় শপ, টেকনোসফট, হাউস অফ বুককিপার্স সহ প্রায় ২০টি কোম্পানি। 'কোডার্সট্রাস্ট' এর ১০০০ এর অধিক শিক্ষার্থী ও এলামনাই এর সমারোহে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছিল ক্যাম্পাস।
বাংলাদেশে বেকার সমস্যার সমাধানে ১০ বছর ধরে ডিজিটাল স্কিল কেন্দ্রিক দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছে 'কোডার্সট্রাস্ট'। এদেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর অনেকেই বেকারত্বের সমস্যায় ভুগছেন মার্কেট উপযোগী ডিজিটাল স্কিল এর অভাবে। 'কোডার্সট্রাস্ট' তাদের শিক্ষার্থীদের কনস্পেট-ভিত্তিক শিক্ষা দেয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন এসাইনমেন্ট ও প্রজেক্ট এর মাধ্যমে অভিজ্ঞ করে গড়ে তোলে। এক্ষত্রে দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি চাকরির বাজারে অভিজ্ঞতার চাহিদাও পরিপূর্ণ করার যোগ্যতা নিয়ে একেকটি কোর্স সম্পন্ন করেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও আছে 'কোডার্সট্রাস্ট'-এর বিভিন্ন এফিলিয়েটদের মাধ্যমে তাদের জব-প্লেসমেন্টের সুযোগ।
''বর্তমানে অধিকাংশ জব এপ্লিকেশন এর ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, সিভি তে অনেক কিছু উল্লেখ থাকলেও আশানুরূপ দক্ষ ব্যক্তি পাওয়া যাচ্ছেনা। এক্ষেত্রে স্কিল-বেজড কোর্স থেকেই সরাসরি জব প্লেসেমেন্টর ব্যবস্থা আমাদের মতো টেক কোম্পানী-কে আশানুরূপ চাকরিপ্রার্থীদের বাছাই করতে সাহায্য করবে।” কথাগুলো বলছিলেন প্রিয় শপ এর পক্ষ থেকে উপস্থিত একজন রিত্রুটার।
''আমি গত বছরের শেষের দিকে কোডার্সট্রাস্ট থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোর্স কমপ্লিট করে এখন ফেসবুক মার্কেটিং এর কাজ করছি। আজকে এস.ই.ও স্পেশালিস্ট ও ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য ২টি ইন্টারভিউ দিলাম, সিভি ও ড্রপ করেছি ১টি কোম্পানির বুথে। জবের ব্যাপারে আশা পাচ্ছি। আবার এতদিন পর এখানে এসে মেন্টর ও কোর্সমেটদের সাথে দেখা হয়ে বেশ ভালো লাগছে।” বললেন 'কোডার্সট্রাস্ট' এর ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স-এর এলামনাই জুনায়েদ।
'কোডার্সট্রাস্ট', একটি গ্লোবাল এডু-টেক কোম্পানী যারা দক্ষ মানব কর্মশক্তি গড়ে তোলার জন্য নিবেদিতভাবে দেশে বিদেশে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশে এবং বৈশ্বিক মঞ্চে ডিজিটাল দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে একটি টেকসই অর্থনৈতিক ভিত্তি স্থাপনে সহায়তা করা। ঢাকা ও চট্টগ্রামে চারটি শাখা নিয়ে তারা এসব সেবা দিয়ে যাচ্ছে। ইউএনডিপি, জিপি একাডেমি এবং জয়িতার মতো মর্যাদাপূর্ণ সংস্থাগুলির সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে, 'কোডারসট্রাস্ট' বিভিন্ন স্থানীয় ও বৈশ্বিক প্রকল্পে অবদান রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশ ছাড়াও, তারা ১৬টিরও বেশি দেশে একটি দক্ষ কর্মী বাহিনী গড়ে তোলার জন্য দক্ষতা-উন্নয়ন পরিষেবা প্রদান করে।