জাবিতে আন্দোলন চলবে, ফের হামলার আশঙ্কা

  জাবি উপাচার্য অপসারণ আন্দোলন
  • শাহরিয়ার হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, জাবি থেকে
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন চত্বরে অবস্থান নিয়েছে, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন চত্বরে অবস্থান নিয়েছে, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীরা হল ছাড়তে শুরু করেছে। তবে হল ছাড়ার নির্দেশের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক রায়হান রাইনের নেতৃত্বে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন চত্বরে অবস্থান নিয়েছেন এবং সাধারণ ছাত্রদের ন্যায্য অধিকারের পক্ষে থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

এদিকে রায়হান রাইন সকল বাধা অতিক্রম করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, সন্ধ্যা হবার পর থেকে কিছু শিক্ষার্থী হল ছাড়তে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে সমবেত হচ্ছেন। আর বাসগুলোও স্টপেজ ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বাসগুলোকে বাধা দিচ্ছেন। যেন কোনো শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস ছেড়ে না যায়।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে হামলাকারী ছাত্রলীগের একাংশ অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানার নেতৃত্বে আবারো হামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, এমন খবরে আতঙ্কিত আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

জাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মিছিল

এদিকে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে প্রায় ২০০/৩০০ শিক্ষার্থীর একটি মিছিল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর প্রদক্ষিণ করতে দেখা গেছে। তাদের ধারণা, ছাত্রলীগের অন্য একটি অংশ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদ্দামের নেতৃত্বে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে পারে।

প্রসঙ্গত, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ে টানা নবম দিনের মতো সকালে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন। তারা সকালে উপাচার্যের বাসভবন অবরোধ করলে সেখানে উপাচার্যপন্থী কয়েকজন শিক্ষক আসেন। তারা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা করে চলে যাবার পর দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়। এতে ৩৫ জন আহত হন। এদের মধ্যে ১২ জনের অবস্থা গুরুতর।

পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়।