কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭২তম আসরের অফিসিয়াল পোস্টার উন্মোচন করা হলো। প্রয়াত নারী নির্মাতা আনেস ভারদার একটি স্থিরচিত্র নিয়ে সাজানো হয়েছে এটি। সোমবার (১৫ এপ্রিল) এক ই-মেইল বার্তায় আয়োজকরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
পোস্টারে দেখা যাচ্ছে, রোদের আলো ছড়িয়ে পড়েছে তরুণী আনেস ভারদার মুখে। একজন টেকনিশিয়ানের কাঁধে দাঁড়িয়ে ক্যামেরায় চোখ রেখেছেন তিনি। ছবিটি ১৯৫৪ সালের আগস্টে তোলা। তখন তার বয়স ২৬ বছর। সেই সময় তার পরিচালিত ‘শর্ট পয়েন্ট’-এর শুটিং চলছিল দক্ষিণ ফ্রান্সে। ১৯৫৫ সালের কান উৎসবে এটি দেখানো হয়। এই আয়োজনে প্রায়ই তাকে দেখা যেতো।
বিজ্ঞাপন
কানের অফিসিয়াল সিলেকশনে ১৩ বার স্থান পেয়েছেন আনেস ভারদা। ২০০৫ সালে বিচারক প্যানেলে ছিলেন। ২০১৩ সালে ক্যামেরা দ’র বিভাগের জুরি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ২০১৫ সালে সম্মানসূচক পাম দ’র দেওয়া হয় তাকে।
বিজ্ঞাপন
৭২তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন হবে আগামী ১৪ মে। ওইদিন থাকছে জিম জারমাশ পরিচালিত ‘দ্য ডেড ডোন্ট ডাই’ ছবির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার। এটি রয়েছে প্রতিযোগিতা বিভাগে। এবার স্বর্ণ পামের দৌড়ে আর কোন ছবিগুলো থাকবে তা ঘোষণা করা হবে আগামী ১৮ এপ্রিল।
প্রতিযোগিতা বিভাগে বিচারকদের প্রধান হিসেবে থাকছেন দুইবারের অস্কারজয়ী মেক্সিকান নির্মাতা আলেহান্দ্রো গঞ্জালেজ ইনারিতু। আনসার্টেন রিগার্ড বিভাগের মূল বিচারক লেবাননের নারী নির্মাতা নাদিন লাবাকি আর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও সিনেফন্ডেশন বিভাগে বিচারকরা কাজ করবেন ফরাসি নারী নির্মাতা ক্লেয়ার ডেনিসের নেতৃত্বে।
এবারের উৎসব চলবে ২৫ মে পর্যন্ত। ওইদিন ঘোষণা করা হবে স্বর্ণ পাম জয়ী ছবির নাম। উদ্বোধনী ও সমাপনী আয়োজন উপস্থাপনা করবেন ৫১ বছর বয়সী ফরাসি অভিনেতা এডুয়ার্ড বেয়ার।
জয়ের স্বপ্ন নিয়ে বিপিএলে দল কিনেছিলেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। কিন্তু তার দল ঢাকা ক্যাপিটালস টানা পাঁচ ম্যাচ হেরেছে। তবে আশার আলো হয়ে ৬ষ্ঠ ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে জ্বলে জয় ছিনিয়ে এনেছে ঢাকা ক্যাপিটালস।
বিপিএলের ইতিহাসে ২৫৪ রানের নতুন রেকর্ড গড়ে এবং নাম্বার ওয়ান পার্টনারশিপে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ঢাকা ক্যাপিটালস। ১৪৯ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পায় শাকিব খানের দল। টানা হারের পর দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে রাজকীয় জয়ের দেখা পেল এবারের বিপিএলে অন্যতম হট ফেভারিট দল ঢাকা ক্যাপিটালস।
স্মরণীয় এ জয়ে দলটির মালিক শাকিব খান বেজায় খুশি হয়েছেন! মুম্বাই থেকে শনিবার রাতে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, দেশে থাকলে তো অবশ্যই মাঠে চলে যেতাম। মাঠে থেকে আমাদের প্লেয়ারদের সঙ্গে এই জয় সেলিব্রেট করতাম।
শাকিব খান আরও বলেন, ‘শুরুতে ঢাকা ক্যাপিটালস যেমন খেলছিল শেষ দুই ম্যাচে প্লেয়ারদের পারফর্মেন্স পুরাই রিভার্স! এর আগের ম্যাচ হারলেও খেলার গতি চেঞ্জ হয়ে গেছে। যে হিস্ট্রি ক্রিয়েট করে ঢাকা ক্যাপিটালস জয় পেল, আমার বিশ্বাস এটি রেকর্ড হয়ে থাকবে। সাথে সাথে আগামীর ম্যাচগুলোতে সবার পারফর্মেন্স এবং এই বিজয়ের ধারা অব্যাহত থাকলে ঢাকা ক্যাপিটালস চ্যাম্পিয়ন হবে ‘
