স্মৃতির খোঁজে পুরনো প্রাঙ্গণে চবিয়ানদের মিলনমেলা
প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখার পাঠ চুকিয়েছেন অনেক আগেই তবুও ভুলতে পারেননি প্রিয় ক্যাম্পাস। ভুলা যায়নি জীবনের সোনালী সময়ের বন্ধুদের ও সহপাঠীদের। তাই তো চাকরি কিংবা ব্যবসা বাণিজ্যের ব্যস্ততাকে উপেক্ষা করে একদিনের জন্য একত্রিত হয়েছেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীগণ।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জারুলতলায় পুনর্মিলনীর আয়োজন করেছে প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী সমিতি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
এসময় দেশের নানা প্রান্ত থেকে প্রায় দুই শতাধিক বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হওয়া, ছবি তোলা, সেল্ফি, আড্ডা, গল্প, নাচ, গানে মেতে উঠেন। অল্প সময়ের জন্য যেন যৌবনের দুরন্ত সেই দিনগুলোতে ফিরে গেছেন সবাই!
প্রধান অতিথি হিসেবে পুনর্মিলনীর শুভ উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সাখাওয়াত হুসাইন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. মুহিবউল্যাহ ছিদ্দিকী, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন খালেদ চৌধুরী, ড. মো. মোরশেদুল আলম ও সৈয়দ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
এছাড়াও সমিতির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সমিতির প্রাক্তন সভাপতি মুহাম্মদ শওকত আলী নূর, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সেলিম, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান নির্বাহী সদস্য আহমদ ইমরানুল আজিজ, প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ওমর ফারুক হোসাইনী ও সদস্য সচিব মুহাম্মদ নুরুল বশর রাসেল। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আ ন ম নাসির উদ্দিন, মোস্তফা নাজমুল কাউসার আরমান, মুহাম্মদ আইয়ুব আলী, এ এম রমিজ আহমদ ও জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, অ্যালামনাইরা আমাদের সম্পদ। আপনারা আমাদের ক্যাম্পাসে আসবেন দেখবেন। প্রশংশা করার দরকার নেই। যদি কিছু করার থাকে তাহলে সমালচনা করবেন। আমরা সকলে মিলে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাব।
অ্যালামনাই সভাপতি জামাল মোস্তফা চৌধুরী বলেন, সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও আনন্দ ফুর্তি দেখে খুব ভালো লাগছে। আজকের আয়োজনে ঠিক যেভাবে সকলে সকল অংশগ্রহণ করেছে ঠিক তেমনি আগামীর প্রোগ্রামগুলোতে সকলের সহযোগিতা কামনা করি।
সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সেলিম বলেন, আজকের পুনর্মিলনীতে এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। সাবেক বর্তমান শিক্ষার্থীদের মিলন মেলায় এখানে কোলাহল মুখর একটি পরিবেশ বিরাজ করছে। আশা করি সকলে খুব সুন্দর ভাবে প্রোগ্রামটি উপভোগ করেছে।
বিভাগের সাবেক এক শিক্ষার্থী জহির উদ্দীন শিকদার বলেন, আমি ১৯৮১ সালের ব্যাচের শিক্ষার্থী। এই ক্যাম্পাসে সময়গুলো পার করেছি। এখন জীবনের পড়ন্ত বিকেলে এসেছি বন্ধুদের সাথে একটা দিন কাটাব বলে। আজকের আয়োজনটা খুব ভালো লেগেছে। আগামীতে আরো বড় পরিসরে আমরা আয়োজন করতে পারব বলে আশাকরি।