জাবিতে হল গেটে তালা, ক্যাম্পাস জুড়ে আতঙ্ক

  জাবি উপাচার্য অপসারণ আন্দোলন
  • জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিজ্ঞপ্তির পর হল ছাড়তে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বিজ্ঞপ্তির পর হল ছাড়তে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনার পর গতকাল জরুরি এক সিন্ডিকেট সভায় তাৎক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে সে নির্দেশ অমান্য করে অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা আবাসিক হলে অবস্থান করছিলেন। 
 
বুধবার (৬ নভেম্বর) এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে আবারও বেলা সাড়ে তিনটার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নির্দেশ অমান্য করলে 'কঠোর' পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আর ঘোষণার পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো ক্যাম্পাসে। 
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে সকল দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে
 
হল প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক বশির আহমেদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সকল দোকান বন্ধ থাকবে। এছাড়া সাড়ে তিনটার মধ্যে সকল আবাসিক হল খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরও হলে অবস্থান করলে প্রশাসনিক যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।' 
 
বিজ্ঞপ্তির পরও আন্দোলন বের করেন শিক্ষার্থীরা
 
এ ঘোষণার পর সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ হলের প্রধান গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বন্ধ রয়েছে সকল দোকানপাট। এতে আতঙ্ক বিরাজ করছে পুরো ক্যাম্পাসে। ফলে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 
 
অন্যদিকে হল ভ্যাকেন্ট প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এই বিজ্ঞপ্তি আসার পরও বুধবার বিকেলে আন্দোলনকারীদের একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বাসভবনের দিকে অগ্রসর হতে দেখে গেছে।