আসন্ন ঈদের ছবি ‘বরবাদ’-এর শুটিংয়ে মুম্বাই আছেন শাকিব খান। তিনি বলেন, ‘ম্যাচ চলাকালীন আমি এখানে বসে অনলাইনে খেলা দেখছিলাম। কিন্তু রান যখন ২০০ ছাড়ায় আমাদের কোম্পানির চেয়ারম্যান স্যার নিজেই খুশিতে তার ফোন থেকে ভিডিও কলে টিভি স্ক্রিনে খেলা দেখাচ্ছিলেন। দূরে থেকেও ভিডিও কলে অফিসের অন্যদের সঙ্গে এই আনন্দ ভাগাভাগি করেছি।’
শাকিব খান ইঙ্গিত দিয়ে জানান, প্রথম রাউন্ড টপকাতে পারলে তারপর থেকে আরও প্লেয়ার যুক্ত হবেন। তিনি বলেন, এবারই প্রথম আমার বিপিএলে সরাসরি যুক্ত হওয়া। এবার অনেককিছু শিখলাম। হয়তো এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।
হাসিমুখে শাকিব জানাচ্ছিলেন, আসলে তার দল ঢাকা ক্যাপিটালসের এমন কামব্যাকই কাম্য ছিল। এ কারণে প্রথম ব্যাট করে নয় উইকেটে ২৫৪ রানের পাহাড় গড়ায় তিনি তার ফ্যান পেজে পোস্টে লিখেছিলেন, ‘টাইগার যখন ঘুরে তাকায়, সব বরবাদ হয়ে যায়।’
অভিনয়ের পাশাপাশি গানেও দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ফজলুর রহমান বাবু। অন্যদিকে ইমরান মাহমুদুল পেশাদার কণ্ঠশিল্পী ও সংগীতপরিচালক। প্রথমবার ইমরানের সুরে গাইলেন বাবু। গীতালি হাসানের ‘আজিরন’ চলচ্চিত্রের জন্য গানটি লিখেছেন রাশেদ রেহমান।
ইমরান বলেন, ‘প্রথমবারের মতো ফজলুর রহমান বাবু ভাইয়ের জন্য গান করলাম। বাউল ঘরানার গানটি দারুণ গেয়েছেন তিনি। তার দরাজ কণ্ঠের ভক্ত আমি। এবার একসঙ্গে গান করতে পেরে ভালো লাগছে। এই সিনেমার সব কটি গানই আমি করব।’
এদিকে, সম্প্রতি মৌ-টিভির প্রযোজনায় প্রকাশ হয়েছে বাবুর কণ্ঠে ‘লক্ষীসোনা’ শিরোনামের একটি গান। এটি লিখেছেন সজিব অধিকারী, সুর করেছেন প্লাবন কোরেশী ও সঙ্গীত পরিচালনায় মিজানুর রহমান বাদশা। গানটিতে বাবুর সাথে কোরাসপার্টে গেয়েছেন কণ্ঠশিল্পী এসএম সোহেল ও ইতি।
ঢালিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান না ফেরার দেশে চলে গেছেন গত ৩ জানুয়ারি। কিন্তু এখনো তার মৃত্যু নিয়ে আলোচনা বন্ধ হয়নি। কারণ অনেকেই তার মৃত্যুকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে মানতে পারছেন না। কেউ কেউ বলছেন, তার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
গত ৪ জানুয়ারি সকালে হাসপাতাল থেকে মরদেহ নেওয়ার প্রক্রিয়া চলাকালীন অভিনেত্রীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে উপস্থিত সবার মধ্যে নানা প্রশ্ন ওঠে। মরদেহ গোসলের সময় এসব চিহ্ন স্পষ্ট হওয়ায় বিষয়টি আলোচনায় আসে। পরবর্তীতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি)-তে নেওয়া হলে, এ নিয়ে চলচ্চিত্র অঙ্গনের অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
একে একে বেরিয়ে আসে অঞ্জনার কথিত ছেলে নিশাত মনিকে নিয়ে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। একাধিক শিল্পীর অভিযোগ, অঞ্জনার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে কথিত সন্তান নিশাত মনি! বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন অঞ্জনার বোন রঞ্জনাও।
গতকাল রবিবার (১২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে অঞ্জনার মৃত্যু রহস্য উন্মোচন এবং সম্পদের হিসেব চেয়ে বিচার জানিয়েছেন তিনি।
