কেন জাপায় প্রেসিডিয়াম সদস্য বাড়াতে হচ্ছে

  • সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির (জাপা) গঠনতন্ত্রে প্রেসিডিয়াম সদস্য থাকার কথা ৪১ জন। সম্প্রতি কয়েকজনকে পদোন্নতি দেওয়ায় এখন এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪-তে। নতুন করে আরও কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে পদোন্নতির তালিকায়।

জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের কাছে প্রশ্ন ছিল, এতে গঠনতান্ত্রিক কোনো সংকট তৈরি হবে কি না? জবাবে বার্তা২৪.কমকে জিএম কাদের বলেছেন, এজিএম করে গঠনতন্ত্র সংশোধন করা হবে। প্রয়োজনে ইজিএম করে গঠনতন্ত্রে সংশোধনী আনা হবে।

বিজ্ঞাপন

সদস্য সংখ্যা কেন বাড়ানো হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমাদের প্রেসিডিয়ামে অনেকে রয়েছেন যারা নিষ্ক্রিয়। সে বিষয়গুলো আমরা দেখছি। এতে জটিলতা হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/11/1557575461293.jpg

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাউন্সিলের পর ৪১ জন সদস্য দিয়ে প্রেসিডিয়াম সভা চূড়ান্ত করা হয়। বিগত নির্বাচনের আগে পরে মোট পাঁচজনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়। এরা হলেন এক-এগারোর অন্যতম কুশীলব মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, ব্যবসায়ী (আরডি মিল্কের মালিক) ফকর উজ জামান জাহাঙ্গীর, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া ও ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান।

হঠাৎ করেই ৯ মে একসঙ্গে আটজনকে প্রেসিডিয়াম সদস্য ঘোষণা করা হয়। এতে সদস্য সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৫৪-তে। এর মধ্যে একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য (এমএ হান্নান) যুদ্ধাপরাধের দায়ে হাজতবাস করছেন।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের সদস্য সংখ্যা ১৬, বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে রয়েছেন ১৯ জন। সেখানে তুলনামূলক ছোটো দল জাতীয় পার্টির ৪১ সদস্যের প্রেসিডিয়াম নিয়েই রয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। নতুন করে আরও আটজনকে প্রেসিডিয়াম সদস্য করায় মুখরোচক আলোচনা তৈরি হয়েছে।

একই সঙ্গে দলের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম অসন্তোষ। এরই মধ্যে সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিবসহ তিনজন সাবেক ছাত্রনেতা পদত্যাগ করেছেন। অসন্তোষ ঠেকাতে নতুন করে আরও কয়েকজনকে প্রেসিডিয়াম সদস্য করার জোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

কিন্তু কেন এই উদ্যোগ? এ বিষয়ে সিনিয়র নেতারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, পার্টির মধ্যে একটি ঠাণ্ডা গ্রুপিং বিদ্যমান। বিশেষ করে প্রেসিডিয়ামের সদস্যরা অনেকেই জিএম কাদেরের বিপক্ষে। সে কারণে সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে সমতা রক্ষার চেষ্টা চলছে। কিন্তু এতে হিতের বিপরীত হতে পারে।