‘ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের টিআইএন বাধ্যতামূলক নয়’

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পুঁজিবাজার মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএসইসি চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন / ছবি: বার্তা২৪

পুঁজিবাজার মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএসইসি চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন / ছবি: বার্তা২৪

ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য আয়কর সনদ টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হয়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন।

তিনি বলেছেন, ‘পুঁজিবাজারে ব্রোকার-ডিলার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোক্তা পরিচালকদের সবারই টিআইএন নম্বর রয়েছে। তবে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য টিআইএন বাধ্যতামূলক, এমন কোনো নিয়ম করা হয়নি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এরকম কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। নিলে বিএসইসির সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে পুঁজিবাজার মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনলাইন নিউজ পোর্টাল অর্থসূচক তিন দিনব্যাপী এই মেলার আয়োজন করে। মেলার উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) প্রাক বাজেট আলোচনায় ঢাকা স্টক একচেঞ্জের (ডিএসই) এমডি কেএএম মাজেদুর রহমানের কাছে এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া জানতে চান বিনিয়োগকারীদের সবার টিআইএন নম্বর আছে কি না? উত্তরের এমডি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের সবার টিআইএন আছে।’ এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘যদি বিনিয়োগকারীদের সবার টিআইএন না থাকে তবে বাধ্যতামূলক করা হবে।’ এর পরদিন বুধবার (৩ এপ্রিল) বাজারে বড় দরপতন হয়।

বিএসইসির চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেন বলেন, ‘গত আট বছরে পুঁজিবাজার কখনো অস্থিতিশীল হয়নি। বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে এখন বাজার আগের চেয়ে বেশি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক। আগের চেয়ে বেশি স্থিতিশীল।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাজার এসে বিনিয়োগকারীরা যাতে প্রতারিত না হয়, তার জন্য কারসাজি চক্রকে চিহ্নিত করছি। বেশ কিছুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। আাশা করছি আগামী তিন বছরের মধ্যে আরেও উন্নত ও স্থিতিশীল পুঁজিবাজার হবে।’

আসছে বাজেটে কর কমবে উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, ‘বাজেটের আগেই ছোট মূলধনী কোম্পানির পৃথক ট্রেডিং প্লাটফর্ম সিস্টেম চালু হবে।’

অর্থসূচক সম্পাদক জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, ‘আমরা বেশ কিছুদিন থেকেই বিনিয়োগকারীদের সচেতন করার চেষ্টা করছি। শেয়ার কেনার বিষয়ে ডিএসই বা বিএসইসির দোষ দিলে চলবে না। শেয়ার কেনা বেচার বিষয়ে বিনিয়োগকারীদেরই সচেতনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যেসব কোম্পানির বাৎসরিক বিক্রয় বেশি সে সকল কোম্পানির শেয়ার কিনুন। পেইড আপ ক্যাপিটাল যত বড়ই হোক না কেন বিক্রয় না বাড়লে কোনোভাবে লাভবান হওয়া যাবে না।’

বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাছির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘পুঁজিবাজারের এখন উত্তেজনা প্রয়োজন। কারণ বেশ কিছুদিন ধরে বাজার ঝিমিয়ে আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পুঁজিবাজারের কাজ হলো অর্থনীতিকে চাঙা করা এবং দেশের কর্মসংস্থান তৈরি করা। এ উদ্দেশ্য সফল করার জন্য এবং ছোট পুঁজির কোম্পানিগুলোর জন্যও সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে।’