এছাড়া চিকিৎসায় অবহেলাসহ আরো কিছু কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত অভিনেত্রীর কাছের কয়েকজন শিল্পী অভিযোগ তুলেছিলেন। এক্ষেত্রে অঞ্জনার পালিত ছেলে নিশাত মনিকে সন্দেহও করেছেন অনেকে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে চিত্রনায়ক ও শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি ডিএ তায়েবকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করল সংগঠনটি।
আগামী তিন দিন পর তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। গতকাল রবিবার বিকেলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির উদ্যোগে সদ্য প্রয়াত শিল্পী অঞ্জনা রহমান ও প্রবীর মিত্রের মাগফেরাতের জন্য মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দোয়া মাহফিল শেষে অঞ্জনার ছেলে (পালিত) নিশাত মনির উপস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের নিয়ে আলোচনায় বসেন শিল্পী সমিতির নেতারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়ক আলমগীর, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, অভিনেতা ডিএ তায়েব, সুব্রত, সনি রহমান, অভিনেত্রী রুমানা ইসলাম মুক্তি, অঞ্জনা রহমানের বোন রঞ্জনা ও পালিত মেয়ে জামাই কামরুল আলম রিপনসহ আরও অনেকে।
আলোচনা শেষে শিল্পী সমিতির মুখপাত্র ডিএ তায়েব বলেন, ‘সদ্যপ্রয়াত চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমানের মৃত্যু নিয়ে নানা ধরনের কথা আসছে। কেউ বলছে অঞ্জনা আপার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে আবার কেউ বলছে তার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আজ আমরা বসেছি। আমাদের কাছে অনেক বিচ্ছিন্ন ঘটনার অভিযোগ এসেছে। সেজন্য শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে একটি ছায়া তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বিপ্লব শরীফ, নাহিদা আশরাফ আন্না, রুমানা ইসলাম মুক্তি ও ইউসুফ খান। আগামী তিন দিনের মধ্যে আমাদের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আজকের আলোচনার সময় চিত্রনায়ক আলমগীর ও রঞ্জনা কয়েকটি প্রশ্ন করেছে মনিকে। আমরা জানতে চাই আসলে সমস্যা কোথায়। অঞ্জনা আপার সম্পত্তির কাগজপত্র, দালিল, ব্যাংকড্রাফ্ট, ব্যাংকের চেক বইসহ কিছু বাসায় পাওয়া যায়নি। এগুলো উদ্ধার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সেগুলো পাওয়া গেলে আমরা শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে যেকোনো সিদ্ধান্তে যাব।’
অঞ্জনার মৃত্যুর পর শোনা যাচ্ছে, অঞ্জনার দুটি বাড়ি ও একটি প্লট ছিল। সেগুলো নাকি বিক্রি করে তিনি ভাড়া বাসায় থাকছেন বিষয়টি কতটা সত্য- এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএ তায়েব বলেন, ‘অঞ্জনা আপার পৈত্রিক কিছু সম্পত্তি ছিল। এছাড়া আরো কিছু সম্পত্তি বিক্রির টাকা আসছে। সেগুলোর কোনো হিসেব আমরা পাচ্ছি না। এগুলো চিত্রনায়িকা আন্না, মুক্তি, কোরিওগ্রাফার ইসুফসহ অনেকেই জানতেন। তাদের কাছ থেকেও আমরা নানানভাবে মন্তব্য পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য আমাদের এ ছায়া তদন্ত কমিটি গঠন করা। তদন্ত করে আমাদের কাছে অসংলগ্ন কিছু পেলে তিন দিন পর আমারা পুলিশে জানাব। এককথায় আগামী তিন দিনের মধ্যে ১৫ বছরের ইতিহাস পরিষ্কার হবে। এ ক্ষেত্রে মামলাও হতে পারে।’
