ব্রেক্সিট নিয়ে টানাপোড়েনের পর আর ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারলেন না ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।
শুক্রবার (২৪ মে) তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বিষয়টি নিশ্চিত করে। তবে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেও আগামী ৭ জুন থেকে তার পদত্যাগ কার্যকর হবে।
আগামী ৭ জুন কনজাভেটিভ দলের দলের পদ থেকে তিনি সরে দাঁড়াবেন বলে ঘোষণা দেন। এই ঘোষণার মাধ্যমে দলটিতে তার স্থলাভিষিক্ত কে হবেন এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
ঘোষণাকালে মে বলেন, ‘আমি পেছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছি। আমি কিছু সুবিধাভোগীর জন্য নয় পুরো ব্রিটিশের নাগরিকের জন্য কাজ করতে সংগ্রাম করেছি। আমি গণভোটের যে রায় আমার পক্ষে ছিল সেটা সম্মান জানাই।‘
তিনি বলেন, 'বেক্সিট সফল করতে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। কিন্তু পর পর তিনবার ব্যর্থ হয়েছি।' এর আগে গত মে মাসে টোরি এমপিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মের এক বৈঠকের পরই পদত্যাগের বিষয়ে সম্মতি জানান তিনি। পরবর্তী নির্বাচনের সময়সীমাও জানিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের রাজনীতি কিছুটা চাপে রয়েছে। কিন্তু এখানে অনেক ভালো কিছু রয়েছে।‘ এ সময় তিনি বিদ্বেষ নিয়ে পদত্যাগ করছেন না বলেও মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, ব্রিটেনের দ্বিতীয় নারী হিসেবে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই গত ৩ বছর ধরে ব্রেক্সিট নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে পড়েন মে। এই নিয়ে দেশটির পার্লামেন্টে বেশ কয়েকবাড় ভোটাভুটিও হয়েছে। এতে কয়েকবার মের পক্ষে রায় গেলেও পার্লামেন্টে নিয়মিত তোপের মুখে ছিলেন তিনি। এতে অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন যেকোনো সময়ই পদত্যাগ করতে পারেন মে।