মিয়ানমারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী একজোট হয়ে হামলা চালাচ্ছে

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারে সশস্ত্র জোটের হামলা,  ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারে সশস্ত্র জোটের হামলা, ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারে ভিন্ন ভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী একজোট হয়ে হামলা চালাচ্ছে। এ সশস্ত্র জোট বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) আর্মি একাডেমিসহ ছয়টি স্থানে সমন্বিত হামলা চালায়।

এ জোটের আক্রমণগুলিতে ১০৭ মিলিমিটার রকেট ব্যবহার করেছে বলে নিশ্চিত হয়েছেন দেশটির সেনাবাহিনী। হামলায় সামরিক-বেসামরিকসহ কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

শান স্টেটের ন্যাংচো জনপদের নিকটে পাইয়ন ওও লুইন অঞ্চলে ডিফেন্স সার্ভিসেস টেকনোলজিকাল একাডেমিসহ বিদ্রোহী জোটটি ছয়টি ভিন্ন এলাকায় এ হামলা পরিচালনা করেছে।

আরাকান আর্মি (এএ), মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি এবং তাআং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি এক জোট হয়ে এ হামলা চালায়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/17/1566016551328.jpg
হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজ

 

বিদ্রোহী জোট এক বিবৃতিতে বলেছে, সামরিক বাহিনী প্রথমে আক্রমণ শুরু করেছিল। এ আক্রমণ বন্ধ করার জন্য বারবার সতর্ক করা হয়। এখানে সেনাবাহিনী তিনটি গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলে প্রবেশ করে আক্রমণ চালিয়েছে। বাধ্য হয়ে আত্মরক্ষার্থে আমরা এ হামলা চালাই।

সামরিক বাহিনীর ট্রু নিউজ এজেন্সি জানায়, বিদ্রোহী জোটটি হালকা এবং ভারী উভয় অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এ জোটের আক্রমণগুলিতে ১০৭ মিলিমিটার রকেট ব্যবহার করেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে হামলার পর পাইন ওও লুইন-লাশো সড়কের পূর্ব দিকের একটি পাহাড়ের পূর্ব থেকে ছয়টি রকেট পাওয়া গেছে। হামলায় একাডেমি ভবন এবং কিছু গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

অন্য বিস্ফোরণে ন্যাংচো টাউনশিপের গোট টুইন ব্রিজও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানেও বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। এখন ব্রিজের উপর বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এবং কোন যানবাহন চলাচল করছে না।

আক্রমণের ফলে ইয়াঙ্গুন-মান্ডালয়-মিউজি সড়কের পাইন ওও লুইন-থিবাউ বিভাগে কয়েক শত যানবাহনের যানজটের কারণে আটকে আছে। মান্দালয়-মিউজি পথে বাণিজ্য রুট স্থগিত করা হয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/17/1566016585572.jpg
ছয়টি ভিন্ন স্থানে এ হামলা চালানো হয়

 

সেনাবাহিনী একটি বিবৃতি জারি করার একদিন পরই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে দেরি না করে যুদ্ধবিরতির সময় স্থায়ী শান্তি আনতে আলোচনা করার আহ্বান জানানো হয়েছিল। যতদ্রুত সম্ভব সামরিক-জাতীয় পুনর্মিলন ও শান্তি কেন্দ্রের (এনআরপিসি) সঙ্গে  আলোচনা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাও মিন তুন বলেছেন, এ হামলা যুদ্ধবিরতিকে প্রভাবিত করবে না। শান্তি প্রক্রিয়া চলবে। যুদ্ধবিরতি বাতিল হবে না। সেনাবাহিনী উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পূর্ব, পূর্ব মধ্য কমান্ডগুলিতে একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে।

সামরিক বাহিনী বলছে, যে শান ও রাখাইন রাজ্যে জুলাই ও আগস্টে ২১০ কোটি মিয়ানমার মুদ্রার সমমূল্যের মাদক জব্দ করার কারণে আরাকান আর্মি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এই হামলা চালিয়েছে।