বুয়েটে নিষিদ্ধ হলো ছাত্র রাজনীতি
আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের জেরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সব ধরনের সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট)।
উপাচার্যের ক্ষমতাবলে ক্যাম্পাসটিতে সব ধরনের দলীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন বুয়েটের উপাচার্য সাইফুল ইসলাম। একই সঙ্গে আবরার হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত সব আসামিকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে বলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের জানিয়েছেন তিনি।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে বুয়েটের অডিটোরিয়ামে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন উপাচার্য।
বৈঠকে বুয়েট ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধের পাশাপাশি ক্যাম্পাসে র্যাগিং প্রথা বন্ধের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন উপাচার্য সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বুয়েটে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি থাকবে না। আবরারের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। মামলার বিচারকাজ দ্রুত শেষ করতে সরকারকে চিঠি দেওয়া হবে। বুয়েটে র্যাগিং বন্ধ হবে।
বৃহস্পতিবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়েছিলেন উপাচার্য। তবে শর্ত দেন বৈঠকের সময় কোন গণমাধ্যমকর্মী থাকতে পারবেন না। এতে রাজি হননি আন্দোলনকারীরা। এ কারণে বৃহস্পতিবার বৈঠকটি হয়নি। তবে আন্দোলনকারীদের চাপে শুক্রবার গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।
গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। ৫ অক্টোবর নিজের ফেসবুক আইডি থেকে করা এক পোস্টের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে সোমবার রাজধানীর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আবরার হত্যায় ১৭ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জনের নাম মামলার এজাহারে রয়েছে। গ্রেফতার সবাই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী।
আরও পড়ুন:
আবরার হত্যায় অভিযুক্ত ১৯ ছাত্রকে বুয়েট থেকে বহিষ্কার