অভিযোগের বিষয়ে নায়িকা অঞ্জনা রহমানের পালিত ছেলে নিশাত মনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে সবগুলোর উত্তর আমি তিনদিন পর দেব। আমি যদি অপরাধী প্রমাণিত হই তাহলে আইন অনুযায়ী শাস্তি মেনে নেব।’
এদিকে, কথিত সন্তান মনির বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে কিছুই জানতেন না বলে জানিয়েছেন কথিত মেয়ে জামাই রিপন।
উল্লেখ্য, ৬ দিন ধরে অসুস্থ থাকার পর ২২ ডিসেম্বর অঞ্জনাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েকটি পরীক্ষার পর রক্তের সংক্রমণ ধরা পড়ে। অবস্থা উন্নত না হওয়ায় ১ জানুয়ারি দিবাগত রাতে অঞ্জনাকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। ৩ জানুয়ারি রাত ১টা ১০ মিনিটে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অঞ্জনা।
উপমহাদেশের বরেণ্য রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার জন্মদিন আজ। ১৯৫৭ সালের এই দিনে রংপুরের এক উপাধ্যক্ষের পরিবারে এ গুণী শিল্পী জন্মগ্রহণ করেন। আজ ৬৮ তে পা রাখলেন প্রখ্যাত এই শিল্পী।
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা শুধু নিজ দেশ নয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও তিনি ব্যাপকভাবে সমাদৃত। বাংলাদেশ ও ভারতে, তার বহুসংখ্যক এ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। তার মধ্যে ২০টি উল্লেখযোগ্য।
অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন বন্যা। এরপর সঙ্গীত নিয়ে পড়াশুনা করতে যান ভারতে। তিনি রবীন্দ্র সঙ্গীত ছাড়াও ধ্রুপদী, টপ্পা ও কীর্তন গানের উপর শিক্ষা লাভ করেছেন।
প্রাথমিক অবস্থায় রেজওয়ানা বন্যা ‘ছায়ানট’ ও পরে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। বুলবুল ললিতকলা একাডেমীতেও তিনি গান শিখেছেন। শান্তিদেব ঘোষ, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলিমা সেন, আশীষ বন্দ্যোপাধায়ের মতো সঙ্গীতজ্ঞদের কাছ থেকে গান শেখার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
কর্মজীবনে তিনি বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও সঙ্গীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও নৃত্যকলা বিভাগের চেয়ারপার্সন হিসেবে কর্মরত। তিনি ‘সুরের ধারা’ নামের একটি সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেন।
সাহিত্য ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে কাজের অবদানের স্বীকৃতি তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ অর্জন করেছেন।
সাহিত্য ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে কাজের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ২০১৬ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার সম্মাননা পেয়েছেন। ২০১৭ সালে ভারত সরকার তাকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘বঙ্গভূষণ’ পদক দিয়ে সম্মানিত করে।
এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক ট্রাস্ট ফান্ড’ কর্তৃক প্রদত্ত ‘ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক ও পুরস্কার ২০১৭’ পেয়েছেন এই প্রখ্যাত এই রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী।