জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের তৃতীয় নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) বাদ আছর তার তৃতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়। এতে ইমামতি করেন জাতীয় মসজিদের খতিব। জানাজায় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ সাধারণ মানুষ অংশ নেন।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা জানাজার আগে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জন্য সবার দোয়া চান। এ সময় তিনি উপস্থিত মুসল্লিদের সামনে প্রয়াত এরশাদের সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরেন।
রাঙ্গা বলেন, ‘সেনাবাহিনী ও রাষ্ট্রীয় শাসনামল নিয়ে তার ছিল বর্ণাঢ্য জীবন।'
এরশাদের ছোট ভাই ও জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, ‘আমার ভাই ইন্তেকাল করেছেন। আপনারা সেটা জানেন। ওনার বর্ণাঢ্য জীবন আছে, সেটাও আপনারা জানেন। ওনার রাজনৈতিক জীবন আরো বেশি বর্ণাঢ্য ছিল।’
তিনি বলেন, ‘দেশ ও জাতি, ইসলাম ও ধর্মের জন্য, মানুষের জন্য ওনার অবদান আছে। মানুষের ভুল ত্রুটি থাকে, ওনারও ভুল ত্রুটি ছিল, আপানারা সেগুলো মাফ করে দেবেন। আমি আপনাদের কাছে দোয়া চাই ওনার জন্য।’
এর আগে বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স বায়তুল মোকাররম মসজিদের এক নম্বর গেটে এসে থামে। নেতাকর্মীদের ভিড়ে অ্যাম্বুলেন্সের গতি ছিল খুব সীমিত। সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের জানাজায় অংশ নিতে জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে বিকেল থেকেই মুসল্লিদের ঢল নামে। সোমবার রাতে মরদেহ রাখা হবে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) মরচুয়ারিতে।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) সকালে এরশাদের মরদেহ নেওয়া হবে তার পৈতৃক বসতি রংপুরে। বাদ জোহর সেখানে জানাজা শেষে মরদেহ ঢাকায় এনে বাদ আসর সামরিক করবস্থানে তাকে দাফন করার কথা রয়েছে। তবে জাতীয় পার্টির তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা চান তাদের নেতার দাফন উন্মুক্ত স্থানেই হোক।