সড়ক দুর্ঘটনা রোধে আইনের প্রয়োগ ঘটাতে হবে: বি. চৌধুরী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী  / ছবি: বার্তা২৪

আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী / ছবি: বার্তা২৪

বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা রোধে দেশের যে আইন আছে তার প্রয়োগ হয় না। এজন্য সঠিকভাবে আইনের প্রয়োগ ঘটাতে হবে। তা না হলে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে না।’

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ শরীয়াহ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ শরীয়াহ আন্দোলন এ সভার আয়োজন করে।

বিজ্ঞাপন

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বি. চৌধুরী বলেন, ‘দেশে আইন (সড়ক দুর্ঘটনার) আছে। কিন্তু আইনের প্রয়োগ হয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, ট্রাক চালকদের সমিতি আছে, কিন্তু সেখানে রাজনীতিক ব্যক্তি রয়েছেন। এমনকি মালিকদের যে সমিতি আছে সেখানে একজন রাজনীতিক ব্যক্তি বসে আছেন যার ফলে আইনের প্রয়োগ হয় না। এর চেয়ে দুঃখজনক ও লজ্জাজনক আর কিছু হতে পারে না। আমরা চাই আইনের প্রয়াগ করা হোক। সব ড্রাইভার এক রকম নয়। এর আগেও নিরাপদ সড়কের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছিল, কিন্তু কিছুই হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আইন আছে প্রয়োগ নাই, এটা হতে পারে না। আমরা আইনের প্রয়োগ চাই। এ ব্যাপারে সরকারকে কঠোর হতে হবে। আমাদের সরকার যদি এভাবে মানুষ হত্যা করে, আমরা কখনোই ক্ষমা করব না। আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এর প্রয়োগ না করলে সুশাসন নিশ্চিত হবে না।’

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বি. চৌধুরী বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। কিন্তু এই নির্বাচন (উপজেলা) কি অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে? সকল রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে না। আওয়ামী লীগের নেতারাই তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। ভোটাররা ভোট দিতে যাচ্ছে না, ভোট দেওয়ার প্রতি তাদের কোনো আগ্রহ নেই? ভোটাররা যদি ভোট না দেয় গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়বে।’

তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলকে রাজনীতি করতে দিতে হবে। তারা রাজনীতি না করতে পারলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হতে পারে না। এটা অংশিক গণতন্ত্র। সবাইকে রাজনীতি করতে দিতে হবে। শ্রদ্ধার রাজনীতির চর্চা করতে হবে।’

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, আয়োজক সংগঠনের নায়েব মাওলানা মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, আমির মুফতি শাহাদত হোসাইন, মহাসচিব গাজি মাসুদুর রহমান প্রমুখ।