সকালের বরকত

বিবিধ, ইসলাম

ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2024-11-18 20:49:22

ইসলামের দৃষ্টিতে সকাল একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। এশার নামাজের পরে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাওয়া আর সকালে দ্রুত ঘুম থেকে ওঠা ইসলামের নির্দেশ।

মুসলমানরা ফজরের নামাজ আদায়ের মাধ্যমে এ নির্দেশ পালনের জন্য সচেষ্ট হয়। ফজরের নামাজের মাধ্যমে দিন শুরু করে। কিন্তু মুনাফিকরা কখনোই ফজরের নামাজে শামিল হয় না।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মুনাফিকদের ওপর ফজর ও এশার নামাজের চেয়ে অধিক ভারি নামাজ আর নেই। এ দুই নামাজের কি ফজিলত তা যদি তারা জানত, তা হলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তারা (জামাতে) উপস্থিত হত। -সহিহ বোখারি : ৬২৪

মুসলমানরা ফজরের নামাজের পর ছড়িয়ে পড়ে আপন আপন কাজকর্মে। এতে জীবনজুড়ে নেমে আসে রহমত ও বরকত। অল্পসময়ের মধ্যেই পেয়ে যায় পর্যাপ্ত রিজিক। কারণ সকালে ঘুম থেকে ওঠা শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয় বরং শারীরিক এবং মানসিক দিক থেকেও উপকারী।

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) সকালের বরকতের জন্য দোয়া করেছেন। হজরত সাখর গামিদি (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, হে আল্লাহ! তুমি আমার উম্মতের জন্য ভোরের মধ্যে বরকত দান করো। বর্ণনাকারী বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন কোথাও ক্ষুদ্র সেনাদল বা বৃহৎ সৈন্যবাহিনী পাঠাতেন তখন তাদেরকে দিনের প্রথমাংশে পাঠাতেন। সাখর ছিলেন ব্যবসায়ী। তিনি তার ব্যবসায়ীদলকে দিনের শুরুতেই পাঠিয়ে দিতেন। ফলে তিনি ধনবান হন এবং তার সম্পদ প্রচুর বৃদ্ধি পায়। -জামে তিরমিজি : ১২১২

সকালবেলা যারা ঘুম থেকে ওঠে না, তাদের বিভিন্ন অসুস্থতা লেগে থাকে। শরীরের সজীবতা নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ের কাজগুলো দক্ষতার সঙ্গে করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। সর্বোপরি রিজিক থেকে বঞ্চিত হয়। তাই ওই সময়ে ঘুমের ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে।

হজরত আলি (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) সকালবেলা হজরত ফাতেমা (রা.)-এর কাছে গেলেন। তখন হজরত ফাতেমা (রা.) প্রভাত-নিদ্রায় শায়িত ছিলো। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) তার পা দিয়ে তাকে খোঁচা দিয়ে বললেন, হে কন্যা! উঠো, তোমার প্রভুর রিজিক বন্টনের সময় তুমি উপস্থিত থাকো। আর গাফেলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না। মহান আল্লাহ সুবহে সাদেক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়ের মধ্যে মানুষের রিজিক বণ্টন করে থাকেন। -আত তারগিব ওয়াত তারহিব : ২৬২৭

এ সম্পর্কিত আরও খবর