জাবি উপাচার্যের অপসারণ চেয়ে সর্বাত্মক ধর্মঘটের ডাক

  • জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অবরোধ শেষে সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন আন্দোলনকারীরা

অবরোধ শেষে সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন আন্দোলনকারীরা

দুর্নীতির অভিযোগে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ চেয়ে সোমবার (২৮ অক্টোবর) সর্বাত্মক ধর্মঘট ও অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রশাসনিক ভবন অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে দিনব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি শেষে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘উপাচার্য অপসারণ মঞ্চ’ এ ঘোষণা দেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী) জাবি শাখার সভাপতি মাহাথির মুহাম্মদ।

বিজ্ঞাপন

এর আগে সকাল থেকে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। অবরোধ শেষে বিকেলে এক সমাবেশে কর্মসূচীর ঘোষণা করেন তারা।

সমাবেশে নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস বলেন, ‘এ আন্দোলন কোন ব্যক্তি বিশেষকে অপসারণের আন্দোলন নয়। এটি একটি দুর্নীতিমুক্ত ও জবাবদিহিমূলক বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার আন্দোলন।’

বিজ্ঞাপন

বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা বলেন, ‘উপাচার্যের বিরুদ্ধে নয়, আমরা দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। উপাচার্যের বিরুদ্ধে যে লুটপাট ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছি। কিন্তু প্রশাসন থেকে এই যৌক্তিক আন্দোলনকে বানচালের জন্য নানা নাটক উপস্থাপন করা হচ্ছে। অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।’

ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সদস্য রাকিবুল রনি বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের এই ন্যায্য আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আন্দোলনে ভীত হয়ে প্রশাসন থেকে এসব অপকৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে। দুর্নীতিবাজ প্রশাসন এবং এই উপাচার্য যতদিন থাকবে আমরা আন্দোলন অব্যাহত রাখব।’

ছাত্রফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী) জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত দে’র সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ দিদার, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের মুখপাত্র আরমানুল ইসলাম খান প্রমুখ।

আরও পড়ুন: ‘উপাচার্য অপসারণ মঞ্চ’ করে আন্দোলন জাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের