এরশাদ শারীরিকভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের, ছবি: বার্তা২৪

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের, ছবি: বার্তা২৪

সামরিক সম্মিলিত হাসপাতালে (সিএমএইচ) লাইফ সাপোর্টে থাকা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এখনো শারীরিকভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন। তবে তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে এক সাংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।

বিজ্ঞাপন

জিএম কাদের বলেন, ‘২৬ জুন সকালে রক্তের সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এরশাদ। বর্তমানে তার রক্তে সংক্রমণ নেই বললেই চলে। কিন্তু শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের প্রত্যাশিত উন্নতি হচ্ছে না। ডায়ালাইসিস দিয়ে রক্তের বর্জ্য বের করা হচ্ছে। উনার অর্গানগুলো ভালো রেসপন্স করছে। সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকা পর্যন্ত লাইফ সার্পোটে চিকিৎসা চলবে।’

জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘দেশের দশটির অধিক জেলা বন্যায় কবলিত। বন্যার্ত লাখো মানুষ সিমাহীন কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সুস্থ থাকলে এমন দুর্যোগে ত্রাণ নিয়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতেন।’

জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের প্রতি নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ‘সমস্ত শক্তি দিয়ে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ান। বন্যার্ত মানুষের পাশে প্রয়োজনীয় সাহায্য দিতে সরকারের প্রতিও আহ্বান জানাচ্ছি।’

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন জাপার চেয়ারম্যান এরশাদ। ঠিকমতো হাটা চলার শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। ২০ নভেম্বরের পর আর কোনো দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা যায়নি। হাসপাতাল-বাসার মধ্যেই আবদ্ধ ছিলেন। ২৬ জুন অসুস্থতা বেড়ে গেলে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রথমে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়। অবস্থা আরও অবনতি হলে তাকে লাইফ সার্পোট দেওয়া হয়। এখনো লাইফ সাপোর্ট বহাল রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সুনীল শুভরায়, এসএম ফয়সল চিশতী, আলমগীর শিকদার লোটন, যুগ্ম দফতর সম্পাদক এমএ রাজ্জাক খান প্রমুখ।